খবর ৭১: নৌপরিবহন প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ চৌধুরী এমপি বলেছেন, নৌপরিবহন মন্ত্রণালয়ের বাজেটের আকার ছোট হলেও দৃষ্টিভঙ্গি অনেক বড়। নৌ খাতের কর্মকান্ডে মানুষের আগ্রহ বেড়েছে। জনগণ আমাদের কর্মকান্ডে পুরোপুরি সন্তুষ্ট হতে না পারলেও অসন্তুষ্ট নয়। এ অর্জন সকলের কর্মকান্ডের ফল। এ অর্জন ধরে রাখতে হবে। আরও ভালো করতে হবে। সকলে আরও দায়িত্ববান হলে মন্ত্রণালয়ের পারফর্মেন্স ভাল জায়গায় নিয়ে যেতে পারব। দক্ষতা অর্জনে সকলে বদ্ধপরিকর থাকব। মন্ত্রণালয়ের সহযোগিতা অব্যাহত থাকবে।
প্রতিমন্ত্রী আজ মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে নৌপরিবহন মন্ত্রণালয়ের সাথে এর অধিনস্থ ১১টি দপ্তর/সংস্থার ২০২১-২০২২ অর্থবছরের বার্ষিক কর্মসম্পাদন চুক্তিপত্র (এপিএ) স্বাক্ষর অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় এসব কথা বলেন।
১১টি দপ্তর/সংস্থার ২০২১-২০২২ অর্থবছরের বার্ষিক কর্মসম্পাদন চুক্তিপত্র (এপিএ) মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে সরাসরি এবং অনলাইনে স্বাক্ষরিত হয়। নৌপরিবহন মন্ত্রণালয়ের সচিব মোহাম্মদ মেজবাহ্ উদ্দিন চৌধুরী মন্ত্রণালয়ের পক্ষে এবং দপ্তর/সংস্থা প্রধানগণ নিজ নিজ পক্ষে চুক্তিপত্রে স্বাক্ষর করেন।
ঢাকায় অবস্থিত বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌপরিবহন কর্তৃপক্ষ (বিআইডব্লিউটিএ), বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌপরিবহন সংস্থা (বিআইডব্লিউটিসি), নৌপরিবহন অধিদপ্তর এবং বাংলাদেশ স্থলবন্দর কর্তৃপক্ষ (বাস্থবক) এর প্রধানগণ সরাসরি এবং ঢাকার বাইরে অবস্থিত চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষ (চবক), মোংলা বন্দর কর্তৃপক্ষ (মোবক), পায়রা বন্দর কর্তৃপক্ষ (পাবক), বাংলাদেশ শিপিং কর্পোরেশন (বিএসসি), বাংলাদেশ মেরিন একাডেমি, ন্যাশনাল মেরিটাইম ইনসটিটিউট (এনএমআই) ও নাবিক ও প্রবাসী শ্রমিক কল্যাণ পরিদপ্তর-এর প্রধানগণ জুমস এপস-এর মাধ্যমে স্বাক্ষর অনুষ্ঠানে অংশ নেন।
বিআইডব্লিউটিএ’র চেয়ারম্যান কমডোর গোলাম সাদেক, বিআইডব্লিউটিসি’র চেয়ারম্যান সৈয়দ এম তাজুল ইসলাম, নৌপরিবহন অধিদফতরের মহাপরিচালক কমডোর আবু জাফর মো. জালালউদ্দিন, বাস্থবক’র চেয়ারম্যান মো. আলমগীর হোসেন, চবক’র চেয়ারম্যান রিয়ার এডমিরাল এম শাহজাহান, মোবক’র চেয়ারম্যান রিয়ার এডমিরাল মোহাম্মদ মুসা, পাবক’র চেয়ারম্যান কমডোর হুমায়ুন কল্লোল, বিএসসি’র ব্যবস্থাপনা পরিচালক কমডোর সাব্বির মাহমুদ, মেরিন একাডেমীর কমান্ডেন্ট সাজিদ হোসেন, এনএমআই’র অধ্যক্ষ ক্যাপ্টেন ফয়সাল এবং নাবিক ও প্রবাসী শ্রমিক কল্যাণ পরিদপ্তর-এর পরিচালক মো. জসিমউদ্দিন এপিএ-তে স্বাক্ষর করেন।
