নড়াইলে গ্রাম বাংলার সুপরিচিত চড়ুই পাখি বিলুপ্তির পথে!

0
432

উজ্জ্বল রায়, জেলা প্রতিনিধি নড়াইল থেকে: নড়াইলে চড়ুই পাখি এখন বিলুপ্ত প্রায়। তেমন দেখা মেলে না তেমন দেখা যায় না নড়াইল জেলার মানুষ আর সন্ধা ও ভোর সকালে চড়ুইয়ের গান শুনতে পারেনা।

চড়ুই পাখি গ্রাম বাংলার সুপরিচিত পাখি। অনেকে একে বাউই বলে ডাকে। এই পাখির দৈর্ঘ্য প্রায় ১৫ সেন্টিমিটার। খাবারের তালিকায় রয়েছে শস্যদানা, ফল, কচি ঘাসের ডগা, বীজ, ছোট কীটপতঙ্গ ও ফুলের কুঁড়ি। এদের ইংরেজি নাম হাউজ স্প্যারো বাংলায় গৃহস্খালি চড়ুই। এরা জনবসতির মধ্যে থাকতে ভালোবাসে। তবে গেছো চড়ুই একটি বিরল পাখি। সচরাচর এই পাখির ঝাঁক চোখে পড়ে না আগের মতো। দিন দিন এই পাখির সংখ্যা কমে যাচ্ছে। বিশেষ করে পাতি চড়ুই এখন প্রায় বিলুপ্তির পথে। পাখির মাংস খুব সুস্বাদু বলে অনেক পাখিদের শিকারির শিকার হতে হতে হয়।

খোলা মাঠে ঝাঁকে ঝাঁকে এই চড়ুই পাখির দল এখন আর তেমন একটা চোখে পড়ে না। আর পাতি চড়ুই আমাদের গ্রাম বাংলার ঘর-বাড়ি ও শহরের ইমারতের গর্তে অতি সহজে চোখে পড়ে। এরা সাধারণত শহরের ইমরাতের গর্তেই বসবাস করতে বেশি পছন্দ করে। গৃহে বসবাসকারী পাতি চড়ুই খুবই মানুষ ঘেঁষা। কিন্তু এরা অনেকটা চালাক এবং মানুষের কাছ থেকে একটু দূরে থাকতে চায়। কাছে গেলেই এরা গাছের মগ ডালে চলে যায়। বিশেষ করে ধারে কাছে যদি বরই গাছ থাকে। দলের একটি উড়াল দিলে বাকিগুলোও একে একে উড়ে যায়।

পথচারীদের ফেলে দেওয়া চীনা বাদামের দানা খেতে পিচঢালা সড়কেও নামে। ঘাসের মধ্যেও পোকামাকড় খুঁজে বেড়ায়। জোড়া পায়ে লাফিয়ে লাফিয়ে গ্রামের মাঠের কাছে ঝোপ-জঙ্গলে নদীর ধারে গ্রামের ঘরের চালের ওপরে দল বেঁধে থাকে। সব সময় একই সুরে ডাকে। ঝোপালো গাছে অথবা ঘরের চালের ভিতর বাসা করে সাধারণত মার্চ থেকে আগস্ট এই ছয় মাসে ছয়টি ডিম পাড়ে এবং বাচ্চা ফুটাতে সময় লাগে ১৩ থেকে ১৫ দিন। বাচ্চারা উড়তে শিখলে বড়দের সঙ্গে তারা মাঠে যায় খাবার খেতে।

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here