খবর৭১ঃ
আগামীকাল বৃহস্পতিবার থেকে সারাদেশে আবারও করোনা প্রতিরোধের প্রথম ডোজের টিকা কার্যক্রম শুরু হচ্ছে। এক্ষেত্রে দেশের সব মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল ও জেলা সদর হাসপাতালসহ টিকা কেন্দ্রগুলোতে দেয়া হবে সিনোফার্মের টিকা। আর ফাইজারের টিকা দেয়া হবে রাজধানীর সাতটি কেন্দ্রে। আপাতত অগ্রাধিকারের ভিত্তিতেই সারাদেশে টিকা দেওয়া হবে।
বুধবার স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের নিয়মিত করোনা বুলেটিনে এ তথ্য জানিয়েছেন অধিদপ্তরের লাইন ডিরেক্টর ও কর্মসূচির পরিচালক ডা. শামসুল হক।
শামসুল হক বলেন, প্রতিদিন সকাল ৮টা থেকে বিকাল ৩টা পর্যন্ত এই কার্যক্রম চলবে। আপাতত অগ্রাধিকারের ভিত্তিতেই সারাদেশে টিকা দেওয়া হবে। এক্ষেত্রে সিনোফার্মের টিকা সারাদেশের মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল, জেলা সদর হাসপাতালসহ টিকা কেন্দ্রগুলোতে এবং ফাইজারের টিকা রাজধানীর সাতটি কেন্দ্রে দেয়া হবে।
১৮ বছরের ওপরের সবাইকে পর্যায়ক্রমে করোনাভাইরাসের টিকার আওতায় নিয়ে আসার উদ্দেশ্য সামনে রেখে সরকার গত ৭ ফেব্রুয়ারি থেকে সারাদেশে গণটিকাদান কর্মসূচি শুরু করে।
কিন্তু, টিকার স্বল্পতার কারণে ২৬ এপ্রিল সরকার প্রথম ডোজ টিকাদান বন্ধের ঘোষণা দেয়। এর সপ্তাহখানেক পর একই কারণে সারাদেশের সবগুলো কেন্দ্রে দ্বিতীয় ডোজের টিকা দেওয়াও বন্ধ করে দেওয়া হয়।
ভারতে করোনাভাইরাসের দ্বিতীয় ঢেউয়ে সংক্রমণ ও মৃত্যুর সংখ্যা বেড়ে যাওয়ায় সেরাম ইনস্টিটিউট অক্সফোর্ড-অ্যাস্ট্রাজেনেকার টিকা সরবরাহে ব্যর্থ হলে, বাংলাদেশের টিকাদান কর্মসূচিতে প্রভাব পড়ে।
চুক্তি অনুযায়ী, সেরাম থেকে ছয় মাসের মধ্যে বাংলাদেশের তিন কোটি ডোজ টিকা পাওয়ার কথা ছিল।
জানুয়ারিতে সেরাম প্রথম দফায় ৫০ লাখ ডোজ টিকা সরবরাহ করে। যার মধ্যে ওই মাসে মাত্র ২০ লাখ ডোজের একটি চালান ঢাকায় পৌঁছায়। এরপর সেরাম থেকে বাংলাদেশে আর কোনো চালান আসেনি।
গত ১৯ জুন চীন থেকে উপহার হিসেবে দুই দফায় পাওয়া ১১ লাখ ডোজ সিনোফার্মের ভ্যাকসিন দিয়ে দেশব্যাপী দ্বিতীয় পর্যায়ে গণটিকাদান কর্মসূচি শুরু হয়। দুই দিন পর ২১ জুন রাজধানীর তিনটি কেন্দ্রে ফাইজার-বায়োএনটেকের উদ্ভাবিত করোনাভাইরাসের টিকা শুরু হয়েছে।
শামসুল হক বলেন, বৃহস্পতিবার থেকে শুরু হওয়া প্রথম ডোজের টিকা কার্যক্রমের অগ্রাধিকার তালিকায় যারা আছেন তারা আগে টিকা পাবেন। বিশেষ করে আমাদের মেডিকেল, নার্সিং ও ম্যাটস শিক্ষার্থীরা টিকা পাবেন। একইসঙ্গে আমাদের সরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র-ছাত্রী, পুলিশ বাহিনীর লোকজন ও অন্যান্য অগ্রাধিকার কর্মীরাও টিকা নিতে পারবেন। এছাড়াও যারা আগেই নিবন্ধন করে টিকা নিতে পারেননি তারা নিতে পারবেন বলে জানান তিনি।
টিকা কর্মসূচির পরিচালক বলেন, ‘অগ্রাধিকারের ভিত্তিতে যারা পাওয়ার যোগ্য তাদের জন্য আজ থেকে নিবন্ধন কার্যক্রম খুলে দেওয়া হচ্ছে। নিবন্ধনের পর কেন্দ্র থেকে যখন এসএমএস আসবে, তখন সে অনুযায়ী কেন্দ্রে গিয়ে টিকা নিতে পারবেন। এ ক্ষেত্রে অবশ্যই টিকা কার্ড ও এনআইডি সঙ্গে নিয়ে যেতে হবে।’