উজ্জ্বল রায়, নড়াইল জেলা প্রতিনিধি:নড়াইলে কোয়ারেন্টাইনে থাকা এক জনের ভারতীয় ভ্যারিয়েন্ট করোনা পজিটিভ। যশোর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের জিনম সেন্টারে গত ১৭মে ভারত ফেরত নিখিল চন্দ্র দাসের (৬১) করোনা পজিটিভ এবং জিনম সিকুয়েন্স করে এটি ভারতীয় ধরণ বলে শনাক্ত করা হলেও এ সম্পর্কে নড়াইলের সিভিল সার্জন অফিসকে কোনো তথ্য জানানো হয়নি।
নড়াইলে প্রাতিষ্ঠানিক কোয়ারেন্টাইনে থাকা ভারত ফেরত এক জনের দেহে করোনার ভারতীয় ভেরিয়েন্ট শনাক্ত হলেও নড়াইল সিভিল সার্জন অফিস এব্যাপারে কিছুই জানেনা।
এ ব্যাপারে (১৯ মে) বিভিন্ন গণমাধ্যমে ‘আরও তিন জনের শরীরে ভারতীয় ধরণ’ শিরোনামে একটি খবর প্রকাশিত হয়। কবরে যবিপ্রবি জিনম সেন্টারের সহযোগী পরিচালক ও অনুজীব বিজ্ঞান বিভাগের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. ইকবাল কবির জাহিদের বরাদ দিয়ে স্পাইক প্রোটিনের সিকুয়েন্সিয়ের মাধ্যমে বিষয়টি নিশ্চিত করা হয়। জানা গেছে, করোনার ভারতীয় ভেরিয়েন্ট শনাক্ত নিখিল চন্দ্র দাস এখন খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে আইসিইউতে রয়েছেন। তার অবস্থা আশংকাজনক। নড়াইল সিভিল সার্জন অফিস বিষয়টি নিশ্চিত না হওয়ায় নড়াইলবাসী করোনার ভারতীয় ভেরিয়েন্ট নিয়ে ভীতি ও আতঙ্কের মধ্যে আছে।
সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, ৩০ এপ্রিল থেকে চিকিৎসার জন্য আটকে পড়া বা ভিসার মেয়াদ শেষ হয়ে আসা ভারত ফেরত ১০১জন বাংলাদেশী নড়াইল জেলা প্রশাসন ও স্বাস্থ্য বিভাগ নির্ধারিত ৩টি স্থানে প্রাতিষ্ঠানিক কোয়ারেন্টাইন সম্পন্ন করেছেন। এখনও ২১জন কোয়ারেন্টাইনে রয়েছেন। এর মধ্যে নড়াইল জেলা পরিষদ ডাক বাংলোয় ৩ জন এবং লোহাগড়ার নিরিবিলি পিকনিক স্পটে ২১জন রয়েছেন। নিরিবিলি পিকনিক স্পটে কোয়ারেন্টাইনে থাকা ঢাকার বাসিন্দা নিখিল চন্দ্র দাস (৬১) ও তার সন্তান অসীম দাসের (৩০) করোনা সন্দেহে গত ১৫মে নড়াইল সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয় এবং ভর্তির কয়েক ঘন্টা পর পিতা-পুত্রকে খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রেরন করা হয়।
নড়াইলের সিভিল সার্জন ডা. নাসিমা আক্তার জানান, গত ১৫মে নিখিল চন্দ্র দাস ও তার পুত্র অসীম দাসের করোনা নমুনা সংগ্রহ করে যশোর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের জিনম সেন্টারে করোনা পরীক্ষার জন্য পাঠনো হয়। ১৭মে নিখিল দাসের করোনা পজিটিভ এবং তার সন্তানের নেগেটিভ রিপোর্ট আসে। নিখিল চন্দ্র দাস এখন খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে আশংকাজনক অবস্থায় আইসিইউতে রয়েছেন। তবে এটি ভারতীয় ভেরিয়েন্ট কিনা প্রশ্ন করা হলে তিনি বলেন, নিয়ম অনুযায়ী যশোর জিনম সেন্টার থেকে এটি জিনম সিকুয়েন্স করার জন্য ঢাকা আই.ই.ডি.সি.আর এ পাঠানো হয় এবং তারাই মুখপাত্র হিসেবে রিপোর্ট পাঠায়। কিন্তু আই.ই.ডি.সি.আর থেকে এ ধরনের কোনো রিপোর্ট আমরা এখনও পাইনি।