শেখ কাজিম উদ্দিন, বেনাপোল প্রতিনিধি : বেনাপোলে ভারত ফেরত বাংলাদেশীদের প্রাতিষ্ঠানিক কোয়ারেন্টিন বাস্তবায়নে সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাগণের সাথে মতবিনিময় সভা করেছেন খুলনা বিভাগীয় কমিশনার এনডিসি মোঃ ইসমাইল হোসেন। এসময়, ভারত থেকে যাতে করোনার নতুন নতুন বিষ নিয়ে কেউ যাতে বাংলাদেশের সমগ্রাঞ্চলে প্রবেশ করতে না পারে সেলক্ষ্যে পুলিশ-প্রশাসনসহ সরকারের বিভিন্ন দপ্তরের কর্মকর্তাদের সাথে দিক নির্দেশনা ও সমন্ময় আলাপচারিতা করেন তিনি। বুধবার বিকেল সাড়ে ৫ টার সময় বেনাপোল ইমিগ্রেশন ও কাস্টম কোয়ারেন্টাইন কন্ট্রোল রুম পরিদর্শণ শেষে স্থলবন্দরের সম্মেলন কক্ষে এ মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়।
যশোর জেলা প্রাসনের আয়েজনে ও জেলা প্রশাসক তমিজুল ইসলাম খান এর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত উক্ত মতবিনিময় সভায় খুলনা বিভাগীয় কমিশনার ইসমাইল হোসেন বলেন, বেনাপোল ও দর্শণা ইমিগ্রেশন দিয়ে দেশের অভ্যন্তরে প্রবেশকারি একটি মানুষও ১৪ দিনের কোয়ারেন্টিন বাদে সীমান্ত সীমানা অতিবাহিত করে দেশের অভ্যন্তরে প্রবেশ করতে পারবেনা। তাতে তিনি যতো বড়ো মাপের মানুষ হউন না কেন। তাতে সমগ্র বাংলাদেশের মানুষ সুরক্ষিত থাকবে।
এসময় তিনি ইতিপূর্বের করোনাকালীণ সময়ের ১ম ও ২য় ঢেউয়ে পুলিশ প্রশাসনের কাজের প্রশংসা করেন। বলেন, স্থানীয় পুলিশ-প্রশাসন, আনছারসহ বিভিন্ন শ্রেণীপেশার মানুষ নিজেদের জীবনের ঝুঁকি নিয়ে ভারত ফেরত বাংলাদেশীদের কোয়ারেন্টিনসহ সকল সেবার মান নিশ্চিত করেছেন। তাদের কারণে আজ সমগ্র বাংলাদেশের মানুষ নতুন নতুন করোনা নামক ভাইরাসের ঝুঁকি থেকে অনেকটা মুক্ত আছেন। ভবিষ্যতে যাতে দেশের মানুষ নিশ্চিন্তে করোনার ছোবল থেকে মুক্ত থাকতে পারে সেলক্ষে খুলনা বিভাগীয় প্রশাসন, যশোর জেলা প্রশাসন, শার্শা প্রশাসন ও পুলিশ, বিজিবি, আনসারসহ সকল শ্রেণীর সরকারি কর্মকর্তা কর্মচারি অতন্দ্র প্রহরীর ন্যায় কাজ করবে।
এসময় তিনি দেশের মানুষকে বার্তা দেন। বলেন, বেনাপোল ও দর্শণা সীমান্ত দিয়ে ভারত থেকে একটি মানুষও করোনার বিষ নিয়ে বাংলাদেশের ভিতরে প্রবেশ করতে পারবেনা। তাতে বাংলাদেশের মানুষ বিদেশী ভাইরাস থেকে নিরাপদে থাকবে।
শার্শা উপজেলা সহকারি কশিশনার রাসনা শারমিন মিথি ও বেনাপোল স্থলবন্দরের পরিচালক (ট্রাফিক) মামুন কবির তরফদারের পরিচালনায় অনুষ্টিত উক্ত সমন্ময় সভায় উপস্থিত ছিলেন বেনাপোল কাস্টম হাউসের কমিশনার আজিজুল ইসলাম, সিভিল সার্জন ডাক্তার শেখ আবু শাহিন, শার্শা উপজেলা নির্বাহি কর্মকর্তা মীর আলীম রেজা বাপ্পি, যশোর জেলার পুলিশ সুপার প্রলয় কুমার জোয়াদ্দার, ৪৯ বিজিবি ব্যাটালিয়নের কমান্ডিং অফিসার লে. কর্ণেল সেলিম রেজা, টুআইসি তৌফিকুর রহমান, নাভারন এডিশনাল এএসপি জুয়েল ইমরান, এনএসআই’র সহকারি পরিচালক ফরহাদ হোসেন, বেনাপোল স্থলবন্দরের সহকারি পরিচালক আব্দুল জলিল, শার্শা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের পরিচালক ডাক্তার ইউসুফ, বেনাপোল পোর্ট থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মামুন খান, ইমিগ্রেশন অফিসার ইনচার্জ (ওসি তদন্ত) মুজিবুর রহমানসহ স্থানীয় সংবাদকর্মী ও বিভিন্ন শ্রেণী পেশার সুধীবৃন্দ।