খবর৭১ঃ দেশে গত ২৪ ঘণ্টায় মহামারি করোনাভাইরাসে মৃত্যুর নতুন রেকর্ড সৃষ্টি হয়েছে। এই সময়ে মারা গেছে ২৩১ জন। এর আগে একদিনে সর্বোচ্চ ২৩০ জনের মৃত্যুর রেকর্ড ছিল। এ নিয়ে দেশে করোনায় মারা গেলেন ১৮ হাজার ১২৫ জন। গত ২৪ ঘণ্টায় ১৩ হাজার ৩২১ জনের দেহে করোনা শনাক্ত হয়েছে। এ পর্যন্ত করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন ১১ লাখ ১৭ হাজার ৩১০ জন।
সোমবার বিকালে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক (প্রশাসন) নাসিমা সুলতানা স্বাক্ষরিত বিজ্ঞপ্তিতে এসব তথ্য জানানো হয়।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তর জানায়, গত ২৪ ঘণ্টায় করোনার নমুনা সংগৃহীত হয়েছে ৪৬ হাজার ৪৫১টি আর নমুনা পরীক্ষা হয়েছে ৪৫ হাজার ১২টি। দেশে এখন পর্যন্ত করোনার মোট নমুনা পরীক্ষা হয়েছে ৭৩ লাখ ৩৯৯টি। এর মধ্যে সরকারি ব্যবস্থাপনায় পরীক্ষা হয়েছে ৫৩ লাখ ৬০ হাজার ৩১২টি আর বেসরকারি ব্যবস্থাপনায় পরীক্ষা হয়েছে ১৯ লাখ ৪০ হাজার ৮৭টি।
গত একদিনে করোনা থেকে সুস্থ হয়েছেন নয় হাজার ৩৩৫ জন। এ পর্যন্ত করোনামুক্ত হয়েছেন নয় লাখ ৪১ হাজার ৩৪৩ জন। গত ২৪ ঘণ্টায় নমুনা পরীক্ষা বিবেচনায় করোনা শনাক্তের হার ২৯ দশমিক ৫৯ শতাংশ। এ পর্যন্ত করোনা শনাক্তের গড় হার ১৫ দশমিক ৩০ শতাংশ। সুস্থতার হার ৮৪ দশমিক ২৫ শতাংশ। করোনায় মৃত্যুর হার ১ দশমিক ৬২ শতাংশ।
মৃত ২৩১ জনের মধ্যে ঢাকা বিভাগের ৭৩ জন, চট্টগ্রাম বিভাগের ৪৩ জন, রাজশাহী বিভাগের ১৬ জন, খুলনা বিভাগের ৫৭ জন, বরিশাল বিভাগের ছয়জন, সিলেট বিভাগের আটজন, রংপুর বিভাগের ১৭ জন এবং ময়মনসিংহ বিভাগের ১১ জন।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের বিজ্ঞপ্তি সূত্রে জানা যায়, করোনায় নতুন মৃত ২৩১ জনের মধ্যে পুরুষ ১৩৬ ও নারী ৯৫ জন। এদের মধ্যে সরকারি হাসপাতালে ১৬৭ জন, বেসরকারি হাসপাতালে ৪৬ জন এবং বাড়িতে ১৮ জন মারা যান। এদের মধ্যে বয়সের হিসাবে দশোর্ধ একজন, বিশোর্ধ ছয়জন, ত্রিশোর্ধ্ব ৯ জন, চল্লিশোর্ধ্ব ৩৩ জন, পঞ্চাশোর্ধ্ব ৪৩ জন, ষাটোর্ধ ৭৪ জন, সত্তোরোর্ধ্ব ৪৪, আশির্ধ্ব ১৯ এবং নব্বই বছরের বেশি বয়সী চারজন।
গত বছরের ৮ মার্চ দেশে প্রথম করোনা রোগী শনাক্ত হয়। এর ১০ দিন পর ১৮ মার্চ প্রথম মৃত্যুর খবর আসে। কয়েক মাস সংক্রমণ ও মৃত্যুর হার ঊর্ধ্বগতিতে থাকার পর অনেকটা নিয়ন্ত্রণে চলে আসে। চলতি বছরের শুরুতে করোনাভাইরাসের প্রকোপ অনেকটা নিয়ন্ত্রণে ছিল। তখন শনাক্তের হারও ৫ শতাংশের নিচে নেমেছিল। তবে গত মার্চ মাস থেকে মৃত্যু ও শনাক্ত আবার বাড়তে থাকে।