বিশ্বমানের বন্দর, মেরিটাইম ও নৌপরিবহন ব্যবস্থাপনা গড়ে তোলা; সমুদ্র, নৌ ও স্থল বন্দরসমূহের আধুনিকায়ন, নৌপথের নাব্যতা সংরক্ষণ, মেরিটাইম সেক্টরে দক্ষ জনবল সৃষ্টি, নিরাপদ যাত্রী ও পণ্য পরিবহন এবং বৈদেশিক বাণিজ্য সম্প্রসারণে সহায়তাকরণের লক্ষ্যে নৌপরিবহন মন্ত্রণালয় কাজ করছে। নৌপরিবহন মন্ত্রণালয়ের বিগত বছরের এপিএ অর্জনসমূহঃ ২০১৫-১৬ অর্থবছরে ৮৫.০২%, ২০১৬-১৭ অর্থবছরে ৮২.১৫%, ২০১৭-১৮ অর্থবছরে ৮০.৬৩%, ২০১৮-১৯ অর্থবছরে ৮১.২১%, ২০১৯-২০ অর্থবছরে ৭২.০৪%।
নির্বাচনী ইশতেহার-২০১৮; প্রেক্ষিত পরিকল্পনা ২০২১-৪১; অষ্টম পঞ্চবার্ষিক পরিকল্পনা ২০২১-২০২৫ ; রূপকল্প-২০৪১; বাংলাদেশ ব-দ্বীপ পরিকল্পনা (ডেল্টা প্লান)-২১০০; টেকসই উন্নয়ন অভীষ্ট (এসডিজি)-২০৩০; মুজিববর্ষ উপলক্ষ্যে জনহিতকর কার্যক্রম; মন্ত্রিসভায় গৃহিত সিদ্ধান্ত এবং প্রধানমন্ত্রী কর্তৃক প্রদত্ত নির্দেশনা ও প্রতিশ্রুতির প্রতিফলন; ব্যবসা সহায়ক পরিবেশ সৃষ্টি বা ইজ অফ ডুয়িং বিজনেস এর নির্দেশকসমূহ (প্রযোজ্য ক্ষেত্রে); ৪র্থ শিল্প বিপ্লব সংশ্লিষ্ট কার্যক্রম (প্রযোজ্য ক্ষেত্রে) এবং সরকারি কর্মচারীদের সক্ষমতার উন্নয়ন সংক্রান্ত কার্যক্রম (সমসাময়িক বিষয় নিয়ে বিশেষ লার্নিং সেশন আয়োজন) বিষয়ের উপর ভিত্তি করে এপিএ প্রণয়ন করা হয়েছে। অর্থবছরের বাজেটের সাথে সামঞ্জস্য রেখে এপিএ’র লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়।
উল্লেখ্য, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের সুযোগ্য কন্যা প্রধানমন্ত্রী দেশরতœ শেখ হাসিনার নেতৃত্বাধীন সরকার ২০৪১ সালের মধ্যে বাংলাদেশকে একটি উন্নত রাষ্ট্রে উন্নীত করতে একটি কার্যকর, দক্ষ এবং গতিশীল প্রশাসনিক ব্যবস্থা গড়ে তোলার লক্ষ্যে স্বচ্ছতা ও দায়বদ্ধতা বৃদ্ধি, সম্পদের যথাযথ ব্যবহার নিশ্চিতকরণ এবং প্রাতিষ্ঠানিক সক্ষমতা উন্নয়নের জন্য সরকারি দপ্তর/সংস্থাসমূহের কর্মসম্পাদন ব্যবস্থাপনা পদ্ধতি প্রবর্তনের সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়। ২০১৪-১৫ অর্থবছরে ৪৮টি মন্ত্রণালয়/বিভাগের সঙ্গে বার্ষিক কর্মসম্পাদন চুক্তি স্বাক্ষরের মাধ্যমে কর্মসম্পাদন ব্যবস্থাপনা পদ্ধতি চালু হয়। ইতোমধ্যে ৫১ টি মন্ত্রণালয়/বিভাগ, আওতাধীন দপ্তর/সংস্থা এবং মাঠ পর্যায়ের বিভাগীয়/আঞ্চলিক, জেলা ও উপজেলা পর্যায়ের কার্যালয়সমূহের সঙ্গে এপিএ সম্পাদিত হয়েছে।