খবর৭১ঃ রাজধানীর কলাবাগানে জুলহাস মান্নান ও তার বন্ধু মাহবুব তনয় হত্যা মামলার রায় ঘোষণার জন্য আগামী ৩১ আগস্ট দিন ধার্য করেছেন আদালত।
সোমবার রাষ্ট্রপক্ষ ও আসামিপক্ষের যুক্তিতর্ক উপস্থাপন শেষে ঢাকার সস্ত্রাসবিরোধী ট্রাইব্যুনালের বিচারক মজিবুর রহমান রায় ঘোষণার দিন ধার্য করেন।
রাষ্ট্রপক্ষে সংশ্লিষ্ট ট্রাইব্যুনালের পাবলিক প্রসিকিউটটর গোলাম ছারোয়ার খান জাকির যুক্তিতর্ক উপস্থাপন করেন। কারাগারে থাকা চার আসামির পক্ষে আইনজীবী নজরুল ইসলাম ও খায়রুল ইসলাম লিটন যুক্তিতর্ক উপস্থান করেন। এ ছাড়া পলাতক চার আসামির পক্ষে রাষ্ট্র নিয়োজিত আইনজীবী মো. জাকির হোসেন যুক্তিতর্ক উপস্থান করেন। রাষ্ট্রপক্ষ থেকে আসামিদের বিরুদ্ধে অভিযোগ প্রমাণে সক্ষম দাবি করে সর্বোচ্চ সাজা প্রত্যাশা করা হয়েছে। অপরদিকে আসামিপক্ষের আইনজীবীরা রাষ্ট্রপক্ষ অভিযোগ প্রমাণে ব্যর্থ হয়েছে বলে আসামিদের খালাস দাবি করেন।
মামলার আট আসামি হলেন- নিষিদ্ধ জঙ্গি সংগঠন আনসারুল্লাহ বাংলা টিমের সামরিক শাখার প্রধান ও বরখাকৃত মেজর সৈয়দ জিয়াউল হক জিয়া, আকরাম হোসেন, সাব্বিরুল হক চৌধুরী, জুনাইদ আহমদ ওরফে মওলানা জুনায়েদ আহম্মেদ ওরফে জুনায়েদ, মোজাম্মেল হুসাইন ওরফে সায়মন, আরাফাত রহমান, শেখ আব্দুল্লাহ ও আসাদুল্লাহ। আসামিদের মধ্যে প্রথম চারজন পলাতক। আর পরের চারজন কারাগারে রয়েছেন।
এর আগে ২০১৯ সারের ১২ মে জিয়াসহ আটজনের বিরুদ্ধে আদালতে চার্জশিট দাখিল করা হয়। মামলার তদন্ত কর্মকর্তা পুলিশের কাউন্টার টেররিজম ইউনিটের পরিদর্শক মুহম্মদ মনিরুল ইসলাম এ চার্জশিট দাখিল করেন। ২০১৬ সালের ২৫ এপ্রিল রাজধানীর কলাবাগানের লেক সার্কাস রোডের বাড়িতে ইউএসএইড কর্মকর্তা ও সমকামী অধিকারকর্মী জুলহাস মান্নান এবং তার বন্ধু থিয়েটারকর্মী মাহবুব তনয়কে কুপিয়ে হত্যা করে দুর্বৃত্তরা। ওই ঘটনায় কলাবাগান থানায় জুলহাসের বড় ভাই মিনহাজ মান্নান ইমন একটি হত্যা মামলা এবং ওই থানার এসআই মোহাম্মদ শামীম অস্ত্র আইনের মামলাটি দায়ের করা হয়। হত্যা মামলায় চার্জশিট দাখিল করা হলেও অস্ত্র আইনের মামলাটি এখনো তদন্তাধীন রয়েছে।