খবর৭১ঃ
ডাক অধিদপ্তরের নবনির্মিত সদর দপ্তর ‘ডাক ভবনের’ আনুষ্ঠানিক যাত্রা শুরু হচ্ছে আজ বৃহস্পতিবার। রাজধানীর আগারগাঁওয়ে ডাক বাক্সের আদলে আধুনিক সুযোগ-সুবিধাসংবলিত নান্দনিক এই ভবনটি আজ উদ্বোধন করবেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। প্রধানমন্ত্রী আজ মধুখালী হতে মাগুরা শহর রেললাইন নির্মাণ প্রকল্পের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করবেন।
আগারগাঁওয়ে ৯১ কোটি ৭৩ লাখ টাকা ব্যয়ে দৃষ্টিনন্দন ১৪ তলা ভবনটি নির্মাণ করা হয়। বুধবার এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে ডাক ও টেলিযোগাযোগ বিভাগ জানিয়েছে, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বৃহস্পতিবার সকাল ১০টায় প্রধান অতিথি হিসেবে গণভবন থেকে ভার্চুয়ালি ডাক ভবন উদ্বোধন করবেন। ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রী মোস্তাফা জব্বার আগারগাঁওয়ে ডাক ভবন প্রান্তে উপস্থিত থেকে অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করবেন।
এ বিষয়ে মোস্তাফা জব্বার বলেন, ১৯৭১ সালে প্রতিষ্ঠার পর থেকেই তত্কালীন ঢাকা জিপিও ভবনের কয়েকটি কক্ষ নিয়ে ডাক অধিদপ্তরের যাত্রা শুরু হয়। তীব্র স্থান সংকটের মধ্যে স্বাধীনতার পর থেকে আজ পর্যন্ত ঢাকার গুলিস্তানে অবস্থিত ঢাকা জিপিও ভবনের তৃতীয় তলায় ডাক অধিদপ্তরের প্রশাসনিক সদর দপ্তরের কার্যক্রম পরিচালিত হয়ে আসছে। ঢাকা জিপিও প্রায় ৬০ বছরের পুরোনো হয়ে যাওয়ায় ভবনটির ঊর্ধ্বমুখী সম্প্রসারণ সম্ভব নয়। ফলে স্থান সংকুলান না হওয়ায় দাপ্তরিক কর্মপরিবেশ ও গতিশীলতা মারাত্মকভাবে বিঘ্নিত হচ্ছিল। তাই অধিদপ্তরের সদর দপ্তর হিসেবে একটি আধুনিক সুযোগ-সুবিধাসম্পন্ন ও নান্দনিক স্বতন্ত্র ডাক ভবন স্থাপন করা জরুরি ছিল।
মোস্তাফা জব্বার আরো বলেন, ডাক অধিদপ্তরের জন্য ঐতিহাসিক এই দিনটিকে স্মরণীয় রাখতে একটি বিশেষ স্মারক ডাকটিকিট প্রকাশ করা হবে। ডাক ও টেলিযোগাযোগ বিভাগের সচিব মো. আফজাল হোসেন এবং ডাক অধিদপ্তরের মহাপরিচালক মো. সিরাজ উদ্দিনসহ উভয় দপ্তর ও সংস্থার কর্মকর্তাগণ স্বাস্থ্যবিধি মেনে আগারগাঁও প্রান্ত থেকে উদ্বোধন অনুষ্ঠানে যোগদান করবেন বলে ঐ বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখ করা হয়।
নবনির্মিত ডাক ভবনটিতে সুসজ্জিত ও সমৃদ্ধ লাইব্রেরি, আধুনিক পোস্টাল মিউজিয়াম, সুপরিসর অডিটরিয়াম, ক্যাফেটেরিয়া, ডে-কেয়ার সেন্টার, মেডিক্যাল সুবিধা, অগ্নিনির্বাপক ব্যবস্থা এবং সার্বক্ষণিক ওয়াইফাইসহ অন্যান্য তথ্যপ্রযুক্তিগত সুবিধা রাখা হয়েছে।
এদিকে মধুখালী হতে কামারখালী হয়ে মাগুরা শহর পর্যন্ত ২৪ দশমিক ৮ কিলোমিটার নতুন রেললাইন নির্মাণ করা হচ্ছে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আজ বৃহস্পতিবার বেলা ১১টায় গণভবন থেকে ভার্চুয়াল অনুষ্ঠানের মাধ্যমে এ প্রকল্পের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করবেন।
মাগুরা জেলা প্রশাসন সূত্রে জানা গেছে, এ সময় মাগুরা সদর উপজেলার রামনগর হরিপদ মাধ্যমিক বিদ্যালয় প্রাঙ্গণ প্রান্তে ভিডিও কনফারেন্সে সংযুক্ত থাকবেন রেলপথ মন্ত্রী নুরুল ইসলাম সুজন। এ উপলক্ষ্যে রেলমন্ত্রী গতকাল বুধবার দুপুর ১২টায় মাগুরা সদর উপজেলার হরিপদ মাধ্যমিক বিদ্যালয় প্রাঙ্গণে অনুষ্ঠানস্থল পরিদর্শন করেন। এ সময় উপস্থিত ছিলেন মাগুরা-১ আসনের সংসদ সদস্য অ্যাডভোকেট সাইফুজ্জামান শিখর, জেলা প্রশাসক ড. আশরাফুল আলম, পুলিশ সুপার জহিরুল ইসলাম, জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান পঙ্কজ কুন্ডু, সদর উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান আবু নাসির বাবলুসহ রেলপথ মন্ত্রণালয়ের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাবৃন্দ।
মধুখালী হতে কামারখালী হয়ে মাগুরা শহর পর্যন্ত রেললাইন নির্মাণ প্রকল্পের পরিচালক মোহাম্মদ আসাদুল হক জানান, ১ হাজার ২০০ কোটি ৪৯ লাখ টাকা ব্যয়ে মধুখালী হতে কামারখালী হয়ে মাগুরা শহর পর্যন্ত ২৪ দশমিক ৮ কিলোমিটার নতুন রেলপথ নির্মাণ করা হবে।