খবর ৭১: অন্তত একটি জয়ের লক্ষ্যে বেশ আঁটঘাঁট বেধেই মাঠে নেমেছে শ্রীলঙ্কা। ব্যাট হাতে দারুণ ইনিংস শুরুর পর ধারাবাহিকতা ধরে রেখেছেন অতিথি দলের অধিনায়ক কুশল পেরেরা। তিনবার জীবন পেয়ে তুলে নিয়েছেন ক্যারিয়ারের ষষ্ঠ সেঞ্চুরি। তাঁর শতরানের ইনিংসে ভর করে তিন ম্যাচ সিরিজের তৃতীয় ও শেষ ওয়ানডেতে বাংলাদেশকে ২৮৭ রানের চ্যালেঞ্জ দিয়েছে শ্রীলঙ্কা।
আজ শুক্রবার মিরপুর শেরেবাংলা স্টেডিয়ামে আগে ব্যাট করে নির্ধারিত ৫০ ওভারে ছয় উইকেটে ২৮৬ রান করে শ্রীলঙ্কা। ব্যাট হাতে সর্বোচ্চ ১২০ রান করেছেন কুশল পেরেরা। এরই মধ্যে সিরিজের প্রথম দুই ম্যাচে জিতে ২-০ ব্যবধানে সিরিজ জিতে নিয়েছে বাংলাদেশ।
টস জিতে প্রথমে ব্যাটিংয়ে নেমে উড়ন্ত শুরু করে শ্রীলঙ্কা। কোনো উইকেট না হারিয়েই ৪০ বলে তুলে নেয় দলীয় হাফসেঞ্চুরি। এরপর বড় সংগ্রহের পথে ছুটছিল লঙ্কানদের ওপেনিং জুটি। তবে ভয়ংকর হয়ে ওঠার আগেই লঙ্কানদের ওপেনিং জুটি ভাঙেন তাসকিন আহমেদ। শ্রীলঙ্কার ইনিংসের ১২তম ওভারে পরপর দুবার আঘাত হানেন তাসকিন। প্রথমে ৩৯ রানে অতিথি ওপেনার গুনাথিলাকাকে থামিয়েছেন তিনি। ৮২ রানে প্রথম উইকেট হারায় শ্রীলঙ্কা। গুনাথিলাকার পর তিনে নামা পাথুমকেও ফিরিয়ে দিয়েছেন তাসকিন। ২৬তম ওভারে ফিরিয়ে দেন কুশল মেন্ডিসকে।
তবে পরপর তিন উইকেট হারালেও উইকেট থিতু হয়ে যান অধিনায়ক কুশল পেরেরা। বাংলাদেশের বাজে ফিল্ডিংয়ের সুযোগ বেশ ভালোভাবে কাজে লাগান তিনি। তুলে নেন ক্যারিয়ারের ষষ্ঠ সেঞ্চুরি। ৯৯ বল মোকাবিলা করে ক্যারিয়ারের ষষ্ঠ সেঞ্চুরি তুলে নিয়েছেন লঙ্কান অধিনায়ক।
এক ইনিংসে মোট তিনবার জীবন পান শ্রীলঙ্কান অধিনায়ক। ৯৯ রানেও সহজ ক্যাচ মিস করে তাঁকে জীবন দিয়েছেন মাহমুদউল্লাহ। তার আগে ইনিংসের ২৩তম ওভারে সাকিব বলে ক্যাচ ছেড়ে দিয়ে পেরারকে প্রথম দফায় বাঁচিয়ে দেন মুস্তাফিজুর রহমান। তখন ৬৬ রানে অপরাজিত ছিলেন পেরেরা। এরপর ২৫তম ওভারেও আরেকবার জীবন পান লঙ্কান অধিনায়ক। তখনও বোলিংয়ে ছিলেন সাকিব। ৮৯ রানে উইকেটে থাকা পেরেরার ক্যাচ মিস করেছিলেন আফিফ। জীবন পাওয়ার সুবিধা কাজে লাগিয়ে শেষ পর্যন্ত ১২০ রানের ইনিংস খেলেন।
৩৯.২ ওভারে লঙ্কান অধিনায়ককে ফিরিয়ে স্বস্তি ফেরান ক্যারিয়ারের দ্বিতীয় ওয়ানডে খেলতে নামা শরিফুল ইসলাম। শ্রীলঙ্কার ইনিংসের ৪০ তম ওভারে পেরেরার প্রতিরোধ থামান শরিফুল। বাঁহাতি এই পেসারের বলে শট হাঁকাতে গিয়ে মাহমুদউল্লাহর হাতে ক্যাচ তুলে দেন তিনি। পেরেরা ফিরলে শেষের দিকের ক্রিকেটারদের নিয়ে নির্ধারিত ওভারে স্কোরবোর্ডে ২৮৬ রান তোলেন শ্রীলংকান তারকা ডি সিলভা। ইনিংস শেষে ৫৫ রানে অপরাজিত ছিলেন তিনি।
বল হাতে বাংলাদেশের হয়ে ৪৬ রান দিয়ে সর্বোচ্চ চার উইকেট নেন তাসকিন আহমেদ। ৫৬ রান খরচায় একটি উইকেট নিয়েছেন শরিফুল ইসলাম।
সংক্ষিপ্ত স্কোর
শ্রীলঙ্কা: ৫০ ওভারে ২৮৬/৬ (কুশল পেরেরা ১২০, গুনাথিলাকা ৩৯, পাথুম ০, মেন্ডিস ২২, ডিকবেলা ৭, ডি সিলভা ৫৫, হাসারাঙ্গা ১৮, রমেশ ৮ ; সাকিব ১০-০-৪৮-০, মিরাজ ১০-০-৪৮-০, মুস্তাফিজ ১০-০-৪৭-০, তাসকিন ৯-০-৪৬-৪, শরিফুল ৮-০-৫৬-১, সৈকত ৩-০-৩২-০)।