খবর৭১ঃ সরকার ঘোষিত সাতদিনের কঠোর বিধিনিষেধের দ্বিতীয় দিন শুক্রবার (২ জুন) সকাল থেকেই পাল্টে গেছে রাজধানীর চিত্র। বৃষ্টির দিনে সড়ক একদম ফাঁকা। এদিকে যারা ঢাকার বাইরে থেকে রাজধানীতে প্রবেশ করতে চাচ্ছেন তাদের পুলিশের জিজ্ঞাসাবাদের মুখোমুখি হতে হচ্ছে। জানা গেছে, রাজধানীতে প্রবেশের যুক্তিযুক্ত কারণ দেখাতে না পারলে জরিমানা কিংবা মামলা দিচ্ছে পুলিশ।
সরেজমিনে রাজধানীর রামপুরা, হাতিরঝিল, মগবাজার, কাওরানবাজার, পান্থপথ, শ্যামলী ও মোহাম্মদপুর এলাকা ঘুরে দেখা গেছে এসব এলাকার বিভিন্ন পয়েন্টে সকাল থেকেই দায়িত্ব পালন করছেন পুলিশ সদস্যরা। স্থাপন করা হয়েছে একাধিক চেকপোস্ট। এসব চেকপোস্টে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের ট্রাফিক বিভাগ এবং সংশ্লিষ্ট থানার আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যরা জন ও যান চলাচল নিয়ন্ত্রণে কাজ করছেন। জরুরি প্রয়োজনে যারা সড়কে বেরিয়েছেন তাদের মুখোমুখি হতে হচ্ছে পুলিশের জিজ্ঞাসাবাদের। পুলিশ, বিজিবি, র্যাবের পাশাপাশি সেনাবাহিনীকেও ডিউটিতে দেখা গেছে।
সরেজমিনে দেখা যায়, এক মোটরসাইকেল আরোহী পুলিশকে ফাঁকি দিয়ে যাওয়ার সময় ধরা পড়ে। জিজ্ঞাসাবাদে ঢাকায় প্রবেশে যুক্তিযুক্ত কারণ খুঁজে পায়নি পুলিশ। কর্তব্যরত পুলিশ জানায়, নির্দেশ অমান্য করা এবং মিথ্যা তথ্য দেওয়ায় তার বিরুদ্ধে মামলা দেওয়া হয়েছে।No
এ বিষয়ে গাবতলী জোনের ট্রাফিক সার্জেন্ট সামসুদ্দিন সরকার সংবাদমাধ্যমকে বলেন, ‘সরকারি নির্দেশনা অমান্য করা এবং যথাযথ কারণ উপস্থাপন করতে না পারার কারণে অনেককে আমরা মামলা দিচ্ছি। করোনার সংক্রমণের ঝুঁকি এড়াতে বাসায় থাকা সবচেয়ে বেশি প্রয়োজন। বাইরে বের হলে নিজে আক্রান্ত হওয়ার সম্ভাবনা থাকে, এমনকি পরিবারের সদস্যদেরও আক্রান্ত হওয়ার সম্ভাবনা থাকে। মিরপুর বিভাগের (ট্রাফিক- ডিসি) উপ-পুলিশ কমিশনার মোহাম্মদ নজরুল ইসলাম বিষয়টি নিশ্চিত করে ইত্তেফাক অনলাইনকে জানান, চলমান বিধিনিষেধ ফলপ্রসু করতে ট্রাফিক পুলিশের কার্যক্রম অব্যাহত থাকবে। সরকারি আদেশ মেনে ঘরে থাকার অনুরোধ করেন তিনি। করোনা সংক্রমণ রোধে বৃহস্পতিবার (১ জুলাই) সকাল ৬টা থেকে সারাদেশে কঠোর বিধিনিষেধ শুরু হয়েছে। যা আগামী ৭ জুলাই মধ্যরাত পর্যন্ত অব্যাহত থাকবে।