খবর ৭১: সব প্রতিষ্ঠানের ফ্লোর প্রাইস উঠিয়ে দিয়ে সার্কিট ব্রেকারের (দাম কমা বা বাড়ার সর্বোচ্চ ও সর্বনিম্ন সীমা) নতুন নিয়ম নির্ধারণ করায় শেয়ারবাজারের বিনিয়োগকারীদের মধ্যে এক ধরনের আতঙ্ক দেখা দিয়েছে। এতে রোববার লেনদেনের শুরুতে শেয়ারবাজারে নিম্নমুখী প্রবণতা দেখা যাচ্ছে।
গত বছর দেশে মহামারি করোনা ভাইরাসের প্রকোপ শুরু হলো শেয়ারবাজারে ভয়াবহ ধস নামে। শেয়ারবাজারে পতন ঠেকাতে গত বছরের ১৯ মার্চ সে সময়ের কমিশন প্রতিটি কোম্পানির শেয়ারের সর্বনিম্ন দাম বেঁধে দিয়ে ফ্লোর প্রাইস নির্ধারণ করে দেয়।
তবে প্রায় এক বছর ধরে শেয়ারবাজার ভালো অবস্থানে থাকায় গত বৃহস্পতিবার ফ্লোর প্রাইস উঠিয়ে নেয় নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি)। সেই সঙ্গে সার্কিট ব্রেকারের নতুন নিয়ম আরোপ করা হয়।
এ নিয়ে বিনিয়োগকারীদের মধ্যে এক ধরনের আতঙ্ক দেখা দেয়। এ পরিস্থিতিতে রোববার শেয়ারবাজারে লেনদেন শুরু হয় প্রায় সবকটি প্রতিষ্ঠানের শেয়ার ও ইউনিটের দাম কমার মাধ্যমে। ফলে প্রথম মিনিটেই ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) প্রধান মূল্য সূচক ৩০ পয়েন্ট কমে যায়।
এ প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত সূচকের নিম্নমুখী প্রবণতা অব্যাহত রয়েছে। এ সময় পর্যন্ত ডিএসইর প্রধান সূচক ডিএসইএক্স ৩২ পয়েন্টে কমেছে। অপর দুই সূচকের মধ্যে ডিএসই শরিয়াহ্ ৫ পয়েন্ট কমেছে। আর ডিএসই-৩০ সূচক কমেছে ২ পয়েন্ট।
এ সময় পর্যন্ত ডিএসইতে লেনদেনে অংশ নেয়া ৮২টি প্রতিষ্ঠানের শেয়ার ও ইউনিট দাম বাড়ার তালিকায় নাম লিখিয়েছে। বিপরীতে দাম কমেছে ২৩৩টির। আর ৪২টির দাম অপরিবর্তিত রয়েছে। লেনদেন হয়েছে ৩৬১ কোটি ৮৬ টাকা। অপর শেয়ারবাজার চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জের (সিএসই) সার্বিক সূচক সিএএসপিআই ৩০ পয়েন্ট কমেছে। লেনদেন হয়েছে পাঁচ কোটি ৮৭ লাখ টাকা। লেনদেনে অংশ নেয়া ১৫৭ প্রতিষ্ঠানের মধ্যে দাম বেড়েছে ৫২টির, কমেছে ৮৬টির এবং অপরিবর্তিত রয়েছে ১৯টির।
সার্কিট ব্রেকারের নিয়মগুলোর মধ্যে রয়েছে:
১. ২০০ টাকার নিচে থাকা প্রতিষ্ঠানের ক্ষেত্রে সার্কিট ব্রেকার ১০ শতাংশ। অর্থাৎ যেসব প্রতিষ্ঠানের শেয়ার বা ইউনিটের দাম ২০০ টাকার নিচে তার শেয়ার বা ইউনিটের দাম একদিনে সর্বোচ্চ ১০ শতাংশ বাড়তে বা কমতে পারবে।
২. শেয়ার বা ইউনিটের দাম ২০০ থেকে ৫০০ টাকার মধ্যে থাকা প্রতিষ্ঠানের সার্কিট ব্রেকার ৮ দশমিক ৭৫ শতাংশ।
৩. শেয়ার বা ইউনিটের দাম ৫০০ থেকে ১০০০ টাকার ক্ষেত্রে সার্কিট ব্রেকার ৭ দশমিক ৭০ শতাংশ।
৪. শেয়ার বা ইউনিটের দাম ১০০০ থেকে ২০০০ টাকার ক্ষেত্রে সার্কিট ব্রেকার ৬ দশমিক ২৫ শতাংশ।
৫. শেয়ার বা ইউনিটের দাম ২০০০ থেকে ৫০০০ হাজার টাকার ক্ষেত্রে সার্কিট ব্রেকার ৫ শতাংশ।
৬. শেয়ার বা ইউনিটের দাম ৫০০০ টাকার ওপরে হলে সার্কিট ব্রেকার ৩ দশমিক ৭৫ শতাংশ।