খবর৭১ঃ
রাজধানীর বিভিন্ন এলাকা থেকে ভয়ানক মাদক এলএসডিসহ (লাইসার্জিক অ্যাসিড ডাইথ্যালামাইড) গ্রেপ্তার বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের পাঁচ শিক্ষার্থীর প্রত্যেককে ৫ দিন করে রিমান্ড দিয়েছেন আদালত।
সোমবার দুপুরে তাদের আদালতে হাজির করে প্রত্যেকের ১০ দিন করে রিমান্ড চাওয়া হয়।
পরে বিকালে ঢাকার চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট (সিএমএম) আদালতের বিচারক আতিকুল ইসলাম পাঁচদিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন।
গত রবিবার (৩০ মে) রাজধানীর বিভিন্ন স্থানে অভিযান চালিয়ে এলএসডিসহ পাঁচজনকে গ্রেপ্তার করে ডিএমপির মতিঝিল বিভাগের খিলগাঁও থানা পুলিশ।
প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে আসামিরা জানিয়েছেন, গত এক বছর ধরে দেশে এলএসডির ব্যবসা চালিয়ে আসছেন। এ ব্যবসায় রয়েছে আরও ১৩-১৪টি চক্র।
এর আগে গত ২৬ মে রাতে রাজধানীর ধানমণ্ডি ও লালমাটিয়া এলাকা থেকে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের নিহত শিক্ষার্থী হাফিজুর রহমানের বন্ধুসহ বিশ্ববিদ্যালয়পড়ুয়া তিন তরুণকে গ্রেপ্তার করা হয়। তাদের কাছ থেকে এলএসডির ২০০টি ব্লট (মেশানো কাগজ) উদ্ধার করা হয়। এরপরই আলোচনায় আসে এলএসডি। পরে তিন শিক্ষার্থীর পাঁচদিন করে রিমান্ড মঞ্জুর করেন আদালত।
তিন শিক্ষার্থী হলেন- সাদমান সাকিব ওরফে রুপল (২৫), অসহাব ওয়াদুদ ওরফে তূর্য (২২) ও আদিব আশরাফ (২৩)। তারা বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ে ব্যবসায় প্রশাসনে (বিবিএ) পড়েন।
আট দিন নিখোঁজ থাকার পর গত ২৩ মে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গে শনাক্ত হয় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী হাফিজুর রহমানের লাশ।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের তথ্যবিজ্ঞান ও গ্রন্থাগার ব্যবস্থাপনা বিভাগের ২০১৫-১৬ সেশনের ছাত্র হাফিজুর রহমান ছিলেন একজন মূকাভিনয়শিল্পী। টিএসসিভিত্তিক সংগঠন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় মাইম অ্যাকশনের সাধারণ সম্পাদকও ছিলেন তিনি।
ব্রাহ্মণবাড়িয়ার কসবা উপজেলার খাড়েরা গ্রামের ইমাম মুজিবুর রহমানের ছেলে হাফিজুর ১৫ মে রাতে ঢাকা মেডিক্যাল কলেজের সামনে ডাব বিক্রেতার কাছ থেকে দা নিয়ে নিজের গলা নিজেই কেটে ফেলেন বলে জানা গেছে। তখন হাফিজুর মারা গেলেও তাঁর পরিচয় শনাক্ত হয়নি।
তার এ মৃত্যুর ঘটনা তদন্ত করতে গিয়ে তার বন্ধুদের আটক করা হয়। এরপরই এলএসডি মাদকের বিষয়টি আলোচনায় আসে।