খবর৭১ঃ করোনা সংক্রমণ ঊর্ধ্বগতি ঠেকাতে আগামী সোমবার (২৮ জুন) থেকে সীমিত পরিসরে ‘লকডাউন’ শুরু হবে। আর সাত দিনের ‘সর্বাত্মক লকডাউন’ শুরু হবে বৃহস্পতিবার (১ জুলাই) থেকে।
তবে সোমবার থেকে গণপরিবহন বন্ধ হয়ে যাবে। এ ছাড়া সীমিত পরিসরে কিছু প্রতিষ্ঠান বা ক্ষেত্র খোলা থাকবে। এ ছাড়া শিল্প কলকারখানা লকডাউনের আওতার বাইরেই থাকতে পারে বলে জানা গেছে। এই সময়ে রপ্তানিমুখী কার্যক্রম সচল রাখার স্বার্থে ব্যাংকিং সেবাও খোলা রাখা হতে পারে।
শনিবার সন্ধ্যায় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামালের সভাপতিত্বে সরকারের উচ্চপর্যায়ের এক সভায় এসব সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
সভা সূত্রে জানা গেছে, সোমবার থেকে কঠোর লকডাউনের ঘোষণা দেওয়া হলেও অর্থবছরের শেষ সময় হওয়ায় সেই সিদ্ধান্ত কিছুটা পরিবর্তন করা হয়েছে। তবে সোমবার থেকে গণপরিবহন বন্ধ হয়ে যাবে। শপিংমল, হোটেল-রেস্তোরাঁসহ কিছু কিছু ক্ষেত্রে সীমিত পরিসরে লকডাউন শুরু হবে। এই সময়ে কিছু বিষয় খোলা থাকবে। ১ জুলাই থেকে শুরু হবে সাত দিনের সর্বাত্মক লকডাউন।এ সংক্রান্ত বিস্তারিত তথ্য রোববার জানানো হবে।
এর আগে শুক্রবার রাতে সরকারের এক তথ্যবিবরণীতে সোমবার থেকে কঠোর লকডাউনের বিষয়টি নিশ্চিত করা হয়। এতে বলা হয়, জরুরি পণ্যবাহী ছাড়া সব ধরনের যানবাহন চলাচল বন্ধ থাকবে। শুধু অ্যাম্বুলেন্স ও চিকিৎসাসংক্রান্ত কাজে ব্যবহৃত যানবাহন চলাচল করতে পারবে। জরুরি কারণ ছাড়া বাড়ির বাইরে কেউ বের হতে পারবে না। তবে গণমাধ্যম এর আওতামুক্ত থাকবে।
ওইদিন রাতে তথ্যবিবরণী দেওয়ার পাশাপাশি একই বিষয়ে গণমাধ্যমের সঙ্গে কথা বলেন জনপ্রশাসন প্রতিমন্ত্রী ফরহাদ হোসেন। তিনি বলেন, আমরা শনিবার মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ থেকে প্রজ্ঞাপন দেব। আগামী ২৮ তারিখ থেকে এক সপ্তাহের জন্য কঠোর বিধিনিষেধ দেব। এরপর প্রয়োজন হলে সেটা আমরা বাড়াব। এটা কঠোরভাবে সবাই যেন প্রতিপালন করে সেজন্য বেশি কড়াকড়ি থাকবে। এটি নিশ্চিতে মাঠে পুলিশ-বিজিবি থাকবে। এমনকি সেনাবাহিনীও থাকতে পারে। মানুষ অপ্রয়োজনে বাইরে আসবে না, অফিস-আদালত বন্ধ থাকবে। তবে বাজেটসংক্রান্ত কার্যক্রম এনবিআর বা পেমেন্ট সম্পৃক্ত অফিসগুলো খোলা থাকবে। জরুরি পরিষেবা ইন্টারনেট, গণমাধ্যম ইত্যাদি খোলা থাকবে।