উজ্জ্বল রায়, জেলা প্রতিনিধি নড়াইল থেকে: নড়াইল জমি জমা সংক্রান্ত বিরোধের জের ধরে সদর উপজেলার দলজিৎপুরে তিনটি পরিবারের বাড়ির প্রবেশ ও বের হওয়ার পথ বন্ধ করে দেওয়ার ঘটনা ঘটেছে।
স্থানীয় জনপ্রতিনিধি ও এলাকার গণ্যমান্য ব্যক্তিদের অনুরোধে ও অসহায় পরিবারগুলো তাদের চলাচলের পথ ফিরে পাননি।
এ অবস্থায় পরিবার-পরিজন নিয়ে স্বাভাবিক চলাচলের নিশ্চয়তায় প্রশাসনের সহযোগিতা চেয়েছেন অসহায় পরিবারগুলো। ভুক্তভোগী কাজল কুমার শীল, বংশী কুমার শীল, পবিত্র কুমার শীল জানান, আমরা ১৯৯৬ সালে দলজিৎপুর মৌজায় স্বপন কুমার শীল,শংকর কুমার শীল, উভয় পিং মনিন্দ্র নাথ শীল এর কাছ থেকে পাঁচ শতক জমি ক্রয় করে আমাদের বাড়িতে যাতায়াতের পথ হিসেবে ব্যবহার করে আসছিলাম। আমরা জমি কেনার পরেই স্বপন কুমার শীল,শংকর কুমার শীল,কে বিবাদি করে তার আপন কাকাত ভাই রিপন কুমার শীল, শীপন কুমার শীল পিং তিলক কুমার শীল নড়াইল আদালতে উক্ত জমি নিয়ে একটি মামলা দায়ের করে । যাহার মামলা নং ১৭৩/৯৬ ,উক্ত মামলার আর্গুমেন্টের দিন আছে আগামী ১৪/ ০৬ /২০২১ ইং তারিখে। মামলায় পরাজিত হওয়ার আশংকায় ০৮/০৬/২০২১ তারিখে সকাল সাতটার দিকে রিপন কুমার শীল শীপন কুমার শীল সহ অজ্ঞাত দশ বারো জন সন্ত্রাসী আমাদের কেনা জমিতে প্রবেশ করে আমাদের যাতায়াতের একমাত্র পথটি সিমেন্টের খুটি ,বাশেঁর বেড়া দিয়ে বন্ধ করে দেয়, আমরা বাধা দিতে গেলে তারা আমাদের উপর চড়াও হয়। কাজল কুমার শীল এর স্ত্রী মমতা মজুমদার কে শারিরীক ভাবে হেনস্তা করে এবং মায়ের সাথে খারাপ আচরনের প্রতিবাদ করলে কাজল কুমার শীল এর একমাত্র ছেলে জয় (১৪) কে সন্ত্রাসীরা মারধর করে। ভুক্তভোগী পরিবার গুলো জানায়
আমরা এক ধরনের বন্দি জীবন-যাপন করছি। আমরা স্ত্রী সন্তানদের নিয়ে সুন্দর ভাবে বেঁচে থাকার জন্য আমাদের পথের জমি ফেরত চাই।
স্থানীয় এলাকাবাসীর কাছে এ বিষয়ে জানতে চাইলে তারা জানান ,এই জমি আজ প্রায় ২৫ বছর যাবত কাজল কুমার শীল ও তার শরীকরা স্বপন ও শংকরের কাছ থেকে কিনে পথ হিসেবে ব্যবহার করছে । এ জমি নিয়ে মামলাও আছে শুনেছি । সকালে ঘুম থেকে উঠে দেখলাম পথটি রিপন , শীপন বহিরাগত কিছু লোক সাথে নিয়ে বেড়া দিয়ে বন্ধ করে দিচ্ছে । কাজল কুমার শীলের স্ত্রী মমতা মজুমদার কান্না জড়িত কন্ঠে বলেন, বাড়িতে হাঁস-মুরগি গরু ছাগল পালন করে ছেলে-মেয়ে পড়াশোনা করাচ্ছি। আমাদের যাতায়াতের পথ আটকে দেওয়ায় এমন বিপদে পড়েছি যা ভাষায় প্রকাশ করা যায় না।
এ ব্যপারে শাহবাদ ইউনিয়নের বিট অফিসার এস আই আমির হোসেনের কাছে জানতে চাইলে তিনি জানান, সকালে সংবাদ পেয়ে ডিবি পুলিশের একটি টিম ঘটনাস্থলে পাঠানো হয়েছিল। তারা দুই পক্ষকে শান্ত থাকার জন্য বলে আসছে। আর যেহেতু এ জমি নিয়ে আদালতে মামলা চলমান আছে , তাই আদালতের সিদ্ধান্তই চূড়ান্ত।
শাহবাদ ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান দেলোয়ার হোসেন পান্না জানান, এ জমি নিয়ে অনেক বার শালিষ বৈঠক হয়েছে। আমি দুই পক্ষকে আদালতের রায় পর্যন্ত অপেক্ষা করতে বলেছিলাম। আমি দুই পক্ষকেই শান্তি বজায় রাখতে বলেছি। কিন্তু আজ সকালে রিপন কুমার শীল, শীপন কুমার শীল বে আাইনি ভাবে কাজলকুমার শীলদের যাতায়াতের একমাত্র পথটি বন্ধ করে দিয়েছে বলে জানতে পেরেছি।এটা খুবই দুঃখ জনক ব্যপার।
ভুক্তভোগী পরিবারগুলো এ বিষয়ে প্রশাসনের কাছে তদন্তপূর্বক প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহনের দাবী জানিয়েছেন।