স্টাফ রিপোটার,বাগেরহাট
দেশের মাটিতে সোনার ফসল ফলিয়ে অর্থনৈতিক পরিবর্তন সংসারে সচল চাকা ঘুরিয়েছেন এমন এক সফল কৃষক বাগেরহাটের জাকির শেখ। আধুনিক পদ্ধতিতে নতুন প্রজাতির অসময়ে ইউনাইটেট মধুমালা(হলুদ), মেটেল সিট আরডব্লিউএস ০০৯(কালো), বাংলালিংক ছাপা এসআর ৭৭৭ এ তিন প্রজাতের তরমুজ উৎপাদন করে এখন গোটা বাগেরহাট জেলায় সাড়া জাগিয়েছেন এ সফল কৃষক।
সরেজমিনে প করণ ইউনিয়নের অজোপাড়া দেবরাজ গ্রাম। এ গ্রামেই জন্ম মৃত. আব্দুল অহেদ শেখের ছেলে কৃষক জাকির শেখ (৪৫)। কর্মরত দেবরাজ ডিকে এম দাখিল মাদ্রাসার ৪র্থ শ্রেনীর একজন কর্মচারি। ১৯৯৭ সাল থেকে ২০১১ সাল পর্যন্ত একজন গার্মেন্স কর্মী হিসেবে ঢাকায় কাজ করতেন। সেখান থেকে ফিরে এলেন গ্রামের বাড়িতে। স্বপ্ন নিজের জমিতে ব্যক্তিক্রমী ফসল উৎপাদন করে কৃষি বিপ্লব ঘটানো।এ বছর ৪ বিঘা জমি নিয়ে শুরু করলেন আধুনিক ফসলের চাষাবাদ। তার মধ্যে এক একর ১০ শতক জমিতে অত্যাধুনিক প্রজাতের তরমুজের চাষ। বাকি জমিতে বলসুন্দরি, কাশমেরিকুল বাউকুলসহ ৩ প্রজাতের কুল চাষ। রয়েছে গলদা ও সাদা মাছের চাষ ও বিভিন্ন প্রজাতের সবজী। ভেরির ওপরে বাস নেটের ছাউনির ওপর ঝুলছে রং বেরংয়ের নতুন ৩ প্রজাতের তরমুজ। প্রতিনিয়ত এ বাম্পার ফলন দেখতে আসছে জেলা ও উপজেলার বিভিন্ন এলাকার মানুষ। উৎসাহিত হচ্ছে সাধারণ কৃষক।
এ সফল চাষি জাকির শেখ বলেন, ইউটিউভ চ্যানেল দেখে এ তরমুজ উৎপাদনের আগ্রহ জেগেছে। তিনি বাগেরহাটের ফকিরহাট থেকে এ বীজ এনে স্বল্প সময়ে ৬৫/৯০ দিনের ব্যবধানে এ প্রজাতের জীবনকাল। মে মাসে রোপন জুলাই মাসে কর্তন রোদের আর্দতা পরিমাপে মাউশিং শিপট ছাড়া এ তরমুজ চাষ করা সম্ভব নয়। এবারে নতুন ফসল হলেও প্রায় ৪ হাজার তরমুজ হয়েছে। ব্যায় হয়েছে তার ১ লক্ষ টাকা। ক্ষেতে প্রতিদিন পরিচর্যার জন্য ২ জন শ্রমিক কাজ করছেন। প্রথমবারেই ৩ লাখ টাকার বিক্রি হবে তরমুজ বছরে আরো ২বার বিক্রি করতে পারবে। বিদেশে যাওয়ার প্রয়োজন কিসের? দেশের মাটিতে সোনার ফসল ফলিয়ে বছরে ৮ লাখ টাকা আয় করা সম্ভব বলে জানিয়েছেন এ সফল কৃষক জাকির হোসেন। তার পরিবারের রয়েছে স্ত্রী ও ২ ছেলে, বড় ছেলে আরিফ শেখ পিসি কলেজে অর্নাস তৃতীয় বর্ষের ছাত্র ও ছোট ছেলে আরমান শেখ ৪র্থ শ্রেনীর ছাত্র।
এ সর্ম্পকে সংশ্লিষ্ট ইউনিয়নের উপ-সহকারি কৃষি কর্মকর্তা দিপাংকর সমাদ্দার বলেন, আধুনিক পদ্ধতিতে নতুন প্রজাতির ফসল উৎপাদনে কৃষি অধিদপ্তরের মাধ্যমে সঠিক পরামর্শ অনুযায়ী এঅ লে প্রথমবারে নতুন তরমুজের বাম্পার ফসল ফলানো সম্ভব হয়েছে। বাম্পার ফলন দেখে আগমিতে নতুন নতুন কৃষক চাষাবাধে ঝুকবে।
এ বিষয়ে ইউপি চেয়ারম্যান বীর মুক্তিযোদ্ধা আব্দুর রাজ্জাক মজুমদার বলেন, এক সময়ে লবণাক্ততার কারনে তার ইউনিয়নের ধান চাষাবাদ ছাড়া অন্য কোন ফসল হতো না। এখন ওয়াপধা ভেরিবাধের কারনে মিষ্টি পানিতে কৃষক নতুন নতুন ফসল ফলিয়ে কৃষি বিপ্লব ঘটিয়েছে। সরকারিভাবে অত্যাধুনিক প্রশিক্ষণ, বিনা সুদে লোন, এ ক্ষেত্রে চাষাবাদে কৃষকের আরো আগ্রহ বাড়বে বলে তিনি মনে করেন।
মোড়েলগঞ্জ উপজেলা (ভারপ্রাপ্ত) কৃষি কর্মকর্তা সিফাত আল মারুফ বলেন, দেবরাজে নতুন প্রজাতের তরমুজের বাম্পার ফলনে লাভজনক ফসল উৎপাদন করে কৃষক জাকির শেখ এখন এ জেলায় দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছেন। এ ফলন দেখে যুবসমাজ নতুন ফসল উৎপাদনে এগিয়ে আসবে। কৃষি অধিদপ্তরের মাধ্যমে কৃষকদেরকে এ বিষয়ে সার্বক্ষনিক সহযোগিতা করে আসছে বলে এ কর্র্মকাতা জানান।