বিশ্ব পুঁজিবাজারে সূচক বৃদ্ধির তালিকায় বাংলাদেশ ৬ষ্ঠ

0
334

খবর৭১ঃ
মহামারি করোনাভাইরাসের কারণে সারা বিশ্বের অর্থনীতির বিপর্যয় দেখা দিলেও ব্যতিক্রম কেবল পুঁজিবাজারগুলোতে। বিশ্বের বিভিন্ন দেশের পুঁজিবাজারসহ বাংলাদেশের পুঁজিবাজারেও উল্লেখযোগ্য অগ্রগতি হয়েছে। করোনাভাইরাসের মধ্যেও ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) সার্বিক সূচক ডিএসইএক্স বেড়েছে ৮৩ শতাংশ।

এর ফলে বাংলাদেশের পুঁজিবাজার ৬ষ্ঠ অবস্থানে উঠে এসেছে। এই সময়ে বাংলাদেশের চেয়েও বেশি সূচক বেড়েছে থাইল্যান্ড, ভারত, যুক্তরাষ্ট্র, শ্রীলংকা ও জার্মানির পুঁজিবাজারে।

ব্লুমবার্গ ও ইনভেস্টিং ডট কমের পরিসংখ্যানে দেখা যায়, করোনাভাইরাসের মধ্যেও বিশ্ব পুঁজিবাজারে সবচেয়ে বেশি উত্থান হয়েছে থাইল্যান্ডের পুঁজিবাজারে। দেশটির এসইটি সূচকের পয়েন্ট বেড়েছে ১২৪ শতাংশ। এর পরই রয়েছে ভারতের সেনসেক্স। এই সময়ে সেনসেক্স সূচক বেড়েছে ১০৯ শতাংশ। যুক্তরাষ্ট্রের ডাওজোনস সূচকে এই সময়ে ৯৩ শতাংশ পয়েন্ট যোগ হয়েছে। একই সময়ে শ্রীলংকার সিএসইঅল এবং জার্মানির ডিএএক্স সূচক বেড়েছে যথাক্রমে ৯১ ও ৮৭ শতাংশ।

বিশ্ব পুঁজিবাজারে সূচক বৃদ্ধির তালিকায় বাংলাদেশের প্রধান পুঁজিবাজার ঢাকা স্টক এক্সেচেঞ্জের (ডিএসই) প্রধান সুচক ডিএসইএক্সের অবস্থান ৬ষ্ঠ নম্বরে। এই সময়ে সূচকটি ৮৩ শতাংশ বেড়েছে। পাকিস্তানের কেএসই ১০০ সূচকে ৭৫ শতাংশ প্রবৃদ্ধি হয়েছে এই সময়।

এছাড়া গত বছরের সর্বনিম্ন অবস্থানের তুলনায় এই বছরে জাপানের নিক্কেই ২২৪ সূচকটি ৬৮, চীনের শেনঝেন কম্পোজিট সূচক ৫৫, যুক্তরাজ্যের এফটিএসই সূচক ৪৩, চীনের সাংহাই কম্পোজিট সূচক ৩০, মালয়েশিয়ার এফটিএসই বুর্সা মালয়েশিয়া কেএলসিআই সূচক ২১ এবং হংকংয়ের হ্যাং সেং সূচক বেড়েছে ২১ শতাংশ।

বিশ্বের বেশ কয়েকটি দেশের পুঁজিবাজারের সার্বিক মূল্য-আয় অনুপাত (পিই রেশিও) পর্যালোচনায় দেখা যায়, ভারতের সেনসেক্সের পিই রেশিও সবচেয়ে বেশি ৩০ দশমিক ৩৮। পিই রেশিওতে এর পরেই রয়েছে থাইল্যান্ডের এসইটির ২৭ দশমিক শূন্য ২, যুক্তরাষ্ট্রের ডাওজোনসের ২৩ দশমিক ৯১, ভিয়েতনামের ভিএন ইনডেক্স ১৬ দশমিক ৮৮, বাংলাদেশের ডিএসইএক্সের ১৫ দশমিক ৮৬, হংকংয়ের হ্যাং সেংয়ের ১১ দশমিক ৩৬, পাকিস্তানের কেএসই ১০০-এর ১০ দশমিক ৭৫ এবং শ্রীলংকার সিএসইঅলের ১০ দশমিক শূন্য ৯।

বাংলাদেশের পুঁজিবাজারের সার্বিক পিই রেশিও এখনো বিনিয়োগের জন্য আকর্ষণীয় অবস্থানে থাকলেও এরই মধ্যে বেশকিছু খাতের শেয়ার অতিমূল্যায়িত হয়ে গেছে। এর মধ্যে পাট খাতের পিই রেশিও ৮১৩ দশমিক ৩, কাগজ ও মুদ্রণ খাতের ৫৯ দশমিক ১, চামড়া খাতের ৮৬ দশমিক ১ এবং ভ্রমণ ও অবকাশ খাতের পিই রেশিও ৮২ দশমিক ২ অবস্থানে রয়েছে। এর বাইরে বাকি সব খাতের পিই রেশিও ৪০-এর নিচে অবস্থান করছে।

বাজার পর্যালোচনায় দেখা যায়, গত বছরের ১৮ মার্চ ডিএসইএক্সের সর্বনিম্ন অবস্থান ছিল ৩ হাজার ৬০৪ পয়েন্টে। সেখান থেকে সূচকটি বেড়ে সর্বশেষ গত বৃহস্পতিবার ৬ হাজার ৫৯৬ পয়েন্টে দাঁড়িয়েছে। গত বছরের ১৮ মার্চ ডিএসইর বাজার মূলধন ছিল ২ লাখ ৮৭ হাজার ৩৮২ কোটি টাকা। সর্বশেষ গত বৃহস্পতিবার এক্সচেঞ্জটির বাজার মূলধন ৫ লাখ ৪৪ হাজার ৩২৬ কোটি টাকায় দাঁড়িয়েছে। এ সময়ে বাজার মূলধন বেড়েছে ২ লাখ ৫৬ হাজার ৯৪৩ কোটি টাকা।

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here