শরীয়তপুর প্রতিনিধি:
পানি সম্পদ উপমন্ত্রী ও আওয়ামীলীগের সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক একেএম এনামুল হক শামীম এমপি বলেছেন, মানুষের বিপদে যারা পাশে থাকে না; তাদের রাজনীতি করার নৈতিক অধিকার নেই। বিএনপি গত দেড় বছর করোনাকালিন সময়ে মানুষের পাশে থাকে নাই। তাদের নেত্রী খালেদা জিয়া এতিমের টাকা মেরে খেয়ে জেলে যায়। আর তার ছেলে সাজাপ্রাপ্ত আসামী হয়ে তারেক রহমান বিদেশে পলাতক। তারা ক্ষমতায় থাকতে দেশটাকে লুটে পটে খেয়েছে। ক্ষমতায় যেতে না পেরে পেট্টোল বোমা মেরে মানুষ হত্যা করেছে। তারা মুখে বড় বড় কথা বললেও দেশ ও দেশের মানুষের সংকটে তাদের আর দেখা যায় না। তারা দেশ বিরোধী বিভ্রান্তি ছড়াতে ও ষড়যন্ত্র করতে পটু। তারা মাঝে মাঝে এসিরুমে বসে শব্দ বোমা ফাটায়। এদেশের জনগণ আর তাদের বিশ্বাস করে না। একারণেই বিএনপি একটি জনবিচ্ছিন্ন দলে পরিণত হয়েছে।
শনিবার সকালে শরীয়তপুরের নড়িয়ায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও বাংলাদেশ আওয়ামীলীগের পক্ষ থেকে ৫ শতাধিক পরিবারকে নগদ অর্থ প্রদানকালে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। এসময় তিনি নড়িয়া উপজেলার বিভিন্ন দপ্তরে ১০ হাজার পিস মাক্স প্রদান করেন। পরে তিনি নড়িয়ার পদ্মার ডানতীর রক্ষা প্রকল্পের কাজের অগ্রগতি পরিদর্শন ও উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স পরিদর্শন সহ বিভিন্ন উন্নয়ন মূলক কর্মকান্ড পরিদর্শন করেন। এসময় তাঁর সঙ্গে ছিলেন, পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পশ্চিম) প্রধান প্রকৌশলী আব্দুল হেকিম, শরীয়তপুরের নির্বাহী প্রকৌশলী এসএম আহসান হাবীব, শরীয়তপুরের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মিজানুর রহমান, নড়িয়ার ইউএনও শেখ রাশেদুজ্জামান, নড়িয়া পৌরসভার মেয়র আবুল কালাম আজাদ, আওয়ামীলীগের কেন্দ্রীয় বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি উপ-কমিটির সদস্য জহির সিকদার, উপজেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি ফজলুল হক মাল, সহ-সভাপতি বাদশা শেখ, সাধারন সম্পাদক হাসানুজ্জামান খোকন, উপজেলা ভাইস-চেয়ারম্যান জাকির বেপারী, মহিলা ভাইস-চেয়ারম্যান নাজমা মোস্তফা প্রমূখ।
তিনি আরও বলেন, একমাত্র বঙ্গবন্ধু কন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে আওয়ামীলীগই সব সংকটে মানুষের পাশে থাকে। একারণেই তিনি মাদার অব হিউমিনিটি। তিনি সততায় সেরা, মেধায় সেরা, যোগ্যতায় সেরা। সেরাদের সেরা প্রধানমন্ত্রী হচ্ছেন জননেত্রী শেখ হাসিনা। একারণে বিশ্বনেতৃবৃন্দও বলেন, “বঙ্গবন্ধুর বাংলাদেশ; বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনার হাতেই নিরাপদ। মেধা ও যোগ্যতা দিয়ে তিনি সারাবিশ্বকে নেতৃত্ব দিতে পারেন।”
এদিকে স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স পরিদর্শনকালে উপমন্ত্রীকে তারা জানান, হাসপাতালে পর্যাপ্ত পরিমাণে অক্সিজেন মজুত রয়েছে এবং কোভিড আক্রান্ত রোগীদের ১০ বেড থেকে উন্নীত করে ২০ করা হয়েছে। অন্যদিকে “ডাক্তারের কাছে রোগী নয়, রোগীর কাছে ডাক্তার” এই শ্লোগানে উপমন্ত্রীর ব্যক্তিগত উদ্যোগে ভ্রাম্যমান মেডিক্যাল টিম প্রতিদিনই নড়িয়া উপজেলা ও সখিপুর থানার বিভিন্ন এলাকায় রোগীদের স্বাস্থ্যসেবা দিচ্ছে।