খবর৭১ঃ
জাতিসংঘের সেফটি অ্যান্ড সিকিউরিটি বিভাগের (ইউএনডিএসএস) নিরাপত্তা উপদেষ্টা রমেশ চন্দ্র সিংহ বাংলাদেশ পুলিশের প্রশংসা করে বলেছেন, এটা সম্ভব হয়েছে বাংলাদেশ পুলিশের আন্তরিকতা, পেশাদারিত্ব ও সমন্বিত প্রচেষ্টার ফলে। সত্যিই এই কাজটা অনেক প্রশংসার দাবি রাখে।
এক সহকর্মীর ছিনতাই হওয়া মালামাল উদ্ধারের জন্য গত মঙ্গলবার পাঠানো অভিনন্দনপত্রে পুলিশের মহাপরিদর্শক (আইজিপি) ড. বেনজীর আহমেদ, তেজগাওঁ বিভাগের উপকমিশনার (ডিসি) মো. শহিদুল্লাহ ও শেরেবাংলা নগর থানার ওসি জানে আলম মুন্সিকে অভিনন্দন জানিয়েছেন রমেশ চন্দ্র সিংহ।
অভিনন্দনপত্রে রমেশ চন্দ্র বলেন, জাতিসংঘে আমাদের একজন সহকর্মী প্রতীক রঞ্জন বিশী, যিনি ইন্টারন্যাশনাল লেবার অর্গানাইজেশনে (আইএলও) কর্মরত। গত ৪ জুন রাত ৯টার দিকে রাজধানীর ধানমন্ডি এলাকার ২৭ নম্বর রোডের একটি ফুটওভার ব্রিজে দস্যুতার শিকার হন তিনি। ডাকাত দল ধারাল অস্ত্রের মুখে তার কাছ থেকে অফিসের কাজে ব্যবহৃত একটি মোবাইল ফোন, একটি ব্যক্তিগত স্মার্ট ওয়াচ ও একটি স্বর্ণের রিং ছিনিয়ে নেয়। এ ঘটনায় ৫ জুন শেরেবাংলা নগর থানায় অভিযোগ করা হয়।
পুলিশ জানায়, লুট হওয়া মালামাল নোয়াখালী থেকে উদ্ধারসহ এ ঘটনায় জড়িত ডাকাত দলের তিন সদস্যকে গ্রেফতার করা হয়। গ্রেফতারকৃতরা ডাকাতির কথা স্বীকার করে আদালতে জবানবন্দি দিয়েছে।
ওই অভিনন্দনপত্রে বলা হয়, লুট হওয়া মালামাল উদ্ধার হওয়ার পরপরই শেরেবাংলা নগর থানা পুলিশের পক্ষ থেকে প্রতীক রঞ্জন বিশীকে অবহিত করে তার লুট হওয়া মালামাল বুঝিয়ে দেয়া হয়।
বাংলাদেশ পুলিশের প্রশংসা করে অভিনন্দনপত্রে জাতিসংঘের নিরাপত্তা উপদেষ্টা বলেন, ভারতের পুলিশ বাহিনীতে ২০ বছরের চাকরির অভিজ্ঞতা থেকে বলতে পারি, ছিনতাই হওয়া জিনিস উদ্ধার করে তা প্রকৃত মালিককে ফেরত দেওয়া কতটা কষ্টকর, চ্যালেঞ্জিং ও গর্বের- সেটি বাংলাদেশ পুলিশ করে দেখিয়েছে। আমি বিশ্বাস করি, এ ধরনের কাজের মাধ্যমে পুলিশ ও জনগণের মধ্যে শক্তিশালী সম্পর্ক প্রতিষ্ঠিত হবে।