জলোচ্ছ্বাসের পূর্বাভাস, সতর্ক সংকেত বাড়ল

0
277

খবর৭১ঃ শক্তিশালী হয়ে ওঠা প্রবল ঘূর্ণিঝড় ‘ইয়াস’ ইতোমধ্যে ভারতের ওড়িষ্যা উপকূলের ২৫০ কিলোমিটারের মধ্যে পৌঁছে গেছে। ফলে বাংলাদেশের সমুদ্রবন্দরগুলোকে সংকেত বাড়িয়ে ৩ নম্বর স্থানীয় সতর্ক সংকেত দেখাতে বলেছে আবহাওয়া অধিদপ্তর।

আবহাওয়ার বিশেষ বুলেটিনে বলা হয়েছে, ঘূর্ণিঝড়ের প্রভাবে বাংলাদেশের উপকূলীয় এলাকায় ঝড়ো হাওয়াসহ অতি ভারি বর্ষণ হতে পারে। সেই সঙ্গে পূর্ণিমায় স্বাভাবিকের চেয়ে বেশি উচ্চতার জোয়ারে প্লাবিত হতে পারে উপকূলের নিচু এলাকাগুলো।

মঙ্গলবার বিকাল ৩টায় চট্টগ্রাম সমুদ্রবন্দর থেকে ৫৫৫ কিলোমিটার দক্ষিণপশ্চিমে, কক্সবাজার সমুদ্রবন্দর থেকে ৫২ কিলোমিটার দক্ষিণপশ্চিমে, মোংলা সমুদ্রবন্দর থেকে ৪২৫ কিলোমিটার দক্ষিণ-দক্ষিণপশ্চিমে এবং পায়রা সমুদ্রবন্দর থেকে ৪২০ কিমি দক্ষিণ-দক্ষিণপশ্চিমে অবস্থান করছিল।

আবহাওয়া অফিস জানায়, প্রবল ঘূর্ণিঝড়টি আরও ঘনীভূত ও উত্তর-উত্তরপশ্চিম দিকে অগ্রসর হয়ে বুধবার দুপুর নাগাদ উত্তর উড়িষ্যা-পশ্চিমবঙ্গ উপকূল অতিক্রম করবে।

প্রবল ঘূর্ণিঝড় কেন্দ্রের ৬৪ কিমির মধ্যে বাতাসের একটানা সর্বোচ্চ গতিবেগ ঘণ্টায় ৮৯ কিলোমিটা; যা দমকা অথবা ঝড়ো হাওয়ার আকারে ১১৭ কিমি পর্যন্ত বাড়ছে। প্রবল ঘূর্ণিঝড় কেন্দ্রের কাছের সাগর খুবই বিক্ষুব্ধ।

ঘূর্ণিঝড় অতিক্রমকালে খুলনা, সাতক্ষীরা, বাগেরহাট, ঝালকাঠি, পিরোজপুর, বরগুনা, পটুয়াখালী, বরিশাল, ভোলা, নোয়াখালী, লক্ষ্মীপুর, ফেনী, চাঁদপুর ও চট্টগ্রাম জেলাগুলো এবং তাদের অদূরবর্তী দ্বীপ ও চরগুলোতে ভারী থেকে অতি ভারী বর্ষণসহ ঘণ্টায় ৮০-১১ কিমি বেগে দমকা অথবা ঝড়ো হাওয়া বয়ে যেতে পারে।

পূর্ণিমার প্রভাবে খুলনা, সাতক্ষীরা, বাগেরহাট, ঝালকাঠি, পিরোজপুর, বরগুনা, পটুয়াখালী, বরিশাল, ভোলা, নোয়াখালী, লক্ষ্মীপুর, ফেনী, চাঁদপুর ও চট্টগ্রামের নিম্নাঞ্চল স্বাভাবিক জোয়ারের চেয়ে দুই থেকে চার ফুটের বেশি উচ্চতার জোয়ারে প্লাবিত হতে পারে।

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here