খবর ৭১: বাহরাইনে চার বছর আগে বাংলাদেশীদের হাতে একজন ইমাম নৃশংসভাবে খুন হয়েছিলেন। এর পর থেকেই বাংলাদেশীদের নামে ওয়ার্ক পারমিট ইসু বন্ধ রয়েছে।
ফলে নতুন করে আর কোনো শ্রমিক আসতে পারছে না। যার কারণে কনস্ট্রাকশন বিভিন্ন কোম্পানিতে দেখা দিয়েছে বিদেশী কর্মী সঙ্কট। এই সঙ্কটের মধ্যেই যারা দেশে ছুটিতে গেছেন তারা ফ্লাইট বন্ধ থাকার কারণে আসতে পারছেন না। অনেকের ভিসার মেয়াদ শেষ হয়ে যাচ্ছে। এমন আটকাপড়া শ্রমিকের সংখ্যা হবে ২৫০-৩০০ জন। মেয়াদ চলে গেলে তারা আর কেউ এ দেশে আসতে পারবে না। যার কারণে অনেক শ্রমিক ও তাদের কোম্পানি কর্তৃপক্ষ স্বজন, দূতাবাসে সমস্যার কথা জানাচ্ছেন। একই সাথে তারা দাবি জানাচ্ছেন দ্রুত একটা পদক্ষেপ নিতে। এ ক্ষেত্রে রাষ্ট্রদূত মোহাম্মদ নজরুল ইসলাম ও শ্রম কাউন্সেলর শেখ মোহাম্মদ তাওহীদুল ইসলাম আমাদের বাংলাদেশ কমিউনিটির সাথে করণীয় নিয়ে জুম মিটিং করেছেন।
একই সাথে রাষ্ট্রদূত দেশটির সরকারের সংশ্লিষ্টদের সাথে বৈঠক করে ফ্লাইট চালু করা যায় কি না সে ব্যাপারে অনুরোধ করেছেন। তবে করোনা পরিস্থিতির অবনতি হওয়ার কারণে এখনো দূতাবাস কোনো গ্রিন সিগনাল পায়নি বলে শুনেছি। তবে বাংলাদেশ কমিউনিটির পক্ষ থেকে স্বাস্থ্যবিধি মেনে অন্তত দেশে আটকেপড়া বাংলাদেশীদের ফেরাতে যাতে একটা বিমানের বিশেষ ফ্লাইটের ব্যবস্থা করা যায় সে ব্যাপারে দূতাবাসেরপ্রতি কর্মীদের পক্ষ থেকে অনুরোধ জানানো হয়েছে।
এ দিকে রোববার গালফ নিউজের এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, করোনা-১৯ ভাইরাস মহামারী আকারে ছড়িয়ে পড়তে সহায়তা করার জন্য লাল তালিকাভুক্ত বাংলাদেশ, ভারত, পাকিস্তান, শ্রীলঙ্কার নাগরিকদের জন্য সাময়িকভাবে কাজের পারমিট দেয়া বন্ধ করবে। দেশটির শ্রমবাজার নিয়ন্ত্রক কর্তৃপক্ষ কর্তৃক এ সিদ্ধান্ত নেয়া হয়। উল্লেখ্য, গত ৫ মাসে মাত্র ৯ জন কর্মী বাহরাইনে পাড়ি জমান। এর মধ্যে জানুয়ারি মাসে দু’জন আর এপ্রিল মাসে সাতজন।