খবর৭১ঃ চীন থেকে পাওয়া উপহারের টিকা দেওয়া শুরু হবে মঙ্গলবার (২৫ মে)। ঢাকা মেডিকেল কলেজের ইন্টার্ন ও শিক্ষার্থী চিকিৎসক এবং শিক্ষার্থী নার্সদের দেওয়ার মাধ্যমে এই টিকাদান কার্যক্রম উদ্বোধন করবেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা অনুমোদিত চীনের এই টিকা জরুরি ব্যবহারের জন্য ইতোমধ্যে অনুমোদন দিয়েছে ঔষধ প্রশাসন অধিদপ্তর।
সূত্রমতে করোনা প্রতিরোধে এ পর্যন্ত ১৫টি টিকা বিভিন্ন দেশে জরুরিভিত্তিতে ব্যবহারের জন্য অনুমোদিত হয়েছে। তার মধ্যে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা অনুমোদন দিয়েছে মাত্র ছয়টির। ছয় নম্বর হিসাবে চীনের সিনোফার্মের বিবিআইবিপি-করভি অনুমোদন পেয়েছে ৭ মে। এরপর ১২ মে বাংলাদেশের কাছে প্রথম দফা উপহারের পাঁচ লাখ ডোজ টিকা হস্তান্তর করে চীন। দ্বিতীয় ধাপে আরও ছয় লাখ ডোজ টিকা উপহার দেবে বলে জানিয়েছে দেশটি।
ঢাকায় চীনা দূতাবাসের সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, শুক্রবার পররাষ্ট্রমন্ত্রী একে আবদুল মোমেনের সঙ্গে ফোনালাপের পর চীনের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ওয়াং ই দ্বিতীয় দফায় টিকা উপহার পাঠানোর ঘোষণা দেন। তবে এই টিকা কবে নাগাদ বাংলাদেশে পৌঁছবে সে বিষয়ে কিছু বলেনি চীনা দূতাবাস।
এ প্রসঙ্গে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. এবিএম খুরশীদ আলম বলেন, ২৫ তারিখ থেকে চীনের টিক দেওয়া শুরু হবে। সিনোফার্মের তৈরি ওই টিকা করোনাভাইরাস মোকাবিলায় ‘সম্মুখসারির যোদ্ধারা’ অগ্রাধিকার পাবেন। ওই দিন ঢাকা মেডিকেল কলেজে টিকাদানের উদ্বোধন করবেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী। হাসপাতালে দায়িত্বরত ইন্টার্ন চিকিৎসক, ৫ম বর্ষের শিক্ষার্থী, নার্সিং শেষ বর্ষের শিক্ষার্থীদের এই টিকা দেওয়া হবে।
অধিদপ্তর সূত্রে জানা গেছে, টিকা কার্যক্রম উদ্বোধন উপলক্ষে সোমবার দিনব্যাপী কর্মশালার আয়োজন করেছে সম্প্রসারিত টিকাদান কর্মসূচি। শুরুতেই আড়াইশ জনকে টিকা দেওয়ার প্রস্তুতি নিয়েছে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ। টিকা গ্রহীতার সংখ্যা আরও বাড়তে পারে। তবে কোভ্যাক্স থেকে যে এক লাখ ডোজ ফাইজার-বায়োএনটেকের টিকা আসার কথা রয়েছে, সেগুলো দেওয়ার কোনো সিদ্ধান্ত এখনো হয়নি।