খবর৭১ঃ সংসদ সদস্য পদ বহাল রাখতে কুয়েতের আদালতে দণ্ডিত লক্ষ্মীপুর-২ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য কাজী শহিদ ইসলাম পাপুলের পক্ষে করা রিট আবেদন আপিলেও খারিজ হয়েছে। এর ফলে লক্ষ্মীপুর-২ আসনে উপনির্বাচন আয়োজনে আর কোনো বাধা থাকলো না।
বৃহস্পতিবার প্রধান বিচারপতি সৈয়দ মাহমুদ হোসেনের নেতৃত্বাধীন আপিল বিভাগ এ আদেশ দেন।
আদালতে রিটের পক্ষে শুনানি করেন ব্যারিস্টার রোকন উদ্দিন মাহমুদ। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন অ্যাটর্নি জেনারেল এ এম আমিন উদ্দিন।
ফৌজদারি অপরাধে দণ্ডের কারণে কাজী শহিদ ইসলাম পাপুলের সংসদ সদস্যপদ বাতিলের বৈধতা, লক্ষ্মীপুর-২ নির্বাচনী আসন শূন্য ঘোষণা এবং উপনির্বাচনের তফসিলের বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে রিটটি করেছিলেন তার বোন নুরুন্নাহার বেগম এবং পাপুলের মনোনয়নপত্রে প্রস্তাবকারী শাহাদাত হোসেন। গত মার্চে ওই রিট আবেদনটি করলেও গত ৭ জুন এর ওপর শুনানির পর আদেশের জন্য রাখা হয়। ৮ জুন পাপুলের পক্ষে করা রিট আবেদন সরাসরি খারিজ করে দেয় বিচারপতি মো. মজিবুর রহমান মিয়া ও বিচারপতি কামরুল হোসেন মোল্লার সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ।
হাইকোর্টে রিট খারিজ হওয়ার পর আপিল বিভাগে আবেদন করা হয়। আজ সেই আপিলও খারিজ করে দেয়া হয়।
গত ২২ ফেব্রুয়ারি ঘুষ ও অর্থপাচারের দায়ে কুয়েতের আদালতে দণ্ডপ্রাপ্ত লক্ষ্মীপুর-২ আসনের স্বতন্ত্র সংসদ সদস্য কাজী শহিদ ইসলাম পাপুলের সদস্য পদ বাতিল করা হয়। সংসদ সচিবালয় এ সংক্রান্ত প্রজ্ঞাপন জারি করে। এরপর লক্ষ্মীপুর-২ আসনটি শূন্য ঘোষণা করে আগামী ২১ জুন সেখানে উপ-নির্বাচনের ভোটগ্রহণের তারিখ নির্ধারণ করেছে নির্বাচন কমিশন।
চলতি বছরের ২৮ জানুয়ারি পাপুলকে চার বছরের সশ্রম কারাদণ্ড দেন কুয়েতের একটি আদালত। পাশাপাশি তাকে ১৯ লাখ কুয়েতি রিয়াল বা ৫৩ কোটি টাকা জরিমানাও করা হয়। গত বছরের ৬ জুন রাতে কুয়েতের বাসা থেকে গ্রেপ্তার করা হয়েছিল পাপুলকে।