তিউনিসিয়ার সিভিল ক্যু, নেপথ্যে ৩ দেশ

0
196

খবর৭১ঃ মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন ক্ষমতায় আসার আগে ২০১৯ সালে নিউ ইয়র্ক টাইমসে দেয়া এক সাক্ষাৎকারে বলেছিলেন যে, এরদোগানকে ডেমোক্র্যাটিক পন্থায় ক্ষমতাচ্যুত করতে হবে। এ জন্য বিরোধীদের সব ধরণের সহযোগিতা করতে হবে।

অর্থাৎ আমেরিকা এখন বিভিন্ন দেশের সরকার পরিবর্তনের জন্য নতুন নীতি অবলম্বন করছে। যেসব দেশে আমেরিকাপন্থি সরকার নেই সেসব জায়গায় এখন আর আগের মতো সামরিক শক্তি ব্যবহার করবে না; বরং ওখানকার সরকার পরিবর্তনের জন্য দেশের মধ্যে সরকার বিরোধীদের বিভিন্ন সহযোগিতার মাধ্যমে ক্ষমতাসীনদের ক্ষমতাচ্যুত করবে।

তুরস্কে এখনও সফল হয়নি তবে প্রচেষ্টা চলছে। এ নিয়ে একদিন কথা বলবো। কিন্তু তিউনিসিয়াতে যা ঘটলো তা ঠিক আমেরিকার এই নতুন পরিকল্পনার অংশই মনে হয়। তিউনিসিয়াতে ঠিক এরকমভাবেই একটা সরকার পরিবর্তন হলো। সামরিক শক্তি পিছন থেকে কলকাঠি নাড়ছে কিন্তু সামনে থেকে রাষ্ট্রপতি কাইস সাইয়িদ একটা সিভিল অভ্যুত্থান ঘটালো।

রাষ্ট্রপতি সেখানে প্রধানমন্ত্রী এবং সংসদকে বিলুপ্ত করেন। সব নির্বাহী ক্ষমতা নিজের কাছে নিয়ে নেন এবং সংসদ সদস্যদের জেলে ঢুকানোর পথ উম্মুক্ত করেন।

এর মাধ্যমে আসলে মিসরের সামরিক জান্তা আব্দুল ফেত্তাহ আল সিসির মত একটা অভ্যুত্থানের মাধ্যেমে নির্বাচিত সরকারকে ক্ষমতাচ্যুত করা হল তিউনিসিয়াতে। মিসরে করেছে সেনাপ্রধান কিন্তু তিউনিসিয়াতে সেনাবাহিনীর সাপোর্টে একই কাজ করেছেন রাষ্ট্রপতি। এবং দুইও দেশেই এই অভ্যুত্থান ঘটানো হলো জনগণের ভোটে নির্বাচিত মুসলিম ব্রাদারহুডের রাজনৈতিক অংশটির বিরুদ্ধে। তবে হ্যাঁ তিউনিসিয়ার রাষ্ট্রপতিও জনগণের ভোটে নির্বাচিত।

তিনি শতকরা ৭২ ভাগ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হন ২০১৯ সালে। তবে তার নিজের ভোট ব্যাংক হল ১৮ পারসেন্ট। আসলে মিসরের সঙ্গে এই অভ্যুত্থানের অনেক মিল। এখানে মূল টার্গেট মুসলিম ব্রাদারহুড। কারণ ২০১৩ সালে মিসর মুসলিম ব্রাদারহুডকে নিষিদ্ধ করলেও তিউনিসিয়াতে তারাই ক্ষমতায়। যদিও মিসরের সঙ্গে সুর মিলিয়ে তখন এই মুসলিম ব্রাদারহুডকে নিষিদ্ধ করে সৌদি আরব, সংযুক্ত আরব আমিরাত, বাহরাইন, সিরিয়া এবং রাশিয়া। কিন্তু মিসরের এই নিষেধাজ্ঞা দলটিকে আরব বিশ্বে একেবারে নিষ্ক্রিয় করতে পারেনি। কারণ একটা গোষ্ঠীকে আপনি সন্ত্রাসী বলে চালিয়ে দিচ্ছেন অথচ তাদেরই একটা অংশ অন্য দেশে জনগণের ভোটে ক্ষমতায় আসছে এবং সরকার চালাচ্ছে। তাই আপনার এই নিষেধাজ্ঞা ভালো ফলপ্রসূ হবে না।

