খবর৭১ঃ
বৃহস্পতিবার সারা দিন আশার বাণী শুনিয়ে গল্পের নাটকীয় মোড় নিল, বার্সেলোনার সঙ্গে বিচ্ছেদ ঘটেছে লিওনেল মেসির।
এ বিষয়ে আনুষ্ঠানিক ঘোষণা ক্লাব বার্সেলোনা নিজেদের সোশ্যাল মিডিয়া সাইটে দীর্ঘ বক্তব্য দিয়েছে।
আর ফেসবুকে দেওয়া বার্সার সেই বিবৃতি নিয়ে নতুন গুঞ্জনে মেতেছেন স্প্যানিশ ক্রীড়া সাংবাদিকরা।
এমন বিবৃতিকে ক্লাবটির কূটকৌশল হিসেবে দেখেছে বিভিন্ন সংবাদমাধ্যম।
তাদের মতে, মেসি ইস্যুতে ‘বাঁকা আঙুলে ঘি তুলতে’ চাইছে বার্সা। নয়তো এ ধরনের বিবৃতি কেন?
স্পেনের বেশ কয়েকজন ক্রীড়া সাংবাদিকের মতে, বার্সেলোনা এমন বিবৃতি দিয়ে লিগ কর্তৃপক্ষকে চাপে ফেলার চেষ্টা করেছে। যাতে করে লিগ কর্তৃপক্ষ সিভিসির সঙ্গে চুক্তি থেকে সরে আসে৷ পাশাপাশি বেতন নিয়ে বেঁধে দেওয়া বিধিনিষেধও শিথিলতা আনে।
স্পোর্তের বার্সেলোনাবিষয়ক প্রতিবেদক টনি হুয়ানমার্তি থেকে শুরু করে লা লিগা টিভির ধারাভাষ্যকার অ্যান্ডি ওয়েস্ট ও লা লিগা বিশেষজ্ঞ বিশ্লেষক গ্যারি লিনেকার এ বিষয়ে একই মতো দিয়েছেন। তারা সবাই বার্সার বিপক্ষে আঙুল তুলেছেন।
তারা বলেন, একবার ভালো করে বার্সার দেওয়া বিবৃতির দিকে লক্ষ্য করুণ। বার্সা জানিয়েছে, নতুন চুক্তির বিষয়ে মেসি ও ক্লাব দুপক্ষই রাজি ছিল। কিন্তু বেতন নিয়ে লা লিগার বেঁধে দেওয়া নিয়মের কারণে আর চুক্তি করা গেল না। এই শব্দগুচ্ছ একাধিকবার ব্যবহার করেছে বার্সা।
‘ক্লাব (বার্সেলোনা) এবং খেলোয়াড় (মেসি) একটি সমঝোতায় পৌঁছানোর পর, আজই (বৃহস্পতিবার) তাদের নতুন চুক্তি স্বাক্ষরের সব কিছু প্রায় চূড়ান্তই ছিল। কিন্তু অর্থনৈতিক ও কাঠামোগত কিছু বাধার কারণে এটি সম্ভব হচ্ছে না।
স্প্যানিশ লিগের কিছু নিয়মের কারণে এ চুক্তি স্বাক্ষর করা যাচ্ছে না। ফলে মেসি আর বার্সেলোনায় থাকছেন না।’
লিগ কর্তৃপক্ষকে চাপে ফেলার জন্যই পরিকল্পিতভাবে এ কাজ করেছে বার্সেলোনা— এমন গুঞ্জনই ছড়াচ্ছে এখন কাতালানের আকাশ-বাতাসে।