বাগেরহাট প্রতিনিধি: বাগেরহাট সদর উপজেলার বেমরতা ইউনিয়নের গোলাম কবীর (৩৫) নামের একজন আওয়ামী যুবলীগ নেতা কে তুলে নিয়ে হত্যা চেষ্টার ঘটনায় পুলিশ ৭ জন সন্ত্রাসীকে হাতে-নাতে গ্রেফতার করেছে। এ ঘটনায় গোলাম কবীরের ভাই আমজাদ হোসেন বাদী হয়ে মঙ্গলবার দুপুরে বাগেরহাট মডেল থানায় একটি মামলা করেছেন। আটক ৭ জন সহ এ মামলায় আসামী করা হয়েছে ১১ জন কে। আটক আসামীরা হলো সদর উপজেলার বেমরতা ফতেপুর গ্রামের মিনা ফরিদুর রহমান ওরফে সুধা মিনার ছেলে রাসেল মিনা (৪০), একই গ্রামের সুজন খানের ছেলে জয় খান (১৮), বিজয়পুর গ্রামের সেকেন উদ্দিন শেখের ছেলে বেদার সেখ (২৮), কাওছার হাওলাদারের ছেলে তুরান হাওলাদার(২৫), রশিদ সেখের ছেলে কামরুজ্জামান (২৪), জাকির হাওলাদারের ছেলে শামীম হাওলাদার (২৬) ও মালেক ফকিরের ছেলে সেকেন্দার ফকির (৩২)। বাগেরহাট সদর উপজেলার বেমরতা ইউনিয়নের বিজয়পুর গ্রামের হাকিম হাওলাদারের ছেলে স্থানীয় ২ নং ওয়ার্ড যুবলীগের সভাপতি গোলাম কবীর ও তার সহযোগী তারিক শেখ কে পুর্ব-শত্রুতার জের ধরে সোমবার দিনগত রাত ১১ টার দিকে সন্ত্রাসী পরিকল্পিতভাবে ধাওয়া দিয়ে খানজাহান আলী মাজার এলাকায় নিয়ে যায় এবং এলোপাতাড়ীভাবে মারপিট করতে থাকে। খবর পেয়ে পুলিশ দ্রুত ঘটনাস্থলে যায় এবং গোলাম কবীর ও তারিক কে আহত অবস্থায় উদ্ধার করে বাগেরহাট সদর হাসপাতালে ভর্ত্তি করে দেয়। এ সময় স্থানীয় জনতার সহায়তায় পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে ৭ জন সন্ত্রাসীকে আটক করলেও বাকীরা পালিয়ে যায়। পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে সন্ত্রাসীদের ব্যবহ্নত একটি পিক-আপও উদ্ধার করে থানায় নিয়ে আসে। বাগেরহাট মডেল থানার ওসি কেএম আজিজুল ইসলাম মঙ্গলবার দুপুরে জানান, সোমবার গভীর রাতে খুলনা-বাগেরহাট সড়কের খান জাহান আলী মাজার এলাকায় সন্ত্রাসীরা গোলাম কবীর কে মারপিট করছে এমন খবর পেয়ে রাতের টহলটিম সহ অন্যান্য পুলিশ ছুটে যায়। বড় ধরনের অঘঠনের আগেই গোলাম কবীরসহ দুজন কে উদ্ধার করে হাসপাতালে ভর্ত্তি করে দেয়া হয়। আর স্থানীয়দের সহায়তায় ওই রাতেই ঘটনাস্থল থেকে ৭ জনকে আটক করা হয়। এ ঘটনায় গোলাম কবীরের ভাই আমজাদ হোসেন বাদী হয়ে ১১ জনের বিরুদ্ধে থানায় মামলা করেছেন। বাকী আসামীদের গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে।#