এজন্য তিউনিসায়াতে মুসলিম ব্রাদারহুডকে ক্ষমতাচ্যুত করতেই হবে। কিন্তু কিভাবে। কারণ ওখানে আন নাহদা পার্টির প্রধান রাশিদ ঘানুশি চমৎকার কিছু কৌশল অবলম্বন করেছিলেন। তিনি অন্য সব রাজনৈতিক দলকে সঙ্গে নিয়ে কোয়ালিশন করতেন এবং সেভাবেই ক্ষমতার ভাগাভাগি করতেন। নিজেরা সবচেয়ে বেশি আসন পাওয়ার পরও সামনে আসতেন না। প্রধানমন্ত্রীত্ব বা রাষ্ট্রপতির পদ নিতেন না। এমনকি ইসলামিক রাজনৈতিক দল হওয়া সত্ত্বেও ইসলামি শরিয়াকে আইন গঠনের প্রধান উৎস হিসেবে নেয়নি। রাষ্ট্রের ধর্মনিরপেক্ষ প্রকৃতি বজায় রেখেছে। আর ২০১৪ সালে সে অনুযায়ী একটা ধর্মনিরপেক্ষ সংবিধান প্রতিষ্ঠা করেছেন। হার্ড লাইনে না গিয়ে বরং দেশের সব দল ও মতের সঙ্গে একত্রে রাষ্ট্র পরিচালনার চেষ্টা করেছেন। কারণ তাদের চোখের সামনে ছিল মিসরের জ্বলন্ত দৃষ্টান্ত।

ঘানুশি এতে সফলও হয়েছেন। প্রায় ৭-৮ বছর এভাবে ক্ষমতার বড় একটা অংশ ছিল তাদের হাতে। কিন্তু অর্থনৈতিক সচ্ছলতা আনতে ব্যর্থ হন। এর বিভিন্ন কারণ ছিল। যেমন ছিল অর্থনৈতিক ক্ষেত্রে তাদের দূরদর্শিতার অভাব তেমন ছিল বহির্বিশ্বের অঘোষিত অর্থনৈতিক নিষেধাজ্ঞা। এছাড়াও দেশে বিদেশে তাদের বিরোধীদের চক্রান্ত তো আছেই। আর সঙ্গে আছে দেশের মধ্যের বিভিন্ন সমস্যা। এখন সবচেয়ে বড় যে দুটো সমস্যা সামনে আছে তা হলো অর্থনৈতিক সমস্যা এবং করোনা মোকাবেলায় সরকারের ব্যর্থতা।

আসলে সর্বশেষ ঝামেলাটা শুরু হয় ২০১৯ সালের নির্বাচনের পর। তখন জনগণের ভোটে নির্বাচিত হন বর্তমান প্রেসিডেন্ট কায়েস সায়িদ। রাজনীতিতে কম পরিচিত এই সংবিধান বিশেষজ্ঞ, স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে নির্বাচনে দাঁড়ান।

প্রথম দফার ভোটে তিনি পান ১৮ পারসেন্ট জন সমর্থন। দ্বিতীয় দফায় আন নাহদা পার্টি এবং অন্য সমমনা দলগুলো তাকে সমর্থন দিলে তিনি ৭২ পারসেন্ট ভোটে প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হন।

তিনি নিজেকে মডারেট ইসলামিস্ট হিসেবে তুলে ধরেন। ইসরাইলের বিরুদ্ধে এবং ফিলিস্তিনিদের পক্ষে অবস্থান নেন। কিন্তু ক্ষমতায় আসার পরপরই আন নাহদার সঙ্গে দ্বন্দ্ব শুরু হয়। প্রধানমন্ত্রী এবং মন্ত্রিপরিষদ গঠনে তিনি রাশিদ ঘানুশির আন নাহদার সঙ্গে বিরোধে জড়ান। আর আন নাহদাকে নমনীয় হতে বাধ্য করেন। আন নাহদা তার পছন্দ অনুযায়ী মন্ত্রিপরিষদ গঠন করে এবং তিনি নিজেই তার উপদেষ্টাকে প্রধানমন্ত্রী হিসেবে নিয়োগ দেন।

শেষ পর্যন্ত সরকার গঠন হয় ঠিকই কিন্তু অর্থনৈতিক সমস্যা কাটিয়ে উঠতে আইএমএফের দ্বারস্থ হয় দেশটি। এর মধ্যে শুরু হয় করোনা ভাইরাসের আক্রমণ। ভঙ্গুর অর্থনীতি আরও সংকটে পড়ে।

মানুষের মধ্যে অভাব অনাটন আর করোনা মোকাবেলায় ব্যর্থতার পুরো দোষ পরে আন নাহদা দলটির ওপর। এরই সঙ্গে চলতে থাকে আরব আমিরাত এবং ফ্রান্স-আমেরিকা চক্রান্ত। দেশের মধ্যে বিভিন্ন নামি বেনামি এনজিও, সুশীল সমাজ এবং তথাকথিত অরাজনৈতিক গ্রুপগুলোকে বিপুল পরিমাণ অর্থ দিয়ে সরকারের বিরুদ্ধে ফুসলায় আরব আমিরাত। লোকজন রাস্তায় নামে, করোনা এবং অর্থনীতি নিয়ে মিছিল মিটিং করতে থাকে। বিক্ষোভ করতে থাকে। আন নাহদা পার্টি অফিসে হামলা চালায়। রাষ্ট্রপতিকে আরও কঠোর পদক্ষেপ নিতে আওভান জানায় তারা।

করোনায় মোকাবেলায় তো আসলে কোনো দেশই সফল না। আর এই করোনার ধাক্কায় অনেক দেশই অর্থনৈতিকভাবে সমস্যায় পড়েছে। কিন্তু এ যুক্তি মানতে নারাজ সে দেশের জনগণ। তারা সরকারের বিরুদ্ধে বিক্ষোভ চালায় দিনের পর দিন মাসের পর মাস। তাদেরকে দুবাই, আমেরিকা এবং ফ্রান্স পরিচালিত অনেক গণমাধ্যম ফলাও করে প্রচার করে। আস্তে আস্তে বিক্ষোভ বড় হতে থাকে। আর এই বিক্ষোভের লক্ষ্যবস্তুতে পরিণত হয় আন নাহদা। অন্যদিকে রাষ্ট্রপতি, সেনাবাহিনী এবং গোয়েন্দা সংস্থা নিয়ে পাকাপোক্ত করে অভ্যুত্থানের সব বন্দোবস্ত। কোথায় কখন কিভাবে কী করবেন সবকিছুর ছক আঁকেন তিনি।

দেশের মানুষের চোখকে ধোঁকা দিতে কী কী পদক্ষেপ নিবেন। কাকে জেলে পুরবেন, কাকে নিষ্ক্রিয় করে রাখবেন। কাকে কীভাবে ক্ষমতাচ্যুত করবেন সব কিছুই থাকে এই পরিকল্পনায়। এমনকি এই অভ্যুত্থানের পর মানুষকে শান্ত করতে গ্যাস বিদ্যুৎ এবং পানির বিল মওকুফ করা, জনগণের বিভিন্ন ঋণকে কয়েক মাসের জন্য স্থগিত করাসহ আরও অনেক পরিকল্পনা করেন তিনি।

