খবর ৭১: অতিপ্রবল ঘূর্ণিঝড় ইয়াস দুর্বল হয়ে এখন প্রবল ঘূর্ণিঝড়ে রূপ নিয়েছে। বাংলাদেশের আবহাওয়া অধিদপ্তর জানিয়েছে, ঘূর্ণিঝড়টি বুধবার (২৬ মে) দুপুর ১২টা নাগাদ ডামরার উত্তর এবং বালাশোরের দক্ষিণ দিক দিয়ে ভারতের উত্তর উড়িষ্যা-পশ্চিমবঙ্গ উপকূল অতিক্রম শুরু করেছে।
তখন এর কেন্দ্রে বাতাসের একটানা সর্বোচ্চ গতিবেগ ছিল ঘণ্টায় ১৩০ থেকে ১৪০ কিলোমিটার; যা দমকা বা ঝড়ো হাওয়ার আকারে ১৫৫ কিলোমিটার পর্যন্ত বাড়ছিল।
ভারতীয় আবহাওয়াবিদদের ধারণা, স্থালভাগে উঠে আসার সময় স্বাভাবিকভাবেই কিছুটা দুর্বল হতে শুরু করে এ ঝড়। আগামী ছয় ঘণ্টায় তা বৃষ্টি ঝড়িয়ে আরও দুর্বল হতে থাকবে এবং উড়িষ্যার ময়ূরবাহন জেলার ওপর দিয়ে মধ্যরাত নাগাদ ঝাড়খণ্ডে পৌঁছাবে।
ইয়াসের আঘাতে পশ্চিমবঙ্গে ২০ হাজার মাটির ঘর ও অস্থায়ী আশ্রয়কেন্দ্র হয় পুরোপুরি ধ্বংস হয়ে গেছে কিংবা ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। রাজ্যটির মুখ্যমন্ত্রী বঙ্কিম হাজরা বলেন, আমি এমন ভয়ংকর দৃশ্য আর কখনো দেখেনি। দিঘায় নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হয়ে গেছে। স্থানীয় পুলিশ স্টেশন বন্যার পানিতে ডুবে গেছে।
নদীর পানি বেড়ে গিয়ে পশ্চিমবঙ্গের উপকূলীয় জেলা পূর্ব মেদিনিপুর ও দক্ষিণ ২৪ পরগণার অধিকাংশ এলাকা ডুবে গেছে। সমুদ্রের পানি নারকেল গাছের মাথা পর্যন্ত পৌঁছে গেছে। বন্যার পানিতে গাড়ি ভেতে যেতে দেখা গেছে।