বিধিনিষেধে সীমিত পরিসরে চলবে অধস্তন আদালত

0
264

খবর৭১ঃ করোনা মোকাবেলায় চলমান বিধিনিষেধে অধস্তন আদালত/ট্রাইব্যুনালগুলোর বিচারিক কার্যক্রম সীমিত পরিসরে চালানোর সিদ্ধান্ত হয়েছে। শুক্রবার সুপ্রিম কোর্টের ফুলকোর্ট সভায় এমন সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। পরে এ সংক্রান্ত একটি বিজ্ঞপ্তি দিয়েছে সুপ্রিম কোর্ট।

শুক্রবার রাতে সুপ্রিম কোর্টের রেজিস্ট্রার জেনারেল মো. আলী আকবর স্বাক্ষরিত বিজ্ঞপ্তিতে এমন তথ্য জানানো হয়েছে। বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, সুপ্রিম কোর্টের উভয় বিভাগের বিচারপতিদের অংশগ্রহণে অনুষ্ঠিত ফুলকোর্ট সভায় উদ্ভূত পরিস্থিতিতে এমন সিদ্ধান্ত নেওয়া হলো।

সেখানে বলা হয়েছে, আগামী ৫ আগস্ট পর্যন্ত অধস্তন আদালত/ট্রাইব্যুনালগুলোর কার্যক্রম সীমিত পরিসরে পরিচালনা করার সিদ্ধান্ত হয়েছে। প্রত্যেক জেলার জেলা ও দায়রা জজ দেওয়ানি ও ফৌজদারি এবং মহানগর দায়রা জজ ফৌজদারি জরুরি দরখাস্তগুলো প্রয়োজন অনুযায়ী তারিখ ও সময় নির্ধারণ করে ভার্চুয়াল পদ্ধতিতে শুনানি ও নিষ্পত্তি করতে পারবেন।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, সাংবিধানিক বাধ্যবাধকতায় প্রত্যেক চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট/চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে একজন ম্যাজিস্ট্রেট এবং ঢাকা, চট্টগ্রাম ও রাজশাহী জেলা/মহানগরে চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট/চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে এক বা একাধিক ম্যাজিস্ট্রেট যথাযথ স্বাস্থ্যবিধি অনুসরণ করে শারীরিক উপস্থিতিতে দায়িত্ব পালন করবেন।

এ সময় আইনের সঙ্গে সংঘাতে জড়িত শিশুকে সাংবিধানিক বাধ্যবাধকতায় শারীরিক উপস্থিতিতে দায়িত্ব পালনরত ম্যাজিস্ট্রেটের কাছে উপস্থাপন করা যাবে।

দি নেগোশিয়েবল ইনস্ট্রুমেন্টস অ্যাক্ট, ১৮৮১ সহ যেসব আইনে মামলা/আপিল দায়েরের ক্ষেত্রে সুনির্দিষ্ট সময়সীমা নির্ধারিত আছে, সেসব আইনের অধীনে মামলা/আপিল শারীরিক উপস্থিতিতে আদালতের কার্যক্রম শুরু হওয়ার সাত দিনের মধ্যে তামাদির মেয়াদ অক্ষুণ্ণ গণ্যে দায়ের করা যাবে।

বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়, ৫ আগস্ট পর্যন্ত অধস্তন আদালতে কর্মরত সব বিচারক এবং আদালতের কর্মকর্তা-কর্মচারীকে কর্মস্থল ত্যাগ না করার জন্য নির্দেশ প্রদান করা হলো। এ সময়ে জরুরি প্রয়োজন ছাড়া আইনজীবী এবং বিচারপ্রার্থীদের আদালত প্রাঙ্গণে না আসার জন্য নির্দেশক্রমে অনুরোধ করা হলো।

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here