খবর৭১ঃ সীমান্ত লঙ্ঘন করলে বোমা মারার হুমকি দিয়েছে রাশিয়া। এর আগে গতকাল কৃষ্ণ সাগরে একটি ব্রিটিশ যুদ্ধজাহাজ অনুপ্রবেশ করেছে অভিযোগ তুলে রাশিয়ার ২০টি উড়োজাহাজ ও কোস্টগার্ডের দুটি জাহাজ ব্রিটিশ জাহাজটির পিছু নেয়। ব্রিটিশ জাহাজটিতে তারা সতর্কতামূলক গুলি ও বোমা ছোড়ে।
রাশিয়ার অভিযোগ- ব্রিটিশ ‘এইচএমএস ডিফেন্ডার’ জাহাজটি ক্রিমিয়ার কাছকাছি রুশ জলসীমা লঙ্ঘন করে। এই ঘটনা কেন্দ্র করে দু’দেশের মধ্যে উত্তপ্ত পরিস্থিতি সৃষ্টি হয়েছে।
তুরস্কভিত্তিক আনাদোলু নিউজ এজেন্সির খবরে বলা হয়েছে, রাশিয়া তাদের জলসীমায় ব্রিটিশ যুদ্ধজাহাজ প্রবেশকে ‘স্পষ্ট উসকানি’ বলে অভিহিত করেছে।
বৃহস্পতিবার ক্রেমলিনের মুখপাত্র দিমিত্রি পেসকভ বলেন, ব্রিটিশ ডেস্ট্রয়ারের অনুপ্রবেশ অগ্রহণযোগ্য এবং আন্তর্জাতিক আইনের লঙ্ঘন। আমরা মনে করি, ব্রিটিশ যুদ্ধজাহাজ উসকানিমূলক কাজ করেছে। এটি স্পষ্টত পূর্বপরিকল্পিত প্ররোচনা।
রাশিয়া সরকারের এই মুখপাত্র ভবিষ্যতে এ ধরনের ঘটনা সম্পর্কে সতর্ক করে বলেন, ভবিষ্যতে এমন উসকানি প্রদান করলে আন্তর্জাতিক বিধি মোতাবেক রাশিয়ান সশস্ত্র বাহিনী কঠোর অবস্থান নেবে।
দিমিত্রি পেসকভ বলেন, অনাকাঙ্খিত প্ররোচনামূলক কাজের পুনরাবৃত্তি হলে রাশিয়ান বর্ডার গার্ড বৈধ নিরাপত্তা নিশ্চিতে কোনো পদক্ষেপ নিতে পিছপা হবে না। তার এ কথার অর্থ হলো- ভবিষ্যতে এমন ঘটনায় রাশিয়া যত কঠোর পদক্ষেপ নেওয়া সম্ভব নেবে।
এদিকে, পৃথক এক বিবৃতিতে রাশিয়ার উপ-পররাষ্ট্রমন্ত্রী সারগেই রিয়াবকভ বলেছেন, সীমান্ত লঙ্ঘন করলে রশিয়া লক্ষ্যবস্তুতে বোমা বর্ষণ করবে। রাশিয়ার এই মন্ত্রী বলেন, সমুদ্র চলাচলে স্বাধীনতার স্লোগানের দোহায় দিয়ে কেউ উসকানি দিলে সর্বোচ্চ কঠিন পরিণামের মুখোমুখি করা হবে।
সারগেই রিয়াবকভ বলেন,প্রথমে আমরা আন্তর্জাতিক আইন প্রয়োগ করব। যদি এটাতে কাজ না হয় তাহলে আমরা শুধু সতর্ক করা নয়, লক্ষ্যবস্তুতে বোমা নিক্ষেপ করবো।
গতকাল এইচএমএস ডিফেন্ডার নামে যুক্তরাজ্যের একটি যুদ্ধজাহাজ কৃষ্ণসাগর হয়ে জর্জিয়া যাচ্ছিল। রাশিয়ার প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় বলেছে, ক্রিমিয়ার উপকূল থেকে প্রায় ১৯ কিলোমিটার দূরে ব্রিটিশ ওই যুদ্ধজাহাজটির পথে তাদের টহল জাহাজ গুলি ছোড়ে এবং যুদ্ধবিমান থেকে বোমা ফেলা হয়। যদিও যুক্তরাজ্যের সরকার এ ঘটনা অস্বীকার করেছে।
জাহাজে থাকা বিবিসির এক সাংবাদিক বলেছেন, রাশিয়ার সেনারা ব্রিটিশ জাহাজটিকে হয়রানি করেছে। ব্রিটিশ এই সাংবাদিক বলেন, ২০টির বেশি যুদ্ধবিমান তাদের জাহাজের ওপর দিয়ে উড়ে যায়। এ ছাড়া রাশিয়ার কোস্টগার্ডের দুটি জাহাজ ব্রিটিশ জাহাজটির প্রায় ১০০ মিটারের মধ্যে আসে।