মিজানুর রহমান মিলন,সৈয়দপুর :
নীলফামারীর সৈয়দপুরে পারিবারিক কলহে অতিষ্ঠ হয়ে শামীম (৩৫) নামের এক দর্জি শ্রমিক হারপিক পান করে আত্মহত্যা করছে। গতকাল বুধবার সকালে শহরের গোলাহাট রেলওয়ে কলোনী উর্দুভাষী ক্যাম্প সংলগ্ন এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। দুই কন্যা সন্তানের জনক মৃত শামীম ওই এলাকার অবসরপ্রাপ্ত শিক্ষক মো. ওসমান আলীর পুত্র। বিলম্বে পাওয়া প্রাপ্ত তথ্যে জানা গেছে, শামীম ওই এলাকায় একটি টেইলার্সে দর্জি শ্রমিক (কারিগর) হিসেবে কাজ করত। সে স্ত্রী ও দুই সন্তানসহ বাবা মায়ের বাড়িতে বসবাস করলেও বিভিন্ন সময়ে নানা অজুহাতে শামীমের পরিবারে কলহ লেগে থাকত। ঘটনার দিন সকালে সবার অজান্তে শামিম বাড়ির ওয়াশরুম পরিস্কারের জন্য রাখা হারপিক পান করেন। পরে পরিবারের সদস্যরা ঘটনাটি জানতে পেরে তাঁকে সৈয়দপুর ১০০ শয্যা বিশিষ্ট হাসপাতালে নিয়ে যান। কিন্তু সেখনাকার জরুরী বিভাগের দায়িত্বে থাকা চিকিৎসক তাঁকে উন্নত চিকিৎসার জন্য রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে স্থানান্তর করেন।সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় রাতে দিকে মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়ে শামিম। এ বিষয়ে মুঠোফোনে কথা হয় সৈয়দপুর পৌরসভার সংরক্ষিত ১,২ ও ৩ নং ওয়ার্ডের কাউন্সিলর সাবিয়া বেগমের সাথে কথা হলে তিনি ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন,রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল থেকে লাশের ময়নাতদন্ত শেষে আজ বিকেলে শামিমের মরদেহ বাসায় আনা হয়েছে। তবে কি কারণে সে হারপিক খেয়েছে তা তার পরিবারের সদস্যরাই বলতে পারবেন বলে জানান তিনি।
সৈয়দপুর থানার অফিসার ইনচার্জ মো. আবুল হাসনাত খানের সাথে কথা হলে তিনি বলেন ঘটনা তিনি শুনেছেন। এ বিষয়ে এখন পর্যন্ত কেউ অভিযোগ করেননি। অভিযোগ পেলে ব্যবস্থা নেয়া হবে।