খবর৭১ঃ করোনার মধ্যেও ২ হাজার ৪৭৭ কোটি ৭৭ লাখ বা ২৫ বিলিয়ন ডলার আয় পাঠিয়েছেন প্রবাসীরা। যা বাংলাদেশ জন্মের পর এক বছরে এটাই প্রথম। দেশে কার্যরত ব্যাংকগুলোর মধ্যে গত অর্থ বছরে একক ব্যাংক হিসাবে সব চেয়ে বেশি রেমিট্যান্স এসেছে বেরসকারি ইসলামী ব্যাংক বাংলাদেশ লিমিটেডে। আর দ্বিতীয় অবস্থানে রয়েছে অগ্রণী ব্যাংক।
বাংলাদেশ ব্যাংকের হালনাগাদ প্রতিবেদনে উঠে এসেছে এ তথ্য।
খাত সংশ্লিষ্টরা বলছেন, সরকারের নগদ প্রণোদনা ও করোনায় বিদেশ ভ্রমণ নিয়ন্ত্রণের কারণে অপ্রাতিষ্ঠানিক খাত থেকে বৈধ চ্যানেলে রেমিট্যান্স বেশি আসছে। পাশাপাশি মহামারিতে এক ধরনের অনিশ্চয়তার কারণে প্রবাসীরা জমানো টাকা দেশে পাঠিয়ে দিচ্ছেন। সব মিলিয়ে রেমিট্যান্স প্রবাহ বেড়েছে।
বাংলাদেশ ব্যাংকের প্রতিবেদন অনুযায়ী, সদ্যবিদায়ী অর্থবছরের শেষ মাস জুনে প্রবাসী বাংলাদেশিরা ১৯৪ কোটি ডলার রেমিট্যান্স দেশে পাঠিয়েছেন। ফলে সদ্য সমাপ্ত পুরো অর্থবছরে দেশে রেমিট্যান্স আহরণের অংক দাঁড়িয়েছে ২ হাজার ৪৭৭ কোটি ৭৭ লাখ ডলার। (যা বাংলাদেশি মুদ্রায় দুই লাখ ১০ হাজার ৬১০ কোটি টাকার বেশি)।
২০২০-২১ অর্থবছরে প্রবাসীরা সরকারি ৬টি ব্যাংকের মাধ্যমে ৬১০ কোটি ৬২ লাখ ডলার রেমিট্যান্স পাঠিয়েছে।
বিশেষায়িত দুই ব্যাংকের একটির মাধ্যমে এসেছে ৪১ কোটি ৩০ লাখ ডলার। বেসরকারি ৪০টি বাণিজ্যিক ব্যাংকের মাধ্যমে রেমিট্যান্স এসেছে ১ হাজার ৮১৪ কোটি ৪০ লাখ ডলার। আর বিদেশি ৯ ব্যাংকে এসেছে ১১ কোটি ৪৫ লাখ ডলার।
দেশে কার্যরত ব্যাংকগুলোর মধ্যে গত অর্থ বছরে একক ব্যাংক হিসাবে সব চেয়ে বেশি রেমিট্যান্স এসেছে বেরসকারি ইসলামী ব্যাংক বাংলাদেশ লিমিটেডে। ব্যাংকটির মাধ্যমে ৭৪৫ কোটি ৭৬ লাখ ডলার রেমিট্যান্স পাঠিয়েছেন প্রবাসীরা। যা মোট রেমিট্যান্সের প্রায় ২৭ শতাংশ।
এরপরই দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ২৮২ কোটি ৩২ লাখ ডলার রেমিট্যান্স এসেছে অগ্রণী ব্যাংকের মাধ্যমে। ২৪৯ কোটি ডলার রেমিট্যান্স এসেছে তৃতীয় অবস্থানে থাকা ডাচ বাংলা ব্যাংক। সোনালী ব্যাংকের মাধ্যমে এসেছে ১৫৩ কোটি ডলার রেমিট্যান্স।