ঠাকুরগাঁও প্রতিনিধি: ১১টি ঔষধী গুনাগুন এবং ডায়াবেটিক রোগীদের চা তৈরির স্টেভিয়া প্রজাতির জিরো ক্যালরি প্রাকৃতিক মিষ্টি সমৃদ্ধ উদ্ভিদের চাষ হচ্ছে ঠাকুরগাঁওয়ে।
মানব দেহের বিভিন্ন রোগ নিরাময়ে এ উদ্ভিদের উপাদান বিশেষ ভুমিকা রাখে বলে জানিয়েছেন বিজ্ঞানীরা। স্টেভিয়ার পাতা চিনির চেয়ে ৩০থেকে ৪০ গুন এবং পাতার স্টেভিওসাইড চিনির থেকে ৩০০গুন বেশি মিষ্টি। স্টেভিয়া সেবনে উচ্চ রক্তচাপ,হার্ট এটাক,স্টোক নিয়ন্ত্রণ সহ ভিভিন্ন রোগ প্রতিরোধে কাজ করে।
এই গাছটির আদি উৎপত্তি স্থল পেরাগুয়ে। ঐ দেশে ১৯৬৪ সালে প্রথম বাণিজ্যিক ভাবে স্টিভিয়ার চাষ শুরু হয়।
বর্তমানে জাপান,কোরিয়া,যুক্তরাষ্ট্র,ব্রাজিল,মেক্সিকো,থাইল্যান্ড ও ভারত সহ বিভিন্ন দেশে দূর্লভ এই প্রজাতির স্টেভিয়ার ফসল হিসেবে চাষ হচ্ছে।২০০১ সালে বাংলাদেশ ইক্ষূ গবেষণা ইনস্টিটিউট মানব দেহের উপকারি এই উদ্ভিদটি থাইল্যান্ড থেকে সংগ্রহ করে । দীর্ঘ গবেষণার পর পাবনার ঈর্শ্বরদী ও ঠাকুরগাঁওয়ে স্টিভিয়া বা মিষ্টি পাতা প্রজাতির উদ্ভিদের চাষ শুরু হয়েছে। বর্তমানে ঠাকুরগাঁওয়ের শিবগঞ্জ এলাকায় বাণিজ্যিক ভাবে স্টেভিয়া চাষ করছেন বাংলাদেশ স্টেভিয়া এন্ড ফুড ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেড নামের একটি প্রতিষ্ঠান বলে জানান,ঠাকুরগাঁও সুগারক্রপ গবেষণা কেন্দ্রের বিজ্ঞানী ড.শরিফুল ইসলাম।
উৎপাদিত স্টেভিয়ার পাতা সংগ্রহ করে ঠাকুরগাঁওয়ের পীরগঞ্জে প্যাকেজিং করছেন প্রতিষ্ঠানটি।