খবর৭১ঃ অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে ৫ ম্যাচ সিরিজের চতুর্থ টি-টোয়েন্টিতে টস জিতে ব্যাটিং বেছে নিয়েছে বাংলাদেশ। স্বপ্নযাত্রা অব্যাহত রাখার মিশনে শনিবার (৭ আগস্ট) চতুর্থ ম্যাচ শুরু সন্ধ্যা ৬টায়।
ইতোমধ্যেই মিরপুরে ইতিহাস রচনা করেছে বাংলাদেশ ক্রিকেট দল। প্রথমবারের মতো অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে সিরিজ জয় নিশ্চিত করে আত্মবিশ্বাসের তুঙ্গে টাইগাররা। সিরিজের প্রথম ৩ ম্যাচেই আধিপত্য ছিল স্বাগতিকদের। ব্যাট হাতে দলের ভরসা মাহমুদউল্লাহ-সাকিব-আফিফ ও সোহান।
বল হাতে প্রতিপক্ষের জন্য ধাঁধাঁ হয়ে দাঁড়িয়েছেন কাটার মাস্টার মোস্তাফিজ। হোয়াইটওয়াশের পথে এগিয়ে যেতে চতুর্থ ম্যাচেও পারফরম্যান্সের ধারাবাহিকতা বজায় রাখতে চায় ডমিঙ্গোর দল।
একটা জয়ের জন্য মরিয়া হয়ে আছে সিরিজ হারের লজ্জায় ডোবা অস্ট্রেলিয়া। মিরপুরের উইকেটটাকে কোনোভাবেই বুঝে উঠতে পারছে না অজিরা। তৃতীয় ম্যাচে একাদশে তিনটি পরিবর্তন এনেও ভাগ্য বদল হয়নি তাদের।
আর এরইমধ্যে টানা তিন ম্যাচ জিতে সিরিজ জয় নিশ্চিত করে ফেলেছে স্বাগতিক বাংলাদেশ। প্রথম ম্যাচে ১৩১ রানের ছোট পুঁজি নিয়েও জিতেছিল বাংলাদেশ। নিজেদের ইতিহাসে সবচেয়ে কম রান করে জেতার রেকর্ড। বৃষ্টিতে দেরিতে শুরু হওয়া তৃতীয় ম্যাচে ১২৭ রানেই গুটিয়ে গিয়েছিল বাংলাদেশ। তবে শেষ পর্যন্ত সে ম্যাচ ১০ রানে জিতে সিরিজ জিতে নিয়েছে টাইগাররা।
এই জয়ে টি-টোয়েন্টিতে অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে প্রথম ও সব মিলিয়ে পঞ্চমবার একাধিক ম্যাচের দ্বিপাক্ষিক সিরিজ জিতল বাংলাদেশ। এছাড়া টি-টোয়েন্টিতে প্রথমবারের টানা চার ম্যাচ জিতল বাংলাদেশ।
৯ আগস্ট অনুষ্ঠিত হবে সিরিজের শেষ ম্যাচ।
টি-টোয়েন্টি ফরম্যাটে খেলার শুরুতে ২০০৬ সালে জিম্বাবুয়ের সঙ্গে সিরিজ জেতে বাংলাদেশ। পরের সিরিজ জিততে টাইগারদের অপেক্ষা করতে হয় ৫ বছর। ২০১১ সালে ওয়েস্ট ইন্ডিজকে ১-০ ব্যবধানে সিরিজ হারায় সাকিব-তামিমরা। পরের বছরই প্রথম কোনো দলকে ক্রিকেটের ক্ষুদ্র সংস্করণে হোয়াইটওয়াশ করার স্বাদ পায় বাংলাদেশ। আয়ারল্যান্ডকে ৩-০ ব্যবধানে হারায় টাইগাররা।
একটু বিরতি দিয়ে ২০১৫ সালে পাকিস্তানের সঙ্গে টি-টোয়েন্টি সিরিজ জেতে বাংলাদেশ। এরপর ২০১৮ সালে আবারও ওয়েস্ট ইন্ডিজকে ২-১ ব্যবধানে হারায় মুশফিকরা। সবশেষ ২০২০ ও ২০২১ এ জিম্বাবুয়ের সঙ্গে টি-টোয়েন্টি সিরিজ জেতে বাংলাদেশ।