খবর৭১ঃ দলীয় মিডফিল্ডার ক্রিশ্চিয়ার এরিকসেনের দুর্ঘটনার পর টুর্নামেন্ট থেকেই ছিটকে যাচ্ছিলো ডেনমার্ক জাতীয় ফুটবল দল। কিন্তু দমে যায়নি ডেনিশরা। একের পর এক জয়ের উঠে যায় সেমিফাইনালে। কিন্তু এবার তাদের ‘রূপকথা’ থামিয়ে দিলো ইংল্যান্ড। উয়েফা ইউরোর দ্বিতীয় সেমিফাইনাল ম্যাচে ডেনমার্ককে ২-১ গোল ব্যবধানে হারিয়ে ৫৫ বছর পর বড় কোনো টুর্নামেন্টে ফাইনালে উঠল থ্রি লায়ন্সরা।
সেই ১৯৬৬ সালের বিশ্বকাপ জেতার পর মেজর কোনো টুর্নামেন্টের ফাইনাল খেলা হয়নি ইংল্যান্ডের । রাশিয়া বিশ্বকাপে সম্ভাবনা জুগিয়েও হেরেছে সেমিফাইনালপর্বের ম্যাচে। তবে ঘরের মাঠে ইংলিশদের সুযোগ ছিল ফুটবলকে ঘরের ফেরানোর। আর সেই সুযোগটা কাজেই লাগিয়েছেন হ্যারি কেন বাহিনী।
এদিন ম্যাচের শুরু থেকেই ডেনমার্ককে চাপে রেখেছিল ইংল্যান্ড। অবশ্য প্রথমে এগিয়ে যাওয়ার দারুণ সুযোগটা পেয়েছিল ডেনমার্কই। ১৬ মিনিটে বল ডিস্ট্রিবিউট করতে গিয়ে ভুল করে বসেন পিকফোর্ড। সে যাত্রায় অবশ্য কোনো বিপদ হয়নি।
তবে ৩০তম মিনিটে ঠিকই এগিয়ে যায় ডেনিশরা। মাইকেল ডমসগার্ড ডি বক্সের বাইরে পাওয়া ফ্রি কিক থেকে জোরালো শটে জালে জড়ান। এতে ইংলিশদের জাল অক্ষত রাখার রেকর্ডও ভেঙে যায়। আর ১-০ গোল ব্যবধানে এগিয়ে যায় ফিফা র্যাঙ্কিংয়ের দশ নম্বরে থাকা দেশটি।
অবশ্য ডেনমার্ককে লিড বেশিক্ষণ ধরে রাখতে দেননি গ্যারেথ সাউদগেটের শিষ্যরা। নয় মিনিট পরেই সমতায় ফেরে স্বাগতিকরা। অভশ্য গোলটি আত্মঘাতী। এ সময় হ্যারি কেনের দেয়া পাসে রহিম স্টার্লিংয়ের নিশ্চিত গোলের সুযোগ আটকে দেন ডেনমার্ক গোলরক্ষক কেসপার স্মাইকেল। পরক্ষণেই গোলরক্ষক ডানদিকে এগিয়ে যাওয়ায় স্টার্লিং খালি জায়গায় বল পেয়ে ডান পা ছোঁয়াতে যাবেন, এমন সময়ে বল ক্লিয়ার করতে গিয়ে নিজেদের জালেই জড়িয়ে দেন সাইমন জায়ের।
দ্বিতীয়ার্ধের খেলাতেও বল দখল এবং আক্রমণে এগিয়ে ছিল ইংলিশরাই। ভুঁড়ি ভুঁড়ি আক্রমণের পরেও কাঙ্ক্ষিত জয়সূচক দ্বিতীয় গোলের দেখা মিলছিল না। শেষ পর্যন্তও মেলেনি। ফলে ম্যাচ গড়ায় অতিরিক্ত সময়ে।
অতিরিক্ত ৩০ মিনিটে খেলতে নেমে এবার আর ভুল করেনি ইংল্যান্ড দল। ১০৪তম মিনিটে কেইনের গোলে এগিয়ে যায় ইংল্যান্ড। তার স্পট কিকও ফিরিয়েছিলেন স্মাইকেল; কিন্তু বল হাতে রাখতে পারেননি, আলগা বল ছুটে গিয়ে জালে পাঠান রাশিয়া বিশ্বকাপের গোল্ডেন বুট জয়ী। ম্যাচ শেষ হয় ২-১ গোল ব্যবধানেই।