অভ্যুত্থানের পর বাইরের কয়েকটি দেশ থেকে অর্থনৈতিক সহযোগিতা পাবেন এবং সেগুলোর মাধ্যমে রাতারাতি একটা অর্থনৈতিক সচ্ছলতা নিয়ে আসারও পরিকল্পনা করেন।

আর সে পরিকল্পনা অনুযায়ী, গত রোববার মধ্যরাতে ঘোষণা দিয়ে সরকার বিলুপ্ত করেন এবং প্রধানমন্ত্রীকে বরখাস্ত করেন।

ধারণা করা হয়, রাষ্ট্রপতি প্রধানমন্ত্রীকে তার বাসভবনেই বন্দি করে রেখেছেন। কারণ প্রধানমন্ত্রী একই সঙ্গে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী। অর্থাৎ পুলিশ বাহিনী তারই অধীনে। আর তিউনিসিয়ায় পুলিশ এবং সেনাবাহিনী প্রায় সমান শক্তিশালী। রাষ্ট্রপতি পুলিশ বাহিনীকে বিশ্বাস করতে পারছেন না তিনি সেনাবাহিনী মাঠে নামিয়ে দেন। আর বলেন, কেউ যদি এই আদেশের বিরোধিতা করে তাহলে সেনাবাহিনী তার বিরুদ্ধে অস্ত্র ব্যবহার করবে। আসলে তিনি এই ঘোষণা দেয়ার আগে সেনাপ্রধানদের সঙ্গে বিস্তারিত আলাপ করে একমত হয়েই তবে এই ঘোষণা দেন। ঘোষণার পরপরই বিক্ষোভকারীরা কাইস সাইয়িদের পক্ষে স্লোগান দিতে থাকে।

এদিকে ক্ষমতা হারানো ঘানুশির আন নাহদা এবং অন্য কয়েকটি দল এ সিভিল ক্যু-এর বিরোধিতা করছে। সাধারণ লোকজনকে রাস্তায় নামার ডাক দিয়েছেন। গণতন্ত্র ফিরিয়ে আনতে শান্তিপূর্ণ বিক্ষোভের আহ্বান জানিয়েছেন।

যদি তারা রাস্তায় নামে তাহলে পক্ষে এবং বিপক্ষের দুই গ্রুপ মুখোমুখি হবে। যতই শান্তিপূর্ণ বিক্ষোভ বলা হোক না কেন। সেনা সমর্থিত গ্রুপটি আন নাহদা গ্রুপের ওপর আক্রমণ করবে।

সেনাবাহিনী চুপ করে দেখবে পরিস্থিতি আরও খারাপ হলে সেনাবাহিনী চড়াও হবে এই মুসলিম ব্রাদারহুডের আন নাহদা দলটির ওপর। আর মিসরের মতই তাদেরকে সেনাবাহিনী আক্রমণ করবে হয়তো অনেকে হত্যা করবে এবং শেষ পর্যন্ত আবার তাদের ওপরেই দোষ চাপিয়ে তাদেরকে জেলে পুরবে।

তিউনিসিয়াতেও মিসরের মত মুসলিম ব্রাদারহুডকে একটা সন্ত্রাসী গ্রুপ ঘোষণা মধ্যপ্রাচ্যে এই গ্রুপটির আর লিগ্যাল কোনো পরিচয় রাখতে চায় না মিসর, সৌদি, আমিরাত জোট।

