খবর৭১ঃ শনিবার দিনগত রাত দেড়টার দিকে সোশ্যাল মিডিয়ায় ডিভোর্সের ঘোষণা দেন চিত্রনায়িকা মাহিয়া মাহি। কিন্তু কোনো কারণ উল্লেখ করেননি তিনি। এ বিষয়ে জানতে রবিবার সকাল থেকেই যোগাযোগ করা হচ্ছিল মাহির স্বামী মাহমুদ পারভেজ অপুর সঙ্গে। কিন্তু কোনো সাড়া মিলছিল না।
অবশেষে ফোনে পাওয়া গেল অপুকে। কথাও বললেন। জানালেন, ডিভোর্সের বিষয়ে তিনি তেমন কিছুই জানেন না। তার কথায়, ‘আমি ফেসবুকে দেখলাম এবং আপনাদের কাছ থেকে শুনলাম। এ বিষয়ে মাহির সঙ্গে কিছুক্ষণ আগে কথা হয়েছে। তার সঙ্গে বিস্তারিত কথা বলে পরে এ বিষয়ে জানাবো। আপাতত কিছু বলতে পারছি না।’
অপু বলেন, ‘আমরা এত বছর একসঙ্গে সংসার করলাম। হুট করে বললেই কি সংসার শেষ হয়ে যায়? ও (মাহি) তো একটু অভিমানী, আমার উপরে একটা বিষয় নিয়ে রাগ করেছে। তারপর যেহেতু একটা স্ট্যাটাসের উপরে সবাই নিউজ করছে তাই আমরা বিকালে এ ব্যাপারে দুজন মিলে একটা বিবৃতি দিব। সেখানে জানা যাবে সত্য মিথ্যা।’
জানা গেছে, ঈদের কিছুদিন আগে মাহি সিলেটে তার শ্বশুরবাড়ি যান। সেখানে একটি বিষয় নিয়ে স্বামী অপুর সঙ্গে মনোমালিন্য হয়। এতে তিনি রাগ করে রাজশাহী চলে চান। তারপর থেকে দুজনের মধ্যে যোগাযোগ বন্ধ ছিল। এর পরই মাহি শনিবার দিনগত রাতে হুট করে ফেসবুকে ওই স্ট্যাটাস দেন।
মাহি লেখেন, ‘এই পৃথিবীর সবচেয়ে ভালো মানুষটার সাথে থাকতে না পারাটা অনেক বড় ব্যর্থতা। পৃথিবীর শ্রেষ্ঠ শ্বশুরবাড়ির মানুষগুলোকে আর কাছ থেকে না দেখতে পাওয়াটা, বাবার মুখ থেকে মা জননী, বড় বাবার মুখ থেকে সুনাম শোনার অধিকার হারিয়ে ফেলাটা সবচেয়ে বড় অপারগতা। আমাকে মাফ করে দিও। তোমরা ভালো থেকো। আমি তোমাদের আজীবন মিস করবো।’
কিন্তু কেন তিনি অপুর সংসার ছাড়ছেন সেটা স্পষ্ট করে জানাননি নায়িকা। এ বিষয়ে জানতে তার ব্যক্তিগত মোবাইল ফোনে যোগাযোগ করা হলেও তাকে পাওয়া যায়নি।
২০১৬ সালের ২৪ মে সিলেটের ছেলে মাহমুদ পারভেজ অপুর সঙ্গে বিবাহবন্ধনে আবদ্ধ হন মাহিয়া মাহি। অপু পেশায় একজন ব্যবসায়ী। দুই পরিবারের সম্মতি থাকলেও হুট করে তাদের বিয়ে হয়। কিন্তু দাম্পত্য জীবনের পাঁচ বছরের মাথায় মাহি তার বৈবাহিক সম্পর্ক ছিন্ন করার ঘোষণা দিলেন।