খবর৭১ঃ টোকিও অলিম্পিকে ভারতের মুখ উজ্জ্বল করেছেন মনিপুরের ইম্ফলের মীরাবাঈ চানু। উত্তর-পূর্ব ভারতের এই বাসিন্দা ভারোত্তোলন ইভেন্টে রৌপ্য জয় করেছেন।
এতে ভারতবাসী অভিভূত হয়ে মীরাবাঈ চানুকে প্রশংসায় ভাসাচ্ছেন। কিন্তু মডেল তথা অভিনেতা মিলিন্দ সোমনের স্ত্রী অঙ্কিতা কোনওয়ার মনে করেন, চানুর সাফল্যে খুশি হওয়া এক ধরনের কপটতা আর দুমুখো আচরণ ছাড়া কিছুই নয়।
অঙ্কিতার অভিযোগ, মুখের গড়ন চীনের বাসিন্দাদের সঙ্গে মিল থাকায় উত্তর-পূর্ব ভারতীয়দের ভালো চোখে দেখেন না মধ্য ভারতীয়রা। মীরাবাঈ চানুর মতো অনেকেই বর্ণবৈষম্যের শিকার হন। বর্তমানে তাদের করোনা বলে কটাক্ষ করা হয়। কিন্তু এখন মীরাবাঈ চানুকে মাথায় তুলেছেন তারাই।
এক ইনস্টাগ্রাম পোস্টে এসব কথা লেখেন আসামের কন্যা অঙ্কিতা। তিনি লেখেন— ‘আপনার জন্ম, বড় হওয়া যদি উত্তর-পূর্ব ভারতে হয়, তা হলে দেশের জন্য পদক জিতলে একমাত্র তখনই আপনি ভারতীয় হিসেবে মর্যাদা পাবেন। অথচ আমাদের চিঙ্কি, চাইনিজ, নেপালি আর এখন করোনা বলে পরিচয় দেওয়া হয়।’
অঙ্কিতার এই পোস্টের তোলপাড় শুরু হয়। তবে তার সঙ্গে একমত হয়ে বিষয়টিকে ‘অপ্রিয় বাস্তব’ বলে উল্লেখ করেছেন। তারা বলছেন— এই পোস্টের মধ্য দিয়ে কঠিন এক প্রশ্ন তুলে দিয়েছেন অঙ্কিতা।
উল্লেখ্য, মডেল ও অভিনেতা মিলিন্দ সুমনের স্ত্রী অঙ্কিতা। প্রথমে তাদের সম্পর্ক নিয়ে হইচই পড়ে গিয়েছিল। কারণ অঙ্কিতা মিলিন্দের চেয়ে ২৬ বছরের ছোট। কিন্তু বিষয়টি নিয়ে কোনো সমস্যা হচ্ছে না এ দম্পতির। তারা সুখেই সংসার করছেন।অঙ্কিতা নিজেও একজন খেলোয়াড়।
টোকিও অলিম্পিকে রৌপ্যপদক জয়ী ভারতের মীরাবাঈ চানু
টোকিও অলিম্পিকে রৌপ্যপদক জয়ী ভারতের মীরাবাঈ চানু
প্রসঙ্গত মীরাবাঈ চানু ভারতীয় অ্যাথলেট। দেশটির মনিপুরের ইম্ফলের নংবক কাকচিং গ্রামে ১৯৯৪ সালের ৮ আগস্ট জন্ম তার। তার পরিবার বনে কাঠ কেটে জীবিকা নির্বাহ করে। ভারি কাঠের বোঝা তুলেই শৈশব ও কৈশোর পার করেছেন তিনি।
২০২১ সালে ভারোত্তোলনে রুপা জিতেছেন। মনিপুরের প্রত্যন্ত গ্রামের সাইখোম মীরাবাঈ চানুর হাত ধরে টোকিও অলিম্পিকে পদকের খাতা খুলল ভারত।