খবর৭১ঃ সুস্থ থাকার প্রধান নিয়ামক সুষম খাবার। খাবারে শর্করা, আমিষ, চর্বি, ভিটামিন ও খনিজ লবণ পরিমাণ মতো থাকলে সেই খাবারকে সুষম খাবার বলা হয়। তাই দৈনিক খাবারের তালিকায় আমরা আদৌ কি সুষম খাবার খাই? নাকি কম খাই, নাকি ঘাটতি আছে? খাবার শুধু সুষম হলেই চলবে না, খেতেও হবে সময়মতো। দিনে তিনবার সকাল, দুপুর, রাতে সময়মতো সুষম খাবার খেতে হবে।
কোন সময়ে কোন ধরনের সুষম খাবার খাবেন:
সকালের খাবার:
দিনটা ভালোভাবে শুরু করার জন্য সকালের খাবার খুবই গুরুত্বপূর্ণ। সারারাত ঘুমানোর পর সকালে পাকিস্থলি খালি থাকে। তাই ঘুম থেকে উঠে ফ্রেশ হয়েই কিছু খেতে হবে। খালি পেটে থাকা যাবে না। তবে সবার খাদ্যাভাস একরকম নয়। অনেকে সকালে ভাত খান, এতে শর্করার প্রয়োজন পূরণ হয়। সকালের খাদ্য তালিকায় রুটি, পাউরুটি, পরোটা, খিচুড়ি কিংবা মুড়ি রাখা ভালো। আমিষের জন্য সঙ্গে ডিম, ডাল, দুই টুকরা মাছ অথবা মাংস থাকবে।
দুপুরের খাবার:
সকালের খাবার ৮ টার মধ্যে এবং দুপুরের খাবার ২ টার মধ্যে খেয়ে নেয়া ভালো। দুপুরে এক কাপ ভাত কিংবা রুটির সঙ্গে ডাল ডিম, এক/দুই টুকরো মাছ, মাংস ও সবজি খেতে হবে। এতেই শরীরে পুষ্টির চাহিদা পূরণ হয়ে যাবে।
রাতের খাবার:
রাতে অনেকের মধ্যে খাবার কম খাওয়ার প্রবণতা দেখা দেয়। কিন্তু এটা ঠিক না। রাত ৮ টার মধ্যে রাতের খাবার খেয়ে ফেলতে হয়। রাতে ১ কাপ ভাত বা রুটির সাথে ডিম, ১/২ টুকরো মাছ-মাংস, শাক-সবজি ইত্যাদি খেতে হয়। রাতে অনেকে আমিষ খেতে চায় না। কিন্তু দিন দিন আমিষ কম খেলে রক্তে হিমোগ্লোবিনের পরিমাণ কমে যায়। তাই প্রানিজ আমিষ শরীরের জন্য অনেক জরুরি।
মধ্য-সকাল ও বিকেলের খাবার:
শুধু এই তিনবেলা খাবার খেলেই চলবে না। এর মাঝে অর্থ্যাৎ মধ্য-সকাল ১০ টা থেকে সাড়ে ১১টার মধ্যে এবং বিকালে হালকা নাশতা করা জরুরি।
চিকিৎসা বিজ্ঞানের মতে, প্রতি তিন ঘণ্টা পরপর কিছু খেতে হয়। কারণ তিন ঘণ্টা পরপর পাকিস্থলি খালি হয়ে যায়। আর পাকিস্থলি খালি হলে গ্যাস জমতে শুরু করে। তাই কিছু খেয়ে থাকা স্বাস্হ্যের জন্য ভালো।
দিনে কতটুকু পানি:
পানি শরীরের জন্য খুবই উপকারী। আমাদের শরীরের সিংহ ভাগই পানি। প্রতিদিন কমপক্ষে ২ থেকে আড়াই লিটার পানি পান করতে হয়। তবে গরমের দিনে আড়াই থেকে তিন লিটার বা তার বেশিও হতে পারে। এর চেয়ে বেশি পানি পান করলে তা কোন কাজে আসে না।