খবর৭১ঃ
শিশুরা মিষ্টি খাবার অনেক বেশি পছন্দ করে। অভিভাবকরাও শিশুদের চকলেটসহ নানা রকম মিষ্টি খাবার দিয়ে থাকেন। আর আমাদের দেশে শিশুদের দেখতে গেলেও অনেকে এ ধরনের খাবারগুলোই নিয়ে যান তাদের জন্য।
কিন্তু শিশুদের স্বাস্থ্যের জন্য কি এ খাবারগুলো উপকারী? এমন প্রশ্ন হয়তো অনেকের মনেই আসে। আবার অনেক অভিভাবক মনেই করেন যে, এ ধরনের খাবার তাদের ক্ষতি করছে।
মূলত মিষ্টিজাতীয় খাবার কোনো উপকার করে না শিশুদের। বরং সেগুলো ক্ষতি করে বেশি। এগুলোর কারণে শিশুদের ব্রেনের ক্ষতি হয়, দাঁত নষ্ট হয়ে যায়, এমনকি ক্ষতিকারক প্রভাব পড়ে চেহারাতেও।
কিন্তু অনেক শিশুই জেদ করে থাকে মিষ্টি খাবারের জন্য। তা হলে তাদের কী পরিমাণ মিষ্টি খাবার দেওয়া যাবে?
জেনে নিন শিশুদের যত্নে যেভাবে হবেন মিষ্টি খাবারে সতর্ক—
১. মিষ্টি খাবার পরিমিত খাওয়ানো
শিশুদের মিষ্টি খাবার খুব পরিমিত পরিমাণে খাওয়ানো উচিত। এ বিষয়ে আমেরিকান হার্ট অ্যাসোসিয়েশনের চিকিৎসক ড. পোমারনেটস জানান, দুই থেকে ১৮ বছর বয়সি শিশুর সর্বোচ্চ ২৫ গ্রাম বা ৬ চা চামচ চিনি বা মিষ্টি খাবার খাওয়া যেতে পারে।
আর ড. গায়ডস মনে করেন, দুই বছরের কম বয়সি শিশুর মিষ্টি খাবার খাওয়ানো একেবারেই উচিত নয়।
২. বেশি করে সবজি খাওয়ানো
শিশুদের বেশি করে সবজি খাওয়ানোর পরামর্শ দিচ্ছেন বিশেষজ্ঞরা। এ বিষয়ে ব্রিটেনের রয়্যাল কলেজ অব পেডিয়াট্রিকস অ্যান্ড চাইল্ড হেলথের একটি গবেষণা মতে বলছে— শিশুদের মিষ্টি খাবারের প্রতি আগ্রহ নিয়ন্ত্রণ করতে হলে তাদের শুরু থেকেই সবজি খাওয়ানোর অভ্যাস করা উচিত। ফলে তাদের দেহে সুষম পুষ্টির জোগান দেবে এবং মিষ্টি খাবার খাওয়ার অভ্যাসও দূরে রাখবে।
৩. শিশুদের তেতো খাবার খাওয়ানো
মিষ্টি খাবার খাওয়ার অভ্যাসকে কমাতে শিশুদের তেতো খাবার খাওয়ানোর অভ্যাসও করানো যেতে পারে। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, তেতো খাবার শিশুদের দাঁত ক্ষয়, মোটা হয়ে যাওয়া এবং অপুষ্টি রোধ করে। এ ছাড়া এটি পরবর্তী সময় ডায়াবেটিস হওয়ার আশঙ্কাকেও কমায়।
৪. মিষ্টি পানীয় খাওয়ানো যাবে না
শিশুদের মিষ্টিজাতীয় কোনো পানীয় বা জুস খাওয়ানো থেকে বিরত থাকতে হবে। চিকিৎসকেরা বলছেন, মিষ্টি পানীয় বা জুসজাতীয় খাবার খাওয়ানোর পরিবর্তে তাজা ফলমূল এবং দুধজাতীয় খাবারে অভ্যাস গড়ে তোলা উচিত। অথবা তাজা ফল ঘরেই জুস বানিয়ে খাওয়াতে পারেন।