এরকম একটা কিছু হতে পারে। তবে তিউনিসিয়া আরব বিশ্বের সবচেয়ে গণতান্ত্রিক একটা দেশ। সেখানের সেনাবাহিনী মিসরের মত রাজনীতিতে ওতপ্রোতভাবে জড়িত না। মিসরের মত দেশের বড় বড় সব কোম্পানি আর ব্যবসা প্রতিষ্ঠান সেনাবাহিনীর হাতে না। তাই শেষ পর্যন্ত সেনাবাহিনী আসলে কোন দিকে ঝুঁকে বলা মুশকিল। এ ছাড়াও তিউনিসিয়াতে বিভিন্ন পেশাজীবী সংগঠন অনেক শক্তিশালী। এই পেশাজীবী সংগঠনগুলোর সমর্থনও অনেক গুরুত্বপূর্ণ। তাদের সমর্থনে রাজনৈতিক মাঠের মোড় ঘুরে যেতে পারে।

২০১০ সালে সেই আলোচিত আরব বসন্ত শুরু হয়েছিল এই তিউনিসিয়া থেকে। পরে তা ছড়িয়ে পরে লিবিয়া, মিসর, সিরিয়া, জর্ডান, আলজেরিয়া, মরক্কোসহ আরও অনেক আরব দেশে। শান্তিপূর্ণ ক্ষমতা বদল হয় মিসর এবং তিউনিসিয়ায়। লিবিয়া এবং সিরিয়া কাতরাচ্ছে। মিসরে এখন সামরিক জান্তা ক্ষমতায়। বাকি ছিল তিউনিসিয়া। এখন সে দেশটিতেও গণতন্ত্রের কবর রচিত হচ্ছে গণতন্ত্রের দ্বারাই।

নতুন করে উল্টা বসন্তের খেলা শুরু হইয়েছিল সেই ২০১৩ সালে মিসরে মুরসির পতনের পরই। বিশ্ব রাজনীতি আবার নতুন করে ছক আঁকতে শুরু করে এই অঞ্চল নিয়ে।এখন হয়তো আরব বসন্তের কফিনে শেষ পেরেকটি ঠুকে দেয়ার চেষ্টা করা হচ্ছে তিউনিসিয়ার এই অভ্যুত্থানের মাধ্যমে। আরব বিশ্বে গণতন্ত্রের যেটুকু অবশিষ্ট ছিল তাও হয়তো শেষ হয়ে যাবে। ডিক্টেটরদের মদদে হয়তো আবারো মরুরবুকে বিজয়ের নিশান উড়াবে শকুনের দল।

যদিও তিউনিসিয়াতে কে থাকবে আর কে বিদায় হবে, কে কতটুকু সফল হবে তা হয়তো এখনই বলা মুশকিল। কিন্তু দেশটিতে এই সিভিল ক্যু এর কারণে এবার একেবারে একা হয়ে পড়বে তুরস্ক।

লিবিয়ায় তুরস্ক সমর্থিত সরকার যদি আগামী ডিসেম্বরের নির্বাচনে ক্ষমতায় আসে তাদের বিরুদ্ধেও হয়ত একই পদক্ষেপ নিবে এই আরব-আমেরিকা-ফ্রান্স জোট।

লিবিয়া নিয়ে তাদের তৎপরতাতো অনেক আগেই শুরু হয়েছে। এখন এই অঞ্চলে তাদের একমাত্র বাধা হলো তুরস্ক। আসলেই এর পরের টার্গেট কি তুরস্ক?

আমিরাতে অবস্থিত মাফিয়া লিডার সেদাত পেকারের চাঞ্চল্যকর কিছু ভিডিও, আমেরিকার কয়েকটি ফাউন্ডেশনের তুরস্কে বিরোধী মিডিয়াগুলোকে শত শত হাজার কোটি ডলারের অনুদান, দেশের মধ্যে ও বাইরে তুরস্ক বিরোধী চক্রগুলোর মাথা চাড়া দিয়ে উঠা এটাই ইঙ্গিত দেয় যে পরবর্তী টার্গেট হয়তো তুরস্ক। দেখা যাক কে কাকে কখন কিভাবে কতটুকু ছাড় দেয় আর কতটুকু পরাজিত করে।

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here