খবর৭১,ফারুক ইফতেখার সুমন,(ময়মনসিংহ) প্রতিনিধি-
ময়মনসিংহের ঈস্বরগঞ্জে ব্রহ্মপুত্র নদের পানি বাড়ায় তলিয়ে যাচ্ছে উচাখিলার মরিচারচর নতুনচর গ্রামটি। ইতোমধ্যে গ্রামের অর্ধশত বাড়িতে পানি উঠে গেছে। খাদ্য সংকট দেখা দিয়েছে মানুষ ও গবাদি পশুর। গত বৃহস্পতিবার রাত থেকে ব্রহ্মপুত্র নদে পানি বাড়ায় ভাঙনের কবলে পরেছে নতুনচর গ্রাম। গ্রামটির প্রায় ৩ হাজার মানুষ পানিবন্দি হয়ে পড়েছে। শনিবার দূপুরে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা এলাকাটি পরিদর্শণ করেছেন।
উপজেলার উচাখিলা ইউনিয়নের মরিচারচর নতুনচর গ্রামে প্রায় ৩ হাজার মানুষ বসবাস করে। দেশের বন্যা পরিস্থিতির সাথে সাথে গত বৃহস্পতিবার রাত থেকে নতুনচর এলাকায় পানি দ্রুত গতিতে বাড়ছে বলে জানিয়েছেন নতুনচরবাসীরা। নতুন চরের অর্ধশত বাড়িতে পানি উঠে গেছে। ওই অবস্থায় পানিবন্দি হয়ে দিনযাপন করছেন বাসিন্দারা। শনিবার এলাকায় গিয়ে দেখা যায়, পানির মধ্যে নতুন চরের বাড়িঘর ভাসছে। পানি বাড়তে থাকায় পুরো গ্রামটি পানিতে তলিয়ে যাওয়া এবং নদীগর্ভে বিলীন হওয়ার আশঙ্কার কথা জানিয়েছেন স্থানীয়রা। পুরো চর এলাকায় দেখা দিয়েছে সাপে কাঁটার আতংক। চারদিক পানিতে ডুবে যাওয়ায় রাতের বেলায় বসত ঘরে আশ্রয় নিচ্ছে সাপ। গতকাল শনিবার দূপুরে এলাকাটি পরিদর্শণ করেছেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মিতু মরিয়ম, প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা মুহিতউল ইসলাম ও স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান শফিকুল ইসলাম।
নতুনচরবাসীরা জানায়, দ্রুত পানি বেড়ে যাওয়ায় তাদের সব তলিয়ে যাচ্ছে। নদী ভাঙনের ফলে ইতোমধ্যে প্রায় ২০টি পরিবারের বসত ঘর ব্রহ্মপুত্রনদীতে বিলীন হয়ে গেছে। ফলে মানুষ খুব কষ্টের মধ্যে পড়ে গেছে। মানুষ ও গবাদি পশুর খাদ্য সংকট দেখা দিতে শুরু করেছে।
স্থানীয় ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সভাপতি আবুল কাশেম বলেন, দ্রুত ব্রহ্মপুত্রের পানি বাড়ছে। তলিয়ে যাচ্ছে নতুন চরের ঘরবাড়ি। নদী ভাঙনের কবলে তারা নতুন চরে বসতি গড়লেও তার রক্ষা হচ্ছে না। তার নিজের বাড়ি গতকাল নদীতে বিলিন হয়েছে। কিন্তু কেউ তাদের সহযোগিতার হাত বাড়ায়নি। তিনি বলেন, এলাকায় মানুষের ত্রান প্রয়োজন।
স্থানীয় ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান মো. শফিকুল ইসলাম বলেন, ব্রহ্মপুত্র নদের পানি বাড়ায় নতুন চরের কয়েকটি বাড়ি ইতিমধ্যে নদীগর্ভে বিলিন হয়ে গেছে, আরও অর্ধশত বাড়িঘর বিলিন হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে, এলাকাটি প্রায় পানিতে তলিয়ে গেছে। যারা পানি বন্দি হয়ে পড়েছে তাদের দ্রুত আশ্রয় কেন্দ্রে নেওয়া প্রয়োজন।
ঈশ^রগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মিতু মরিয়ম জানান, প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তাকে সাথে নিয়ে এলাকাটি পরিদর্শন করে এসেছেন। উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে অবহিত করে দ্রুত সকল ধরণের ব্যবস্থা নেওয়া হবে। ##
খবর৭১/জি: