খবর৭১ঃ প্রাণঘাতী করোনাভাইরাসের টার্গেট থাকে বেশি বয়স্কদের দিকে। বয়স্কদের জন্য রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে সুষম খাবারের পাশাপাশি হাঁটা জরুরি। কারণ যে কোনো বয়সে হাঁটা উত্তম ব্যায়াম। সকালের মনোরম পরিবেশে হাঁটা খুবই উপকারী। ডায়াবেটিস, উচ্চ রক্তচাপ, হৃদরোগ, ওজনাধিক্য আছে এমন ব্যক্তিদের নিয়মিত হাঁটার পরামর্শ দিয়ে থাকেন চিকিৎসকেরা।
একটু বয়স হলেই হাঁটতে গেলে বেশ কিছু সমস্যার সম্মুখীন হতে হয়। অনেকেই একরকমভাবে একটানা হাঁটতে পারেন না। আবার শরীরের কোনও অংশে ব্যথা থাকলে সেই জন্যও মাঝে মাঝে হাঁটার গতি শ্লথ হয়ে যেতে পারে। এ ছাড়াও মাঝেমাঝে ভারসাম্যেরও সমস্যা দেখা দিতে পারে। এই সব সমস্যা এড়িয়ে ঠিকভাবে হাঁটার জন্য কিছু জিনিস মেনে চলা উচিত।
হাঁটার আগে হালকা ব্যায়াম করে নিলে উপকার পাবেন। স্ট্রেচিং করা বা চেয়ারে খানিকটা ওঠা-বসা করা এইগুলো করতে পারেন। এতে শরীরের পেশিগুলো একটু সচল হবে, যা সকালে হাঁটতে যাওয়ার আগে উপকারী। হাঁটার সময় ছোট ছোট পা ফেলুন, কিন্তু স্বাভাবিকভাবে হাঁটুন।
সকাল বেলা হাঁটতে যাওয়ার আগে ভারী খাবার খাওয়া কারও জন্যেই ঠিক নয়, আর বয়স্ক ব্যক্তিরাও এসব খেয়ে হাঁটতে যাবেন না। এতে হাঁটতে কষ্ট হতে পারে, তাই হালকা কোনও কিছু খেয়ে হাঁটতে যান। হাঁটতে যাওয়ার আগে বেশি পরিমাণে পানি খাওয়া জরুরি।
হাঁটতে গিয়ে যাতে কোনও সমস্যার সম্মুখীন না হন, তাই মোবাইল সঙ্গে রাখুন। ছোট একটি ব্যাগে পানির বোতল ও ঘাম মোছার তোয়ালে সঙ্গে রাখতে ভুলবেন না।
হাঁটতে গিয়ে যদি পায়ের জুতা ঠিক মতো না হয়, তা হলে সমস্যা। একটু হাঁটলেই হয়তো দেখবেন পায়ে কষ্ট হচ্ছে। তাই এমন জুতা বাছুন, যা হাঁটার সময় পরে আরাম পাবেন। তবে খুব নরম জুতা ব্যবহার করবেন না।
হাত বা পায়ে ভারী ওজন বহন করবেন না। করতে হলে পিঠে ব্যাগ নিয়ে নিন। অন্ধকারে, গাড়ির রাস্তায় বা উঁচুনিচু রাস্তায় হাঁটবেন না।
পঞ্চাশোর্ধ্ব পুরুষ ও চল্লিশোর্ধ্ব নারীরা আগে চিকিৎসকের কাছ থেকে জেনে নিন, কতটুকু পরিশ্রম করা আপনার পক্ষে সম্ভব।