খবর৭১ঃ বঙ্গবন্ধুর শাহাদত বার্ষিকী উপলক্ষে ১৫ আগস্ট জাতীয় শোক দিবসের অনুষ্ঠানে সর্বোচ্চ নিরাপত্তা নিশ্চিত করার জন্য পুলিশের সব ইউনিট প্রধানকে নির্দেশ দিয়েছেন ইন্সপেক্টর জেনারেল অব পুলিশ (আইজিপি) ড. বেনজীর আহমেদ। এসময় যথাযথভাবে স্বাস্থ্যবিধি মেনে অনুষ্ঠান আয়োজন করা হচ্ছে কি না সে দিকেও খেয়াল রাখার নির্দেশ দেন পুলিশপ্রধান।
সোমবার বিকালে পুলিশ হেডকোয়ার্টার্স থেকে ভার্চুয়ালি সব মেট্রোপলিটন, রেঞ্জ ও জেলার পুলিশ সুপারদের এই নির্দেশনা দেন আইজিপি।
বেনজীর আহমেদ বলেন, আগস্ট আমাদের শোকের মাস। এ মাসে বঙ্গবন্ধুকে সপরিবারে নৃশংসভাবে হত্যা করা হয়েছে। এ মাসে রাষ্ট্র ও সরকারবিরোধী অনেক কার্যক্রম চালানো হয়েছে। একুশে আগস্ট গ্রেনেড হামলা হয়েছে। ১৭ আগস্ট জেএমবি দেশের ৬৩টি জেলায় সিরিজ বোমা হামলা চালিয়েছে। এজন্য আমাদেরকে সতর্ক থাকতে হবে। সন্ত্রাসী কার্যক্রম, সর্বহারাদের অপতৎপরতা, সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে প্রোপাগান্ডা ইত্যাদি বিষয়ে অত্যন্ত সজাগ ও সতর্ক থাকতে হবে।
আইজিপি বলেন, মাদকের বিরুদ্ধে আমাদের অবস্থান ‘জিরো টলারেন্স’। মাদকের সঙ্গে কোনো পুলিশ সদস্যের সম্পৃক্ততা প্রমাণিত হলে চাকরিচ্যুতিসহ তার বিরুদ্ধে কঠোর আইনি ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
পুলিশপ্রধান বলেন, জনগণের দোরগোড়ায় পুলিশি সেবা পৌঁছে দেওয়ার একটি কার্যকর এবং জনপ্রিয় পদ্ধতি ‘বিট পুলিশিং’। ইতিমধ্যে ‘বিট পুলিশিং’ সর্বমহলে ব্যাপক প্রশংসিত হয়েছে।করোনাকালে স্বাস্থ্যবিধি মেনে ‘বিট পুলিশিং’ চালু রাখার নির্দেশ দেন আইজিপি।
করোনাভাইরাসের সংক্রমণ রোধে পুলিশ সদস্যদের পাশাপাশি তাদের পরিবারের সদস্যদের টিকা গ্রহণ নিশ্চিত করতে সংশ্লিষ্টদের নির্দেশনা দেন পুলিশপ্রধান। পুলিশ সদস্যদের করোনা সংক্রমণ রোধে স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলার জন্য নিয়মিত ফোর্সকে ব্রিফ করতে ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের নির্দেশ দেন তিনি।
বর্তমান মহামারিতে জনগণের পাশে দাঁড়িয়ে মানবিক পুলিশে পরিণত হয়েছে বাংলাদেশ পুলিশ। মানুষের পাশে থেকে তাদের হৃদয় ও মন জয় করার এই সুযোগ কাজে লাগানোর কার্যক্রম অব্যাহত রাখার আহ্বান জানান আইজিপি। বলেন, আমরা এমন একটি পুলিশ রেখে যেতে চাই, যাতে অবসরে গেলে পুলিশকে নিয়ে গর্ব করতে পারি। দেশের জনগণ গর্বভরে পুলিশের সেবা গ্রহণ করতে পারে।