বেশি তেলমশলাযুক্ত খাবার খাওয়ার পর করণীয়

0
206

খবর৭১ঃ বেঁচে থাকার জন্য খাদ্যের কোন বিকল্প নেই। সুস্বাস্থ্যের জন্য প্রতিটি মানুষের প্রয়োজন বিশুদ্ধ ও পুষ্টিকর খাদ্য। অনেক সময় আমরা অতিরিক্ত তেলযুক্ত খাবার খেয়ে ফেলি। তৈলাক্ত খাবার খাওয়া কোনভাবেই স্বাস্থ্যের জন্য ভালো নয়। গরমে বেশি তেলমশলা দেওয়া খাবার খেলে শরীর খারাপ হতে পারে৷

বর্তমান সময়ে হাজারো তেলে ভাজা খাবার থেকে শুরু করে মাংস, ফার্স্ট ফুড – সুস্বাদু সকল খাবার বা যে খাবারগুলো আমরা প্রতিদিন বেশি বেশি খেয়ে থাকি সবকিছুই অতিরিক্ত তেলযুক্ত। বেশি ডুবো তেলে ভাজা ও অতিরিক্ত তেলযুক্ত খাবার খাওয়া হলে অস্বস্তিবোধ কাজ করে।

মশলাযুক্ত খাবার একদিকে যেমন পেটের সমস্যা তৈরি করে, অন্যদিকে মেদ বৃদ্ধিতেও অবদান রাখে। ফলে মশলাযুক্ত খাবার এড়িয়ে যাওয়া প্রয়োজন সবসময়। এরপরও তেলযুক্ত খাওয়া হয়েই যায় কোনো না কোনো সময়। এমন খাবার খাওয়ার পর কি করা প্রয়োজন সেটাই জেনে রাখুন।

ডিটক্স ওয়াটার পান করুন

ডিটক্স ওয়াটার পান করলে শরীরের ভেতরের টক্সিন ও ক্ষতিকর উপাদানদের বের হয়ে যায়। কয়েকটি পরীক্ষায় দেখা গিয়েছে তেলযুক্ত খাবার খাওয়ার পরবর্তী সময়ে ডিটক্স ওয়াটার পান করলে শরীরে নেতিবাচক প্রভাব পড়তে পারে না। ডিটক্স ওয়াটার তৈরির জন্য সাধারণত লম্বা সময় প্রয়োজন হয়। তবে তাৎক্ষণিকভাবে তৈরি করতে চাইলে পানি, লেবুর রস ও শসার রস একসঙ্গে মিশিয়ে পান করুন।

হালকা গরম পানি পান করুন

তৈলাক্ত খাবার খাওয়ার পর হালকা গরম পানি পান করলে পাকস্থলীর কার্যকারিতা বৃদ্ধিতে সহায়তা করবে। এছাড়া হালকা গরম পানি পান করা হলে গ্রহণকৃত খাদ্য ভালোভাবে হজম হয়। তৈলাক্ত খাবার থেকে পেটের সমস্যার সম্ভাবনা কমে আসে।

শসা খেতে হবে

শসা শরীরের বাড়তি চর্বিকে কমিয়ে আনতে সবচেয়ে উপকারী একটি সবজি। এ কারণেই ওজন কমানোর ক্ষেত্রে খাদ্যাভ্যাসে শসার প্রতি গুরুত্ব দেওয়া হয় বেশি। তৈলাক্ত খাবার খাওয়ার এক থেকে দু ঘন্টা পর কচি শসা লবণ ছাড়া খেয়ে নিন।

খেতে হবে সাইট্রাস ফল

লেবু, কমলালেবু, বাতাবিলেবুকে বলা হয় সাইট্রাস ঘরানার ফল। টক স্বাদের এই ফলগুলো থেকে পাওয়া যাবে পর্যাপ্ত পরিমাণ ভিটামিন সি। এছাড়া এই ফলগুলোতে থাকা অ্যাসিড তেল ও চর্বির নেতিবাচক প্রভাবকে কমিয়ে আনতেও কার্যকরী। তৈলাক্ত খাবার খাওয়া শেষে যে কোনো ফল সম্পূর্ণ অথবা অন্যান্য ফলের সঙ্গে মিশিয়ে ফ্রুট সাল্যাড হিসেবে খেলে উপকার পাওয়া যাবে।

খাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে ঘুমাবেন না

ভারী খাবারে পর সঙ্গে সঙ্গে বিছানায় যাওয়া ঝুঁকিপূর্ণ হতে পারে। তাই বেশি তেলমশলার খাবার খাওয়ার ২-৩ ঘন্টা পর ঘুমোতে যাওয়া উচিত। খাওয়ার পরপরই ঘুমানো খাবার হজম করতে সমস্যা করে। এটি প্রদাহের সাথে সাথে চর্বি জমে যাওয়ার সম্ভাবনা ব্যাপকভাবে বাড়িয়ে তোলে।

প্রোবায়োটিক খাবার খান

প্রোবায়োটিকের নিয়মিত সেবন হজম স্বাস্থ্যের নিয়ন্ত্রণে অনেক সহায়তা করে। কেবল এটিই নয়, অনাক্রম্যতা শক্তিশালী করতে আপনি ডায়েটে প্রোবায়োটিক অন্তর্ভুক্ত করতে পারেন। তৈলাক্ত খাবার খাওয়ার পরে এক কাপ দই খেলে অনেক আরাম পাওয়া যায়। এটি আপনার পেটকে শক্তিশালী করার সেরা উপায়।

খাওয়া শেষে হাঁটুন

তৈলাক্ত খাবার খাওয়ার পরেই নয়, প্রতিবার খাবার খাওয়ার পরেই অন্তত ১০০ কদম হাঁটা প্রয়োজন। এতে করে খাবার ভালোভাবে পরিপাক হতে পারে এবং খাবারের ফ্যাট শরীরে জমতে পারে না। তবে তৈলাক্ত খাবারের বাড়তি ফ্যাট যেহেতু সহজেই তলপেটে জমে যায়, তাই এমন খাবার খাওয়ার পর অন্তত ২০ মিনিট সময় নিয়ে ধীরে হাঁটতে হবে।

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here