খবর৭১ঃ
রাজধানীর বোট ক্লাবে ধর্ষণ ও হত্যাচেষ্টার অভিযোগ এনে দায়ের করা মামলায় সাক্ষ্য দিতে নায়িকা পরীমনিকে সাভার থানায় ডেকেছিল পুলিশ। মামলার বাদী হিসেবে সাক্ষ্য দিতে রবিবার বিকাল ৩টার দিকে পরীমনি সাভার থানায় প্রবেশ করেন। প্রায় ছয় ঘণ্টা অবস্থানের পর থানা থেকে বের হন তিনি। বিষয়টি সাভার থানা সংশ্লিষ্ট একটি সূত্র নিশ্চিত করেন।
পরীমনির মামলার তদন্ত কর্মকর্তা সাভার থানার পরিদর্শক (ওসি তদন্ত) মো. কামাল হোসেন। তার কক্ষে পরীমনি অবস্থান করেন। পরে সেখান থেকে যান ঢাকা জেলার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার আব্দুল্লাহ কাফীর কক্ষে।
সাভার থানায় প্রবেশের সময় পরীর সঙ্গে আসা কয়েকজন সঙ্গীকে তার সঙ্গে থানায় প্রবেশ করতে দেয়া হয়নি। পরীমনি একাই থানার ভেতরে প্রবেশ করেন বলে জানা গেছে।
এদিকে এই মামলার দুই আসামি নাসির ও অমিকে গত ২৩ জুন ১০ দিন করে রিমান্ড আবেদন করেন তদন্তকারী কর্মকর্তা। শুনানি শেষে তাদের পাঁচ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন ঢাকার সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট রাজিব হাসান।
গত ১৩ জুন সন্ধ্যায় ফেসবুকে এক পোস্টে পরীমনি অভিযোগ করেন— তাকে ধর্ষণ ও হত্যাচেষ্টা করা হয়েছে। এ অভিযোগ করে তিনি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কাছে বিচার দাবি করেন।
১৩ জুন রাতে বনানীর নিজ বাসায় সাংবাদিকদের তিনি জানান, গত ৮ জুন রাতে পারিবারিক বন্ধু অমি ও ব্যক্তিগত রূপসজ্জাশিল্পী জিমিকে সঙ্গে নিয়ে আশুলিয়ার একটি ক্লাবে যান। সেখানে মদ্যপানরত কয়েকজনের সঙ্গে পরীমনির পরিচয় করিয়ে দেন অমি। ওই ব্যক্তিদেরই একজন হঠাৎ জোর করে তার মুখে পানীয়র গ্লাস চেপে ধরেন এবং তাকে ধর্ষণের চেষ্টা করেন।
পরদিন ১৪ জুন সাভার থানায় ব্যবসায়ী নাসির উদ্দিন মাহমুদ ও অমির নাম উল্লেখ করে অজ্ঞাতনামা আরও চারজনের বিরুদ্ধে ধর্ষণচেষ্টা ও হত্যাচেষ্টার অভিযোগে মামলা করেন পরীমনি। ওই দিন বিকাল ৩টার দিকে রাজধানীর উত্তরা থেকে নাসির ও অমি এবং তিন নারীসহ পাঁচজনকে গ্রেপ্তার করা হয়। গ্রেপ্তারের সময় আসামিদের কাছ থেকে বিদেশি মদ ও ইয়াবা ট্যাবলেট উদ্ধার করা হয়।