খবর৭১ঃ বঙ্গোপসাগরে সৃষ্ট ঘূর্ণিঝড় ইয়াসের কারণে পরবর্তী নির্দেশ না দেয়া পর্যন্ত নদীবন্দর থেকে সারাদেশে সব ধরণের নৌযান চলাচল বন্ধ ঘোষণা করেছে বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌ-পরিবহন কর্তৃপক্ষ (বিআইডব্লিউটিএ)।
বিআইডব্লিউটিএ’র চেয়ারম্যান কমডোর গোলাম সাদেক বলেন, ‘ঘূর্ণিঝড়ের প্রভাবে দুর্যোগপূর্ণ আবহাওয়ার কারণে আজ (মঙ্গলবার) বিকাল থেকে যাত্রীবাহীসহ সব ধরনের নৌযান চালাচল বন্ধ করে দেয়ার নির্দেশনা দেয়া হয়েছে। পরবর্তী নির্দেশনা না দেয়া এই নিষেধাজ্ঞা বহাল থাকবে।’
ইয়াসের কারণে সারাদেশের বেশিরভাগ নদীতে পানি বেড়েছে। উত্তাল হতে শুরু করেছে এসব নদী। থেমে থেমে বৃষ্টি হচ্ছে দেশের অনেক জায়গায়। এদিকে ঘূর্ণিঝড়ের কারণে দেশের চার সমুদ্রবন্দরকে তিন নম্বর সতর্ক সংকেত দেখতে বলেছে আবহাওয়া অধিদপ্তর।
আবহাওয়ার পূর্বাভাস অনুযায়ী, ঘূর্ণিঝড় ইয়াস ঘণ্টায় ২১ কিলোমিটার গতি নিয়ে এগোচ্ছে। মঙ্গলবার বিকালের মধ্যে ঘূর্ণিঝড়টি সুপার সাইক্লোনে পরিণত হতে পারে। বাতাসের গতি ঘণ্টায় ১৬৫ থেকে ১৯০ কিলোমিটার পর্যন্ত বাড়তে পারে। আগামীকাল সকালে ভারতের পশ্চিমবঙ্গ ও ওডিশা উপকূলে এটি আঘাত হানতে পারে।
এরই মধ্যে ঝড়টির প্রভাবে দেশের দক্ষিণ-পশ্চিম উপকূলীয় জেলাগুলোতে ঝোড়ো বাতাস বয়ে যাচ্ছে। খুলনা, সাতক্ষীরা, পটুয়াখালী, নোয়াখালী এলাকার নিচু এলাকা এবং চরাঞ্চলগুলোতে জোয়ারের পানি প্রবেশ করেছে। অনেক স্থানে বেড়িবাঁধ টপকে ওই পানি প্রবেশ করছে। সুন্দরবনের দুবলার চরসহ জেলে পল্লীগুলোর বেশিরভাগ এলাকা এরই মধ্যে ডুবে গেছে।
দেশের উপকূলীয় জেলাগুলো থেকে বিভিন্ন সূত্রে জানা গেছে, এরই মধ্যে সাতক্ষীরার শ্যামনগর, খুলনার কয়রাসহ কয়েকটি উপজেলায় আগে থেকেই বেড়িবাঁধগুলো ভাঙা ছিল। সেখান দিয়ে এখন বসতি এলাকা এবং মাছের ঘেরে পানি প্রবেশ করতে শুরু করেছে। প্রতিনিয়ত জোয়ারের পানির উচ্চতা বাড়ছে। ঝোড়ো হাওয়ার কারণে অনেক স্থানে গাছপালা উপড়ে পড়েছে। এসব এলাকার অধিবাসীরা নিরাপদ স্থানে যাওয়ার চেষ্টা করছে। স্থানীয় প্রশাসন এবং বেসরকারি সংস্থাগুলো উপকূলবাসীকে নিরাপদ ও উঁচু স্থানে যাওয়ার জন্য মাইকিং করছে।