খবর৭১ঃ মাইগ্রেন এক বিশেষ ধরনের মাথাব্যথা। মাথার যেকোন একপাশ থেকে শুরু হয়ে অনেক সময় পুরো মাথায় ব্যথা করে। এতে মস্তিষ্কে স্বাভাবিক রক্তপ্রবাহ ব্যাহত হয়। মস্তিষ্কের বহিরাবরণে যে ধমনীগুলো আছে, সেগুলো মাথাব্যথার শুরুতে স্ফীত হয়ে যায়। বমি বমি ভাব হয়। রোগীর দৃষ্টিবিভ্রমও ঘটতে পারে।
মাইগ্রেন পুরুষদের চেয়ে নারীদের বেশি হয়। এটি জিনঘটিত রোগ। পরিবারের কারও মাইগ্রেন থাকলে, অন্য সদস্যদের হওয়ার সম্ভাবনা বেশি। মস্তিষ্কের ট্রাইজেমিনাল নার্ভ উত্তেজিত হলে এই ব্যথা শুরু হয়। সেরেটোনিন নামক কেমিক্যালের ভারসাম্য বিঘ্নিত হলে এই ব্যথা হয় বলে মত চিকিৎসকদের।
কিন্তু কীভাবে দমিয়ে রাখা যায় যন্ত্রণাদায়ক মাইগ্রেন? সমস্যা গুরুতর হলেও হাতের কাছেই রয়েছে সমাধান। প্রতিদিনকার খাবার তালিকায় কিছু খাবার রাখলে মাইগ্রেন থেকে অনেকটাই নিষ্কৃতি পাওয়া যায়। তাহলে চলুন জেনে আসি, প্রতিদিন কোন কোন খাবার খেলে এই রোগ নিয়ন্ত্রণে রাখা যাবে।
বাদাম: এটি খুবই পরিচিত ও সহজলভ্য একটি খাবার। বাদামে থাকে ম্যাগনেশিয়াম। সঙ্গে থাকে বিভিন্ন ধরনের উপাদান। এসব উপাদানই মাইগ্রেনের ব্যথা কমাতে সাহায্য করে। ফলে কাজের ফাঁকে মাঝেমধ্যে এই স্বাস্থ্যকর খাবারটি খেয়ে নেয়াই যায়। কাঠবাদাম, কাজুবাদাম, আখরোট খাওয়ার অভ্যাস করা যেতেই পারে।
ওটস্: রক্তের শর্করার মাত্রা নিয়ন্ত্রণ করে এই খাবার। ডায়াবেটিস থাকলে অনেক ধরনের শারীরিক অসুবিধা বেড়ে যাওয়ার প্রবণতা দেখা দেয়। ফলে রক্তের শর্করার মাত্রা নিয়ন্ত্রণে থাকলে মাইগ্রেনের ব্যথাও খানিকটা নিয়ন্ত্রণে রাখা সম্ভব হয় বলে মনে করেন চিকিৎসকরা।
পানি: বহু শারীরিক সমস্যার সমাধানই করতে পারে পানি। মাইগ্রেনের ব্যথার ক্ষেত্রেও এ কথা সত্যি। নিজের শরীরে পানির মাত্রা যথেষ্ট রাখা প্রয়োজন। দিনে ৮ থেকে ১০ গ্লাস পানি পান করলে মাইগ্রেনের সমস্যা অনেকটাই নিয়ন্ত্রণে রাখা সম্ভব।
ভিটামিন বি-২: এই ভিটামিনের পরিমাণ শরীরে বাড়লে মাইগ্রেনের ব্যথাও কম হয়। মাছ, মাংস, ডিম, দুগ্ধজাত খাদ্য, চিজ, বাদামে ভিটামিন বি-২ এর পরিমান বেশি মাত্রায় থাকে।
হারবাল চা: মাইগ্রেনের ব্যথার জন্য হারবাল চা খুবই উপকারী। আদা কুঁচি ও লেবু দিয়ে চা খেলে যেকোনো ব্যথার পরিমাণ অনেকটাই কমে যায়।
গোলমরিচ: মাইগ্রেন থেকে রক্ষা পেতে গোলমরিচের বিকল্প নেই। এক কাপ গরম পানিতে গোলমরিচ মিশিয়ে খেলে উপকার পাওয়া যাবে। সঙ্গে মধু আর লেবু মিশিয়ে নিতে পারেন।