খবর৭১ঃ শততম টি-টোয়েন্টি জয়ে রাঙালেও দ্বিতীয় টি-টোয়েন্টিতে ব্যর্থ হয়েছে বাংলাদেশ। সিরিজে এই প্রথমবার তাদের কোনও ম্যাচে হারালো জিম্বাবুয়ে। দ্বিতীয় টি-টোয়েন্টিতে ২৩ রানে হেরেছে বাংলাদেশ। সিরিজে স্বাগতিকরা সমতায় (১-১) ফেরায় শেষ ম্যাচটি হয়ে থাকলো সিরিজ নির্ধারণী।
দুই ওপেনার ফিরে গেলেও বাংলাদেশ মূলত বিপদে পড়ে যায় সাকিব ও মাহমুদউল্লাহ রিয়াদের বিদায়ে। দলীয় ৪৫ ও ৫২ রানে বামহাতি ওয়েলিংটন মাসাকাদজার বোলিংয়ে সাজঘরে ফিরে যান দুজন। এই দুজনের বিদায়েই কক্ষপথ থেকে ছিটকে গেছে সফরকারী দল। সোহানের বিদায়ে ৬ উইকেট পড়ে গেলেও দলকে খাদের কিনারা থেকে টেনে তোলার একটা চেষ্টা দেখা গিয়েছিল অভিষিক্ত শামীম হোসেনের। এই তরুণ টিকে থাকলে একটা সম্ভাবনা ছিল। কিন্তু ১৩ বলে ২৯ রানের মিনি ঝড় তুলেই থামতে হয়েছে তাকে। জংউইর বলে মাসাকাদজাকে ক্যাচ দিয়ে ফিরেছেন তিনি। এর পর চাপ বেড়ে যাওয়ায় সেখান থেকে আর মাথা তুলে দাঁড়াতে পারেনি বাংলাদেশ।
সাইফউদ্দিন-আফিফ জুটিতে ক্ষীণ সম্ভাবনা থাকলেও পাহাড় সমান চাপে সেটি শেষ হয় আফিফের ২৪ রানের বিদায়ে। এর পর সাইফউদ্দিনও ১৯ রানে ও তাসকিন ৫ রানে ফিরলে ১৯.৫ ওভারে বাংলাদেশের ইনিংস শেষ হয় ১৪৩ রানে।
৪ ওভারে ২০ রানে ৩ উইকেট নিয়েছেন মাসাকাদজা। ৩.৫ ওভারে ৩১ রানে ৩টি নিয়েছেন লুক জংউইও। ২৪ রানে দুটি নিয়েছেন টেন্ডাই চাতারা, ২১ রানে সমসংখ্যক শিকার ব্লেসিং মুজারাবানিরও।
জিম্বাবুয়ের দেওয়া ১৬৭ রানের লক্ষ্যে শুরু থেকেই নড়বড়ে ছিল বাংলাদেশের ব্যাটিং। প্রথম ম্যাচ জিততে দুই ওপেনার সৌম্য সরকার ও মোহাম্মদ নাঈম অসাধারণ ভূমিকা রাখলেও এই ম্যাচে হতাশ করেন দুজনেই। ১৭ রানে ফিরে যান তারা।
দ্রুত দুই উইটেট পড়ে যাওয়ায় রান তোলায় মনোযোগী হয়েছিলেন মেহেদী ও সাকিব। চেষ্টাও করেছিলেন দুজন। পাওয়ার প্লেতে পর্যাপ্ত রান তুলে দিলেও সাকিব সপ্তম ওভারে বিপদ ডেকে আনেন বেশি বাইরে এসে খেলতে গিয়ে। বামহাতি স্পিনার মাসাকাদজার বলে ক্যাচ তুলে দেন কভারে। সাকিব বিদায় নেন ১০ বলে ১২ রানে। এরপর শট খেলার লোভ সামলাতে না পেরে বিপদটা আরও বাড়িয়ে দিয়ে যান মাহমুদউল্লাহ। মাসাকাদজার বলে ক্যাচ উঠিয়ে দিয়েছেন লং অনে। টি-টোয়েন্টি অধিনায়কের সংগ্রহ ছিল মাত্র ৪ রান।
গুরুত্বপূর্ণ সময়ে অভিজ্ঞ দুই ক্রিকেটারের বিদায়ের পর শঙ্কাটা আরও বাড়িয়ে দেন মেহেদী। সেই মাসাকাদজার স্পিনে শট খেলার তাড়নায় ক্যাচ উঠিয়ে দিয়েছেন লং অফে। মূলত ঝটপট এই তিন উইকেট পতনেই ম্যাচ থেকে ছিটকে গেছে বাংলাদেশ।
টি-টোয়েন্টিতে যে সোহানকে ঘিরে প্রত্যাশা ছিল তার ছিটেফোঁটাও দেখাতে পারলেন না দলের বিপদের সময়। ডিপ পয়েন্টে তিনিও ক্যাচ তুলে ফিরেছেন মাত্র ৯ রানে।
শুরুতে জিম্বাবুয়ে টস জিতে ব্যাটিংয়ের সিদ্ধান্ত নিয়ে সংগ্রহ করে ৬ উইকেটে ১৬৬ রান। আগের ম্যাচে দেড়শো ছাড়ানো ইনিংস খেললেও এই ম্যাচে তারা চ্যালেঞ্জিং স্কোর গড়তে পেরেছে মূলত ওয়েসলে মেধেভেরের আগ্রাসী ব্যাটিংয়ে। তার ৫৭ বলে করা ৭৩ রানের ম্যাচসেরা ইনিংসই গড়ে দেয় বড় স্কোরের ভিত। তাতে ছিল ৫টি চার ও ৩টি ছয়। শেষ দিকে রায়ান বার্ল ১৯ বলে ৩৪ রানের ঝড়ো গতিতে ব্যাট চালালে সমৃদ্ধ হয় তাদের স্কোরবোর্ড।