জবি প্রতিনিধি: ফিলিস্তিনের উপর বর্বরোচিত হামলা চালাচ্ছে ইজরায়েল। এই খারাপ সময়ে বিভিন্ন দেশের মতো বাংলাদেশও ফিলিস্তিনের পাশে দাঁড়িয়েছে। তেমনি ফিলিস্তিনের পাশে দাঁড়িয়েছে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের (জবি) বায়োকেমিস্ট্রি (প্রাণ রসায়ন ও অনুপ্রাণ বিজ্ঞান) বিভাগের শিক্ষার্থীরাও। ইজরায়েলের সহিংসতায় আহত ফিলিস্তিনের মানুষদের জন্য নগদ অর্থ সহায়তা প্রদান করেছেন বিভাগের তৃতীয় ব্যাচের শিক্ষার্থীরা।
বুধবার (১৯ মে) সাংবাদিকদের এসব কথা জানান মহৎ কাজের উদ্যোগ নেয়া শিক্ষার্থীরা। মঙ্গলবার (১৮ মে) বাংলাদেশে ফিলিস্তিন দূতাবাসে এ অর্থ সহায়তা পৌঁছেছে বলে জানান তারা।
উদ্যোগ নেয়া একজন শিক্ষার্থী নওশীন নাওয়ার জয়া জানায়, আমি ফরাজ করিমের একটা পোস্টে প্রথম দেখি যে পেলেস্টাইনে মেডিসিন সেন্ড করার একটা ব্যবস্থা করার উদ্যোগ নিয়েছেন উনি। তার কাছে রউজান এ মেডিসিন কিনে কুরিয়ার করে দিলে উনি এম্বেসিতে পৌঁছে দিবেন। পরবর্তীতে অনেক মানুষ আগ্রহ প্রকাশ করে স্পেশালি যারা দেশের বাইরে থাকে তারা তো মেডিসিন সেন্ড করতে পারবেনা যার কারণে এম্বেসিকে রিকুয়েষ্ট করা হয় যেন তারা বিকাশ, রকেট, নগদ একাউন্ট শেয়ার করে। আমি আমার ফ্রেন্ডস এন্ড রিলেটিভসদের শেয়ার করি ব্যাপারগুলো। অনেকেই ভালো রেসপন্স করে। আমার ক্লাসমেটকে বললে ওরাও খুব আগ্রহী হয়। কিন্তু আমাদের কিছু কনফিউশান ছিলো নাম্বারগুলো নিয়ে, টাকাগুলো গাজায় পৌঁছাবে কিনা, কতোদিনের মেডিসিন আমরা দিতে পারবো। তাই এম্বেসিতে যাওয়ার উদ্যোগ নিলাম। সেখানে যাওয়ার পর আমরা আমাদের শর্তগুলো ক্লিয়ার করে নিলাম আর ক্যাশগুলো হ্যান্ডওভার করে আসলাম। আর আমার বোনেরা কিছু মেডিসিন আর ক্যাশ এজ এ গিফট তাদের হ্যান্ডওভার করে আসেন।
শিক্ষার্থীরা জানান, আমরা ভাবছিলাম তাদের জন্য কিছু করা যায় কিনা। এরপর সকলে সিদ্ধান্ত নিলাম যে যতটুক পারি সাহায্য করব। তারপর আমরা তাদের জন্য আমাদের এই সামান্যতম অর্থ সহায়তা প্রদান করি।
বায়োকেমিস্ট্রি বিভাগের শিক্ষার্থী রাইনুমা শিফা বলেন, আমরা আসলে তাদের পাশে দাঁড়ানোর চেষ্টা করেছি। আমরা যে যেভাবে যতটুক পারি তাদের সাহায্য করি। ভাল থাকুক পৃথিবীর সকল মানুষ।
নওশীন নাওয়ার জয়া বলেন, শুধু একজন মুসলিম হিসেবে নয়, মানুষ হিসেবে তাদের পাশে দাঁড়ানো আমাদের ঈমানি দায়িত্ব ও কর্তব্য বলে মনে করি। বর্বরতা ও পাশবিকতা কে শুধু মন থেকে ঘৃণা করে ক্ষান্ত হওয়া নয় বরং যথাসাধ্য চেষ্টা, অর্থ সহায়তা ও পদক্ষেপ নেয়াই মানবিকতার দাবি। আল্লাহ তা’আলা আমাদের প্রচেষ্টার পথ গুলো যেন সহজ করে দেন। নিশ্চয়ই সত্যের বিজয় একদিন আসবে। আমার এই কাজ দেখে যদি অন্য একজনও খুশি হয় তাহলেও আমি খুশি হবো।
তাদের এই উদ্যোগকে সাদরে গ্রহণ করে বিশ্ববিদ্যালয়ের অন্যান্য শিক্ষার্থীরাও ফান্ড গঠনের উদ্যোগ নিয়েছেন।