খবর৭১ঃ চীনের মধ্যাঞ্চলীয় হেনান প্রদেশে চলমান ভয়াবহ বন্যায় মৃতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৫৬ জনে। ১২টিরও বেশি শহরে ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতির খবর পাওয়া গেছে। এরইমধ্যেই অন্তত দুই লাখ মানুষকে নিরাপদ আশ্রয়ে সরিয়ে নেওয়া হয়েছে।
এদিকে উদ্ধার তৎপরতা জোরদার করতে জরুরি উদ্ধারকারী সংস্থার পাশাপাশি মাঠে নেমেছে সেনাবাহিনী।
হেনান প্রদেশের রাজধানী ঝেংঝু শহরের প্রায় পুরোটাই এখন পানির নিচে। চীনের রাষ্ট্রীয় সংবাদ মাধ্যম বলছে, ঝেংঝু শহরে এক বছরে যে পরিমাণ বৃষ্টিপাত হয়, তা হয়েছে মাত্র তিন দিনে। ভারী বৃষ্টিতে সৃষ্ট ভয়াবহ বন্যায় জীবনের অর্থই বদলে গেছে হেনানবাসীর কাছে। বিদ্যুৎ নেই, চলছে বিশুদ্ধ পানি ও খাদ্যের ভয়াবহ সংকট।
বন্যায় শহরের অধিকাংশ রাস্তাঘাট, রেলস্টেশন তলিয়ে যাওয়ায় পুরোপুরি ভেঙে পড়েছে যোগাযোগ ব্যবস্থা। অন্যান্য শহরের সঙ্গে প্রায় বিচ্ছিন্ন হয়ে গেছে প্রাদেশিক রাজধানী ঝেংঝু। এতে ত্রাণ কার্যক্রম ব্যাহত হওয়ায় মানবেতর জীবন যাপন করছে অসংখ্য পরিবার।
এদিকে বন্যার্তদের সহায়তায় সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে বিভিন্ন ধরনের প্রচারণা চালাচ্ছেন স্থানীয়রা। স্বেচ্ছাসেবক হিসেবে উদ্ধারকাজে যোগ দিচ্ছেন অনেকেই। বৃষ্টিপাত অব্যাহত থাকায় পরিস্থিতির আরও অবনতির আশঙ্কা করছে কর্তৃপক্ষ।
অন্যদিকে ভারতের মহারাষ্ট্রে ভারী বৃষ্টি ও ভূমিধসে মৃতের সংখ্যা বেড়ে ১১২ জনে দাঁড়িয়েছে। এখনও বহু মানুষ নিখোঁজ রয়েছে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে। সেনাবাহিনী উদ্ধার তৎপরতায় সহায়তা করলেও কঠিন পরিস্থিতিতে তা ব্যাহত হচ্ছে। ভারী বৃষ্টিতে সৃষ্ট বন্যায় তলিয়ে গেছে ভারতের পশ্চিমাঞ্চলে নদীতীরবর্তী শতাধিক গ্রাম। মুম্বাইসহ কয়েকটি এলাকায় রেড অ্যালার্ট জারি করেছে স্থানীয় সরকার।
দেশটির পশ্চিমাঞ্চলের উপকূলে গত ২৪ ঘণ্টায় ৫৯৪ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়েছে। আক্রান্তদের দ্রুত সহায়তা পাঠাতে ও যেসব বাঁধ উপচে পড়ছে সেগুলো খুলে দেওয়ার নির্দেশ দিয়ে আক্রান্তদের সরিয়ে নেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।