খবর৭১ঃ শরীর মোটা হয়ে যাওয়া থেকে শুরু করে ডায়াবেটিসের রোগভোগের কারণে আপনার জীবনে বাদ পড়েছে চিনি। পেটে না সইলেও ত্বকে সওয়ালে শেষ পর্যন্ত লাভ আপনারই। অধিকাংশ রূপটান বানিয়ে নেওয়া যায় রান্নাঘরের সাধারণ কিছু উপাদান দিয়েই! যেমন ধরুন চিনি! যে কোনও বাড়িতেই মজুত থাকে চিনি। আবার চিনি খেলে বয়সকালে রোগ বাসা বাঁধবে শরীরে। তাই চিনি খাওয়া কমিয়ে মাখার অভ্যাস করুন!
নিজের রূপচর্চার সামগ্রীটি নিজের হাতে বানিয়ে নিতে পারলে একদিকে যেমন খাঁটি জিনিসটা পাওয়া যায়, তেমনি পয়সার সাশ্রয়ও হয় অনেকটাই। জেনে নিন কী ভাবে ত্বকের যত্ন নেয় চিনি।
সব ধরনের ত্বকেই দারুণ স্ক্রাব হিসেবে কাজ করে চিনি। অলিভ অয়েলের সঙ্গে কয়েক টামচ চিনি ও কয়েক ফোঁটা লেবুর রস মিশিয়ে নিন। এই মিশ্রণ মুখে লাগিয়ে রাখুন ১৫ মিনিট। হালকা গরম জলে আলতো করে স্ক্রাব করে তুলে ফেলুন।
মড়া চামড়া চেহারার জেল্লা কমিয়ে দিয়ে রুক্ষ ভাব আনে। এই মড়া চামড়া তুলতে ভাল কাজ করে চিনি। এক চা চামচ গরম নারকেল তেলের সঙ্গে দু’চা চামচ চিনি মিশিয়ে মুখে স্ক্রাব করুন। হালকা গরম জলে মুখ ধুয়ে ফেলুন। মড়া চামড়া উঠে গিয়ে ত্বক উজ্জ্বল হবে।
প্রেগন্যান্সির পর বা হঠাৎ করে ওজন কমে গেল ত্বকে স্ট্রেচ মার্ক দেখা দেয়। চামড়ার ওপর ফাটা ফাটা দাগ দেখতে বিশ্রি লাগে। এই স্ট্রেচ মার্ক তুলতে পারে চিনি। কফি, চিনি, আমন্ড তেল ও মধু মিশিয়ে রোজ মালিশ করুন। নিয়মিত করলে ধীরে ধীরে হালকা হয়ে যাবে স্ট্রেচ মার্ক।
ফাটা ঠোঁটের সমস্যা থাকলে চিনি ও বিটের রস এক সঙ্গে মিশিয়ে নিন। এই মিশ্রণ ঠোঁটে মাসাজ করুন। হালকা গরম জলে ধুয়ে ফেলুন। এতে ফাটা কমে ঠোঁট নরম তো হবেই, লাল রঙও ধরে রাখবে বিটের রস।
স্কিন হাইড্রেশন করার জন্য চিনি বেশ উপকারি। বিভিন্ন কারণে ত্বক শুকিয়ে যায়। অনেক সময় ত্বক পানি টানতে থাকে। তাই এই সময় চেহারার ঔজ্জ্বল্য ধরে রাখতে ত্বকের হাইড্রেশন করা প্রয়োজন। তিল তেল, চিনি ও কয়েক ফোঁটা ইউক্যালিপটাস অয়েল মিশিয়ে নিন। এই প্যাক মুখে লাগিয়ে রাখুন ১০ থেকে ১৫ মিনিট। হালকা গরম জলে মুখ ধুয়ে ময়শ্চারাইজার, ক্রিম বা লোশন লাগিয়ে নিন।
এছাড়া যখন শরীরে চিনির ঘাটতি হয়, তখন শক্তি কমে যায়। আর চিনি খেলে শরীর তাৎক্ষণিক শক্তি পায়। চিনের মধ্যে রয়েছে গ্লাইকোলিক অ্যাসিড, যা ত্বকের টোনকে ঠিক রাখে। ত্বকের তৈলাক্ততার ভারসাম্য রক্ষা করে, দাগ দূর করতে সাহায্য করে। চিনির দানা যে কোনো কাটাছেঁড়া ক্ষেত্রে প্রলেপ হিসেবে লাগালে অ্যান্টিবায়োটিকের মতো কাজ করে। চিনি বিষণ্ণতা দূর করতেও সাহায্য করে।