ইবি প্রতিনিধি: প্রায় এক যুগ পর (১১ বছর ৩ মাস) পর বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী ছাত্রদল ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় (ইবি) শাখার আহ্বায়ক কমিটির অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। অনুমোদনের পরপরই নতুন কমিটি নিয়ে নানা অভিযোগ উঠছে। প্রার্থী ও সাবেক নেতারাও কমিটি নিয়ে অসন্তুষ্ট। পদপ্রাপ্তদের বিরুদ্ধে অছাত্রত্ব, বিবাহিতসহ নানা অভিযোগ উঠেছে। এছাড়া ত্যাগী নেতারাও বঞ্চিত হয়েছে বলে অভিযোগ তোলেন অনেকে।
জানা যায়, বুধবার ছাত্রদলের কেন্দ্রীয় সভাপতি ফজলুর রহমান খোকন ও সাধারণ সম্পাদক ইকবাল হোসেন শ্যামল স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে ৩১ সদস্যের এ কমিটি ঘোষণা করা হয়েছে। আগামী দুই বছর তারা এ দায়িত্ব পালন করবেন বলে বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখ করা হয়েছে।
কমিটিতে লোকপ্রশাসন বিভাগের ২০০৭-০৮ শিক্ষাবর্ষের সাহেদ আহম্মেদকে আহ্বায়ক এবং ইংরেজি বিভাগের ২০১১-১২ শিক্ষাবর্ষের মাসুদ রুমী মিথুনকে সদস্য সচিব করা হয়েছে।
৩১ সদস্যবিশিষ্ট কমিটির অন্যরা হলেন- যুগ্ম আহ্বায়ক আনোয়ার পারভেজ, আবু দাউদ, শাহানুর হোসেন, ওমর শরীফ, আনারুল ইসলাম, আহসান হাবীব, সবুজ হোসাইন, মেহেদী হাসান হিরা, মনিরুল ইসলাম, নাজমুল ইসলাম, রোকন উদ্দীন, সোলায়মান চৌধুরী শিহাব, সালাহ উদ্দীন রানা, তুহিন হোসাইন, লিমন হোসাইন ও নওশীন তাবাসসুম।
সদস্য হিসেবে রয়েছেন- জিতু আহসান, ওসমান আলী, রাজু আহম্মেদ, সাব্বির হোসেন, রাফিজ আহম্মেদ, নুর উদ্দীন, রাফসান জনি শাওন, সম্রাট হোসাইন, মাহমুদুল হাসান মৃদুল, সানজিদা ইসলাম, রুনা খাতুন, মিঠুন হোসাইন ও তরিকুল ইসলাম সৌরভ।
কমিটিকে প্রত্যাখ্যান সামাজিস যোগাযোগ মাধ্যমে স্ট্যাটাস দেন নতুন কমিটির যুগ্ম আহবায়ক আনোয়ার পারভেজ। এ বিষয়ে তিনি যুগান্তরকে বলেন, এ কমিটিকে ঘৃণাভরে প্রত্যাখ্যান করছি। আমি সদস্য সচিব পদপ্রত্যাশী ছিলাম। আমার সঙ্গে অবিচার করা হয়েছে। সাংগঠনিক অভিভাবক তারেক রহমান ভাইয়ের কাছে আমি এর সুষ্ঠু বিচার দাবি করছি।
এছাড়া সংগঠনর সদ্য বিদায়ী সভাপতি ওমর ফারুক জানান, দলের চরম দুর্দিনে যে কিছু সংখ্যক মানুষকে নিয়ে মিছিল করেছি, তারা আজ সদস্য পদটিও পেলো না। এর জন্য তিনি দলের খুলনা বিভাগীয় টিমকেও দায়ী করেন।
এ বিষয়ে নতুন আহ্বায়ক শাহেদ আহম্মেদ বলেন, কেন্দ্র আমাকে যে দায়িত্ব দিয়েছে তা যথাযথভাবে পালন করতে চেষ্টা করবো। সংগঠনের কার্যক্রমকে গতিশীল করতে আমি সর্বাত্মক প্রচেষ্টা চালিয়ে যাবো।
প্রসঙ্গত, সর্বশেষ ২০১০ সালের ১৭ মার্চ ইবি শাখা ছাত্রদলের কমিটির অনুমোদন দেওয়া হয়। এতে আইন বিভাগের ২০০৩-০৪ শিক্ষাবর্ষের ওমর ফারুককে সভাপতি ও ইসলামের ইতিহাস ও সংস্কৃতি বিভাগের ২০০৪-০৫ শিক্ষাবর্ষের রাশেদুল ইসলামকে সাধারণ সম্পাদক করে দুই বছরের জন্য ৭ সদস্যবিশিষ্ট কমিটির অনুমোদন দেওয়া হয়েছিল।