পাইকগাছা (খুলনা) প্রতিনিধি: পাইকগাছায় আরো ৩শ’ দুস্থ, অসহায় ও ভূমিহীন পরিবার জমি সহ ৩শ’ রঙিন ঘর পাচ্ছে। রোববার প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার উদ্বোধনীর মধ্য দিয়ে স্থানীয়ভাবে উপকারভোগী ভূমিহীন পরিবারের মাঝে জমির দলিল সহ ঘর হস্তান্তর করা হবে। এর আগে প্রথম পর্যায়ে ২শ’২০ ভূমিহীন পরিবার জমি সহ ঘর পান। প্রধানমন্ত্রীর উদ্বোধনী অনুষ্ঠান সরাসরি সম্প্রচার ও দলিল হস্তান্তর অনুষ্ঠানের সকল প্রস্তুতি সম্পূর্ণ রাখা হয়েছে বলে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা এবিএম খালিদ হোসেন সিদ্দিকী জানিয়েছেন।
উল্লেখ্য, মুজিববর্ষে দেশের একটি মানুষও গৃহহীন থাকবে না এমন ঘোষণা দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। প্রধানমন্ত্রীর এমন ঘোষণা অনুযায়ী প্রধানমন্ত্রী কার্যালয়ের আশ্রয়ণ-২ প্রকল্পের আওতায় ২য় পর্যায়ে অত্র উপজেলায় ৩শ রঙিন ঘর তৈরী করা হয়েছে। এবার উপকারভোগীদের তালিকায় নতুনভাবে সম্পৃক্ত করা হয়েছে ৩য় লিঙ্গের মানুষদেরকে। প্রকল্প বাস্তবায়ন কমিটির সভাপতি ও উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা এবিএম খালিদ হোসেন সিদ্দিকী টানা কয়েক মাস নিরলস পরিশ্রম করে উপজেলার বিভিন্ন ইউনিয়নে সরকারি খাঁস জমির উপর এসব ঘর নির্মাণ করেছেন। উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাকে এ কাজে সহযোগিতা করেছেন সহকারী কমিশনার (ভূমি) মোঃ শাহরিয়ার হক, উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা ইমরুল কায়েস, উপজেলা প্রকৌশলী হাফিজুর রহমান খান সহ সংশ্লিষ্ট ইউপি চেয়ারম্যান ও ভূমি অফিসের কর্মকর্তা-কর্মচারীবৃন্দ। ইতোমধ্যে উপকারভোগীদের চূড়ান্ত তালিকা প্রনয়ণ ও জমির বন্দোবস্ত দলিল রেজিস্ট্রেশন প্রক্রিয়া সম্পন্ন করা হয়েছে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা রোববার সকাল সাড়ে ১০টার দিকে ভিডিও কনফারেন্স এর মাধ্যমে সারাদেশে নির্মিত ২য় পর্যায়ের মুুজিববর্ষের ঘর হস্তান্তর অনুষ্ঠানের শুভ উদ্বোধন করবেন। প্রধানমন্ত্রীর উদ্বোধনীর মধ্য দিয়ে স্থানীয়ভাবে ৩শ’ ভূমিহীন পরিবারের মাঝে হস্তান্তর করা হবে জমি সহ নবনির্মিত ৩শ’ ঘর। এ প্রসঙ্গে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা এবিএম খালিদ হোসেন সিদ্দিকী জানান, সকলের সহযোগিতায় ২য় পর্যায়ে ৩শ’ ঘর নির্মাণ করা হয়েছে। এলাকার ৩শ’ দুস্থ ও অসহায় ভূমিহীন পরিবারের মাঝে জমি সহ এসব ঘর হস্তান্তর করা হবে। এবার ২য় পর্যায়ে উপকারভোগীদের তালিকায় নতুনভাবে সংযুক্ত করা হয়েছে তৃতীয় লিঙ্গের মানুষদেরকে। সমাজের মূল স্রোতধারায় আনতে ১০জন তৃতীয় লিঙ্গের উপকারভোগীকে প্রদান করা হচ্ছে জমি সহ রঙিন ঘর। এমন মহৎ ও মানবিক কাজে সম্পৃক্ত থাকতে পেরে নিজেকে গর্বিত মনে করছি বলে জানান ইউএনও খালিদ হোসেন।
